ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির হত্যা মামলায় সব আসামি খালাস

স্টাফ রিপোর্টারঃ

নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে আলোচিত সমালোচিত তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকারের ভাই ও ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার সব আসামির বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. মোমিনুল ইসলাম আসামিদের খালাস দিয়ে রায় প্রদান করেন।

এ ঘটনায় আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট খন্দকার আজিজুল হক হান্টু জানান, ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সব আসামিকে খালাস দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

এই চার্জশিটের বিরুদ্ধে মামলার বাদী তৈমুর আলম খন্দকার নারাজি পিটিশন দাখিল করে পরে প্রত্যাহার করে নেন।

ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলাটি সবশেষ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) তদন্ত করে। সিআইডির এএসপি মসিহউদ্দিন দশম তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দীর্ঘ প্রায় ৩৪ মাস তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে ৮ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন। ওই চার্জশিটে সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন, তার শ্যালক জুয়েল ও শাহীনকে অব্যাহতি দিয়ে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জাকির খান, তার দুই ভাই জিকু খান ও মামুন খানসহ মোট ৮ জনকে আসামি উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার। এ হত্যাকাণ্ডের পর তার বড় ভাই তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার বাদী হয়ে ১৭ জনকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন।

ওই মামলা দায়েরের পর মোট ৯ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়েছিল। দশম তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডির এএসপি মসিহউদ্দিন।

 

সবা:স:জু- ৬৮৭/২৫

নিক্সন চৌধুরীর স্ত্রী তারিনের গুলশানের ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ আদালতের

স্টাফ রিপোর্টার:

ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী) ও তার স্ত্রী তারিন হোসেন-এর নামে গুলশানে অবস্থিত একটি ফ্ল্যাট, গ্যারেজ ও কমনস্পেস জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব আদালতে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিন, দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালাম আদালতে এই জব্দের আবেদন করেন। আবেদনপত্রে জানানো হয়েছে, তারিন হোসেনের নামে গুলশান এলাকায় ১০ কোটি ৩২ লাখ ৮৬ হাজার ৪৩৮ টাকা মূল্যের সম্পদ রয়েছে।

তদন্তে জানা গেছে, মুজিবুর রহমান চৌধুরী গুলশানে একটি ১৩ তলা আবাসিক ভবনের ৭ম তলায় অবস্থিত ৫১৭২ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাট, গ্যারেজ এবং কমনস্পেস সহ মোট ১০ কাঠা ৩ ছটাক জমি ক্রয় করেন। এই সম্পদ ২০১৩ সালের ২৯ জানুয়ারি বণ্টন চুক্তির মাধ্যমে প্রথম স্ত্রীর নামে নিবন্ধিত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তার প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর ফ্ল্যাটটি তারিন হোসেনের নামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়।

দুদকের মতে, এই সম্পত্তি মুজিবুর রহমান চৌধুরী অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ দিয়ে ক্রয় করেছিলেন।

এর আগে, ৯ জানুয়ারি দুদক পৃথক দুটি মামলায় অভিযোগ করে যে, নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রী তারিন হোসেনের ব্যাংক হিসাব থেকে অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে, এবং তারা প্রায় ১৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

এছাড়া, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালত নিক্সন চৌধুরী এবং তার স্ত্রী তারিন হোসেনের দেশত্যাগ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম