তারিখ লোড হচ্ছে...

মিরপুর শেওড়াপাড়া হোটেল রাজধানী প্যালেস দেহ ব্যবসা মাদকের সাথে জড়িত ম্যানেজার সাইফুল 

স্টাফ রিপোর্টার:

রাজধানী মিরপুর কাফরুল থানার শেওড়াপাড়া মেট্রোরেল সংলগ্ন হোটেল রাজধানী আবাসিক অবাধে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন মালিকসহ ম্যানেজার সাইফুল কে এই মাদকসম্রাট সাইফুল? প্রশাসনের নাকের ডগায় নারীদের নিয়ে ওবাইদের দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে একটি মহল। মিরপুর শেওড়াপাড়া এলাকার অসংখ্য আবাসিক হোটেল চলছে দেহ ব্যবসা। বর্তমানে এই ব্যবসা মহাকার দারুন করছে , আর এইসব চলছে প্রশাসনের সামনে কিছু বলতেছে না। সুশীল সমাজের লোকজন বলে প্রশাসন যদি কিছু বলে তাহলে এসব অপকর্ম আমাদের এলাকায় থাকে না টাকার বিনিময় তারা চুপ করে আছে। এক শোরুম ব্যবসায়ী বলেন ,প্রশাসন কি ম্যানেজ করে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন অসাধু হোটেল ব্যবসায়ীরা।
যৌনকর্মীর এক দালাল জানান, এইসব হোটেল থেকে প্রতিমাসের থানা পুলিশ পাচ্ছে মোটা অংকের টাকা। শুধু থানা পুলিশ না আরো বড় বড় লোক সাপ্তাহিক মাসিক চাঁদা নেন। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা ও নিয়মিত টাকা পায়। এই টাকা নিতে তারা হোটেলে যেতে হয় না কর্তৃপক্ষ টাকা তাদের হাতে পৌঁছে দেয়। গ্রামের সহজ সরল অপপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের দেহ ব্যবসা বাধ্য করানো অভিযোগ মিলছে হর হামেশাই। আমারে কেউ কেউ নিজের ইচ্ছা বেছে নিয়েছে এই পেশা। সাংবাদিকের সামনে কথা বলতে রাজি নয় এইসব হোটেল মালিকরা। এই দেহ ব্যবসার যদি এ পড়া অসহায় নারীরা জানালে তাদের জীবনে করুন কাহিনী। এদের অনেকেই অভাবে তাড়ানোর এসেছেন এই পেশায়। আমার অনেকেই নিজের অজান্তে জড়িয়ে পড়েছেন এইসব অসামাজিক কাজে। এক গোপন তথ্যভিত্তিতে জানা যায় এক নারীকে চাকরি দেওয়ার নামে, বলেন আমাকে শুধু দেহ ব্যবসা করতেই রাজি হতে বলেন পাশাপাশি মাদকসহ আমাকে সাপ্লাই ও এবং বহন করতে বলেন। একজন ক্ষত্রব সেজে মেয়ের কাছে গেলেই বলেন আমি আপনার সাথে ঘণ্টা থাকবো এক পর্যায়ে সাংবাদিক জানতে পারলেই সে চুপ থাকেন! তার কাছ থেকে করুন ইতিহাস শুনতে পান। রাজধানী মিরপুর থানার ৪০টি আবাসিক হোটেলের ভিতরে বেশি অসামাজিক ও মাদকের সরবরাহ কাজে নিয়োজিত এই রাজধানী হোটেলটি। মাদকের কেনাবেচা এবং সরবরাহ করে থাকেন ম্যানেজার এই সাইফুল। এক হোটেল দালাল বলেন সাইফুল মাঝে মাঝে নারী সাপ্লাই দেয় না সে মাদকের সাথে জড়িত প্রশাসন আসলে সে বলেন এখানে আমি শুধু একজন মেসি আর। প্রশ্নের চোখের সামনে চলে এসব মাদক ও দেহ ব্যবসা।
স্থানেদের অভিযোগ প্রশাসনের সামনে এইসব চললে প্রশাসন কিছু করছে না মাঝেমধ্যে লোক দেখানোর দুই একটি অভিযান চালায় উচ্ছেদ করার জন্য মূলত নয়। আমরা চাচ্ছি এই প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হোক। একটি ক্লিনিকের উপরে তিনতলায় এভাবে কিভাবে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে এটা খুব জানারও বিষয়। এ রাজধানী হোটেলের দুইটা একটা ক্লিনিক এখানে এক রূপে এসে বলেন আমি যা দেখেছি সেটা মুখের বাসায় বলতে পারছি না। কিভাবে ছেলে মেয়ে ওঠা নামা করে আর যে হাতে বোতল সিগারেট যে একটা হাঁটার তালা তালে দুলিয়ে দুলিয়ে নাচতেছে এটা কোন সমাজের নৈতিকতা বুঝি আমি হিমসিম খাচ্ছি।
এসব বিষয় শুনতে গিয়ে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পান, এরমধ্যেই হোটেলের রুমের দিকে এগুলোতেই দেখা মেলে অল্প ও মধ্য বয়সী কয়েকজন সুন্দরী মেয়েকে। আর কিছু রুমে খরিদ্দারসহ অনেকেই শুয়ে আছেন, আবার কোন রুমে দেখা যায় ইয়াবা ও মদ পান করছে কয়েকজন। এদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা বলেন এরা আমাদের ভিআইপি গেস্ট। অনেক বাঁধার মুখোমুখি যখন অনুসন্ধান টিম তখন মালিক ও ম্যানেজার সাইফুল রাজু , বলেন- আমরা পুলিশ প্রশাসন কে মোটা অংকের চাঁদা দিয়ে খোলামেলা ব্যবসা করি। আপনারা রিপোর্ট করে কিছুই করতে পারবেন না। জানা যায় এখানে দেশের বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চল থেকে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ও বিধবা নারীদের বিভিন্ন কাজের লোভ দেখিয়ে এখানে এনে তাদের দিয়ে দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে একটি শক্তিশালী দালাল চক্র। এ বিষয়ে অপরাধ সময়ের অনুসন্ধান কাফরুল ‌ থানায় ওসি তৈবুর রহমান বলেন অভিযান চলমান আছে। মাসোহারার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। কোন মাসোয়ারা নেওয়া হয় না। এছাড়াও আমার থানা এলাকায় এ ধরনের অসামাজিক কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসা চলতে দিব না, দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কাতারে এসএম সাগরের জমজমাট মাদক ব্যবসা, ঝুঁকিতে অভিবাসন খাত

নিজস্ব প্রতিবেদক॥
ঢাকা থেকে কর্মস্থলে ফেরার পথে কাতার বিমানবন্দরে গ্রেফতার হন বেশ কয়জন বাংলাদেশি। কাতারে প্রায় ৬০০ অধিক বাংলাদেশি বিভন্ন অপরাধে আটক হয়েছেন তার মধ্য মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ততার দায়ে আছে অনেক প্রবাসী। কাতার প্রবাসী বাংলাদেশিদের থেকে মাদক পরিবহনের তথ্য পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে থাকা বাংলাদেশের কাতার বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে মাদক ব্যবসায় প্রবাসীদের সম্পৃক্ততার বিষয় উল্লেখ করে ঢাকায় প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। দূতাবাস সূত্র জানায়, যে কোনো ধরনের মাদক গ্রহণ, পরিবহন ও বিক্রি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে খুনের চেয়েও ভয়ঙ্কর অপরাধ বলে গণ্য করা হয়। কিন্তু একশ্রেণির বাংলাদেশি কর্মী মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছেন।

মাহফুজ আলম পিয়ার নামে এক মাদক ব্যবসায়ী সহ অনেক ক্ষেত্রে পাকিস্তানীদের সঙ্গে সংঘবদ্ধ হয়ে মাদক সিন্ডিকেট পরিচালনা করা হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশি প্রবাসীদের মধ্যেই মাদক বিক্রি করা হচ্ছে। তবে কেউ কেউ বাইরেও বিক্রি করছেন। ঢাকা থেকেই হাতে বা কার্গোতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গাঁজা বা ইয়াবা। মধ্যপ্রাচ্যে এ ধরনের খুচরা ব্যবসায়ীর সংখ্যা অনেক। ধরনের গুটিকয়েক অপরাধীর জন্য ৩ লাখেরও বেশি বাংলাদেশির কর্মস্থল কাতার আরেক দফায় ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।

কাতার থেকে আসা বাংলাদেশিদের হাতে ঢাকা থেকেই ওষুধের প্যাকেটের বাহরাইনে বাজারজাত করে এক শ্রেনির অসাধু প্রবাসীরা । এ ধরনের ঘটনা ‘খুবই অপরিচিত’ মন্তব্য করেন কাতার বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার কাউসিলর শ্রম সচিব শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুর ইসলাম। এতে বাংলাদেশের সুনাম বহুলাংশে ক্ষুন্ন হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা হওয়া এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবাসীদের সহায়তায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে মাদক ব্যবসা করা এক ব্যক্তি আটক হন। তার কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যায়। তার তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে সৌদি আরব, আমিরাত, কুয়েত, ওমানে ইয়াবা ব্যবহার ও চাহিদা বেড়েছে। তবে সেখানে মাদক পাওয়া এত সহজ নয়, কারণ এসব দেশ ইসলামিক নিয়মে চলে। ফলে প্রবাসীদের মধ্যে দেশ থেকে মাদক নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা শুরু হয়। আগে বেশি পরিমাণে গাঁজা পাঠানো হলেও এখন সবচেয়ে বেশি যায় ইয়াবা। কারণ পরিবহনে সুবিধা। প্রবাসী পরিচিত কেউ ছুটিতে দেশে এলে ফিরে যাওয়ার সময় তাদের কাছে না জানিয়ে বা জানিয়ে বিভিন্ন ঠিকানার ব্যক্তিদের কাছে মাদক পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়।

বিশেষত পিঠা, বিভিন্ন শুকনা খাদ্য ও আচারের ভিতর মাদক ঢুকিয়ে দিয়ে দেন এসব চক্রের লোকেরা। সব থেকে আচারের ভিতর ইয়াবা ঢুকিয়ে দিলে বিমানবন্দরে চেকিংয়ের সময় ধরা পড়ে না বলেও ওই পাচারকারী জানিয়েছেন। বাহরাইনে এসব বিক্রির সঙ্গে জড়িয়ে আছেন বেশ কিছু ‘ফ্রি ভিসা’র প্রবাসী। তারা কাজ না করে বেশি অর্থ উপার্জনের জন্য গোপনে প্রবাসেই ব্যবসা করছেন। প্রতি পিস ইয়াবা বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহ করে চার থেকে পাঁচগুণ দামে এক-দেড় হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আর এগুলো বাংলাদেশ তার এজেন্ট হিসেবে কাজ করে মাহফুজ আলম পিয়ার নামে আরেক মাদক ব্যবসায়ী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘৩০ জুন পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জানামতে ৮ হাজার ৮৪৮ জন বাংলাদেশি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জেলে বা ডিটেনশন সেন্টারে আটক রয়েছেন।’ তিনি জানান, কূটনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে বিদেশি কারাগারে আটক বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্যতম দায়িত্ব। এটা দূতাবাসের সাহায্যে রুটিন মাফিক করে আসছে মন্ত্রণালয়। অতি সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়া, তিউনিশিয়া, লিবিয়া ও ভানুয়াতু থেকে আটকে পড়া অনেক বাংলাদেশি দূতাবাসের সার্বিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে ফিরে এসেছে এবং দেশে ফিরে আসার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের ৪৪টি দেশে এসব বাংলাদেশি আটক রয়েছেন। এর মধ্যে সব থেকে বেশি আটক ভারতে। দেশটিতে আটক আছেন ২ হাজার ৪৯ জন। এরমধ্যে ২ হাজার ৩১ জন কলকাতায় বাকি ১৮ জন আগরতলায়। এ ছাড়া অন্যান্য দেশের মধ্যে আবুধাবিতে ১ হাজার ১৫৬ জন, বাহারাইনে ৬৯৩, মালয়েশিয়ায় ৫৭২, সৌদি আরবে ৭৬৮, ওমানে ৪৪২, কুয়েতে ৩১৬ এবং তুরস্কে ৩২৭ জন আটক আছেন।

language Change
সংবাদ শিরোনাম