তারিখ লোড হচ্ছে...

সঞ্চয়পত্রে বাড়ছে মুনাফার হার

স্টাফ রিপোর্টারঃ

সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মুনাফার এ হার বাড়ছে অন্তত এক শতাংশ। তবে, সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা এর কম বিনিয়োগকারীরা মুনাফা কিছুটা বেশি পাবেন।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, জাতীয় সঞ্চয় স্কিমগুলোর মুনাফার হার পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শিগগিরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর বলে বিবেচনা করা হবে সঞ্চয়পত্রের এই নতুন মুনাফার হার। ৫ বছর ও ২ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের গড় সুদের হার (সর্বশেষ ছয় মাসের নিলামের ভিত্তিতে) অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে এ মুনাফা। তবে, সাড়ে সাত লাখ টাকা বা এর কম বিনিয়োগকারীদের হিসাবে সর্বোচ্চ ৫০ বেসিস পর্যন্ত প্রিমিয়াম যোগ হবে। এতে সাড়ে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে কিছুটা বেশি মুনাফা পাওয়া যাবে।

নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করে জানুয়ারি থেকে আগামী জুন পর্যন্ত সময়ের জন্য সঞ্চয়পত্রের সম্ভাব্য মুনাফার হার নির্ধারণ করেছে সরকার। সেই হিসাবে পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে সাড়ে সাত লাখ টাকা বা এর কম বিনিয়োগকারীদের মুনাফার হার দাঁড়াবে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ। এর বেশি অঙ্কের বিনিয়োগকারীদের মুনাফার হার দাঁড়াবে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। বর্তমানে পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে মুনাফা হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ।

এ ছাড়া তিন বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে সাড়ে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে সম্ভাব্য মুনাফার হার ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। এক্ষেত্রে সাড়ে সাত লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ। বর্তমানে এ স্কিমে মুনাফার হার হচ্ছে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।

নতুন প্রজ্ঞাপন জারি হলে পাঁচ বছর মেয়াদি পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে মুনাফা পাওয়া যাবে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ হারে। আর সাড়ে সাত লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফা পাওয়া যাবে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে। বর্তমানে এ স্কিমে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

 

সবা:স:জু- ৭১৯/২৫

১০ প্রতিষ্ঠানের ৩০০ কোটি টাকা পাচার

স্টাফ রিপোর্টার॥

দেশের ১০টি প্রতিষ্ঠান এক হাজার ২৩৪টি পণ্য চালানের নথি জালিয়াতি করে রপ্তানির আড়ালে বিদেশে ৩০০ কোটি টাকা পাচার করেছে বলে প্রমাণ পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। শনাক্ত হওয়া ১০ প্রতিষ্ঠানের সাতটি ঢাকার, দুটি গাজীপুরের ও একটি সাভারের।

ঢাকার প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে—ফ্যাশন ট্রেড, এম ডি এস ফ্যাশন, থ্রি স্ট্রার ট্রেডিং, ফরচুন ফ্যাশন, অনুপম ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড, স্টাইলজ বিডি লিমিটেড ও ইডেন স্টাইল টেক্স। গাজীপুরের তিন প্রতিষ্ঠান হচ্ছে—পিক্সি নিট ওয়্যারস ও হংকং ফ্যাশনস লিমিটেড এবং সাভারের প্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে—প্রজ্ঞা ফ্যাশন লিমিটেড।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর বলছে, প্রতিষ্ঠানগুলো টি-শার্ট, টপস, লেডিস ড্রেস, ট্রাউজার, বেবি সেট, পোলো শার্ট প্রভৃতি পণ্য জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রপ্তানি দেখিয়ে অর্থপাচার করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, কাতার, সৌদি আরব ও নাইজেরিয়া প্রভৃতি দেশে বিপুল এই অর্থ পাচার হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

জানা গেছে, শনাক্ত ১০টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিল অব এক্সপোর্টে ন্যাচার অব ট্রানজেকশনে কোড ২০ ব্যবহার করে অর্থ পাচার করেছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর বিল অব এক্সপোর্টসমূহ পর্যালোচনায় বিল অব এক্সপোর্ট ও ইএক্সপিতে বর্ণিত তথ্যের মধ্যে মিল পাওয়া যায়নি।

জালিয়াতির মাধ্যমে অন্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের ইএক্সপি এবং বিধিবহির্ভূত কোড ব্যবহারের মাধ্যমে রপ্তানির একাধিক ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন শুল্ক গোয়েন্দার কর্মকর্তারা।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম