তারিখ লোড হচ্ছে...

জবি প্রক্টরেরে উপর হামলার ঘটনায় জবিশিসের অবস্থান

উম্মে রাহনুমা ,জবি প্রতিনিধি:

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রষ্টরের উপর হামলার ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি স্তম্ভিত। গতকালের ন্যাক্কারজনক ঘটনার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ জরুরি ভিত্তিতে ৭ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় কার্যনির্বাহী কমিটির সভা করে গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহ অবহিতকরণ ও প্রষ্টরের উপর হামলার বিষয়ে শিক্ষক সমিতির অবস্থান জানানোর জন্য আজকে সংবাদ সম্মেলন আহবান করে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রষ্টরের উপর হামলার প্রতিবাদে শিক্ষক সমিতির সিদ্ধান্ত ও কর্মসূচি সমূহ:

আগামীকাল ৮ জানুয়ারি দুপুর ১২.০০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণকে নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে। শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হবে | বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয়ের সাথে সাক্ষাৎ করা এবং হামলা বিষয়ে শিক্ষকগণের উদ্বেগ উপাচার্যকে অবহিতকরণ | শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে প্রষ্টরের সাথে দেখা করে সামগ্রিক বিষয় জানা ও সমিতির অবস্থান জানানো। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি করে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন করা। দোষীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সুনির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানানো। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা। দোষীদের শাস্তি নিশ্চিতকরণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সহায়তা করা | বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে বাসস্ট্যান্ড ও টেম্পুস্ট্যান্ড সরিয়ে নেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া। কোনো অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বাসস্ট্যান্ড শিক্ষকগণ মেনে নিবেন না।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি বলেন “বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের উপর হামলা মানে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর হামলা। এমন ঘটনা যেন না ঘটে সে বিষয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যেনো এমন কোনো ঘটনা যেনো আর কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের কারো সাথে না হয়।”

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেন ” মত এবং পথের পার্থক্য ব্যাতিরেকে সবার নিরাপত্তা দিতে শিক্ষক সমিতি সবার নিরাপত্তা চায়। আপোষহীন ভাবে আমরা শক্ত অবস্থানে থাকবো। আমরা গত ৫ তারিখে দায়িত্ব নিয়েছে এবং এর পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে তার বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ভূমিকা রাখবো। যৌক্তিক আল্টিমেটাম দিয়ে আমরা সুরাহার পথ বেছে নিবো। শিক্ষক সমিতি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারী সকলের পক্ষেই কথা বলবে এবং দায়িত্বশীল পর্যায়ে অবস্থান করবে।

সবা:স:জু- ৬৯১/২৫

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের জন্য সুখবর

ডেস্ক রিপোর্ট:

অবশেষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে বেতন গ্রেড উন্নীত করার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)।

বেতন গ্রেড উন্নীত করতে বছরে সরকারের অতিরিক্ত খরচ হবে ৩৪১ কোটি ৪৯ লাখ ৫৪ হাজার ৯৪০ টাকা।

জানা গেছে, ডিপিইর পাঠানো প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে তা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে। সেখান থেকে অনুমোদন পেলে অফিস আদেশ জারি করা হবে। এসব তথ্য নিশ্চিত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশনস) মোহাম্মদ কামরুল হাসান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, রোববার (১৩ জুলাই) প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

প্রস্তাবটি চূড়ান্ত অনুমোদন হলে রিটকারী ৪৫ জন শিক্ষক ছাড়াও অন্য সব প্রধান শিক্ষকের বেতন গ্রেড উন্নীত করা সম্ভব হবে। কবে নাগাদ এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে—এমন প্রশ্নে কামরুল হাসান বলেন, দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে বলা সম্ভব নয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ রয়েছে ৬৫ হাজার ৫০২টি। এর মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ৩২ হাজার ৩৫২ জন।

গত ১৯ জুন উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী, ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন বিদ্যমান গ্রেড ১১ থেকে ১০-এ উন্নীত করে অফিস আদেশ জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর আগে গত ১৩ জুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের (প্রশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত) দশম গ্রেডে উন্নীত করতে ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে অফিশিয়াল গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করতে দেয়া হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট শিক্ষকদের পক্ষে রায় দেন। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার ঘোষণা দেন। ওইদিনই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করলেও পরে মন্ত্রণালয় প্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১১তম ও অপ্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেড নির্ধারণ করে। বিষয়টিকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমিতির তৎকালীন সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ ৪৫ জন শিক্ষক হাইকোর্টে রিট করেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম