তারিখ লোড হচ্ছে...

ফ্ল্যাট কেলেঙ্কারির পর প্রথম প্রকাশ্যে টিউলিপ

অনলাইন ডেস্কঃ

যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি) টিউলিপ সিদ্দিককে লন্ডনে একটি ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক আবাসন ব্যবসায়ী। অথচ দুই বছর আগে টিউলিপ দাবি করেছিলেন তার বাবা-মা তাকে এই ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছেন। এমন সংবাদ প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) প্রথম প্রকাশ্যে দেখা গেছে টিউলিপকে। তাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অফিসে যেতে দেখা গেছে।

টিউলিপকে দুই বছর আগে একাধিকবার প্রশ্ন করা হয় যে তিনি কীভাবে দুই বেডরুমের ওই ফ্ল্যাট পেয়েছেন। জবাবে ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছিলেন তিনি।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ‘মিনিস্ট্রিয়াল কোড’ উপদেষ্টা এখন তদন্ত করবেন এই বিষয় নিয়ে।

ব্যাপক চাপে পড়ার পর টিউলিপ ফ্ল্যাট নিয়ে যে তথ্য দিয়েছিলেন সে অবস্থান থেকে সরে এসেছেন বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। টিউলিপের রাজনৈতিক দল লেবার পার্টির একটি সূত্রও নিশ্চিত করেছে, টিউলিপের বাবা-মা তাকে ফ্ল্যাটটি কিনে দেননি। এটি আসলে ‘কৃতজ্ঞতার’ অংশ তার স্বৈরাচার খালার সহযোগীর কাছ থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছেন।

লন্ডনের বিতর্কিত ওই ফ্ল্যাটটি নিয়ে হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেটের এমপি টিউলিপ যুক্তরাজ্যের জাতীয় অপরাধ সংস্থার (এনসিএ) তদন্তের মুখেও পড়তে পারেন।

গত ৫ জানুয়ারি ব্রিটেনের বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরা টিউলিপের উদ্দেশে বলেছেন, গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে না পারলে তিনি যেন পদত্যাগ করেন।

গ্রেটার লন্ডনের হ্যারো ইস্টের এমপি বব ব্ল্যাকমান বলেন, ওই সম্পত্তির ব্যাপারে টিউলিপ আগে যা বলেছিলেন সে ব্যাপারে অবস্থান পরিস্কার করা উচিত। এটা না করলে তিনি মন্ত্রী থাকতে পারেন না।

আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ আবাসন ব্যবসায়ী আবদুল মোতালিবের দুর্দিনে তাকে আর্থিক সহায়তা করেছিলেন টিউলিপের মা-বাবা। তাই কৃতজ্ঞতাস্বরূপ নিজের মালিকানায় থাকা ‘একটি সম্পত্তি’ তিনি টিউলিপকে দিয়েছিলেন।

 

সবা:স:জু- ৭২২/২৫

চা খাওয়ার কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণ

স্টাফ রিপোর্টার: 

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে (২১) চা খাওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে পাবনা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পাবনা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার সাহা বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদি হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পাবনা শহরের কালাচাঁদপাড়া এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে মেহেদী মাসুদ (২৬), চক রামচন্দ্রপুর এলাকার মোতালেব হোসেনের ছেলে মাহমুদুল হাসান সাজিদ (২৩) এবং শালগাড়িয়া ফরেস্টপাড়া এলাকার জমির উদ্দিনের ছেলে হারুন অর রশিদ (২৭)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী তরুণী পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্রী। ২০২২ সালে কালাচাঁদপাড়া এলাকার মেহেদী মাসুদের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরিবারের চাপে মেহেদী অন্যত্র বিয়ে করায় ২০২৪ সালের মে মাসে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়।

এমন অবস্থায় গত সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে তার সাবেক প্রেমিক মেহেদী হাসান চা খাওয়ার নাম করে তাকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয়। এরপর মোটরসাইকেলে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে রাত সাড়ে নয়টার দিকে শহরের মেরিল বাইপাসের ফরেস্ট এলাকায় নিয়ে যায়। পরে পরিকল্পিতভাবে ফরেস্টের একটি পরিত্যাক্ত ঘরে নিয়ে পালাক্রমে তিনজন মিলে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে মেয়েটিকে তারা একটি অটোরিকশায় তুলে দিয়ে পালিয়ে যায়। বাড়িতে গিয়ে ঘটনা খুলে বলে ওই ছাত্রী।

পাবনা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার সাহা জানান, এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা নথিভুক্ত করা হয়। মামলা নম্বর ২৪। পরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তিনি আরও জানান, বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভুক্তভোগী ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

সবা:স:জু- ৩১৭/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম