তারেক রহমানের বাসায় তৈরি খাবার খাচ্ছেন খালেদা জিয়া

অনলাইন ডেস্কঃ

লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমানের বাসায় তৈরি করা খাবার খাচ্ছেন।

শুক্রবার বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি একটি ভিডিও আপলোড করা হয়েছে।

ওই ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য নিজ হাতে বাসা থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে আসছেন তার জ্যেষ্ঠ পুত্র বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং পুত্রবধূ ডাক্তার জুবাইদা রহমান।’

এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খালেদা ড. এনামুল হক চৌধুরী জানান, ‘বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ভালোভাবেই চলছে। চিকিৎসকের অনুমতি নিয়ে হাসপাতালে রাতে থাকছেন জিয়া পরিবারের সদস্যরা। নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা রহমান ছিলেন বুধবার রাতে। বৃহস্পতিবার রাতে ছিলেন পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান। সারাদিন হাসপাতালে থাকছেন তারেক রহমান। তিনি পুরো চিকিৎসা তদারকি করছেন। দীর্ঘদিন পর পরিবারের সদস্যদের কাছে পেয়ে ভালো সময় কাটছে খালেদা জিয়ার। কাল খুব হাসি খুশি দেখা গেছে ম্যাডামকে। দুই ভাবি ছিল গতকাল। মানসিকভাবে বেশ চাঙ্গা তিনি। রিল্যাক্স মুডে আছেন বলা যায়। চিকিৎসকরা বলছেন, মানসিকভাবে তাকে সুস্থ করা গেলে চিকিৎসা করা সহজ হবে। সেই লক্ষেই পরিবারের সদস্যরা খালেদা জিয়াকে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন।’

দীর্ঘদিন ধরে, লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, কিডনি, ফুসফুস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন খালেদা জিয়া।

 

সবা:স:জু- ৭২৮/২৫

ভুয়া মামলায় তৌহিদ আফ্রিদিকে কেনো গ্রেপ্তার করতে হবে

ভুয়া মামলায় তৌহিদ আফ্রিদিকে কেনো গ্রেপ্তার করতে হবে

ডেস্ক রিপোর্ট:

জুলাই আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলায় মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীর ছেলে কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আটকের বিষয় এটা নিছক একটি ভুয়া মামলা বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। সোমবার (২৫) সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

পোস্টে রাশেদ খান লিখেছেন, যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলায় তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা নিছক একটা ভুয়া মামলা। ভুয়া মামলায় কেন তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে? সে তেলবাজি করেছে, তেলবাজির মামলায় বা তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোন অভিযোগ থাকলে সেটির প্রেক্ষিতে গ্রেফতার করতে পারতো। তৌহিদ আফ্রিদিদের আমি কখনোই পছন্দ করি নাই। এদের তেলবাজি নিয়ে আমি বরাবরই প্রতিবাদ করেছি, বক্তব্যও দিয়েছি। বরাবর বলেছি, এসব তেলবাজরা তরুণদের আইডল হডে পারেনা। যাইহোক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা আইনের শাসনের কথা বলছি। ভুয়া মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা আইনের শাসন কায়েমের অন্তরায়। যার বিরুদ্ধে যতোটুকু অভিযোগ, সে যতোটুকু অন্যায় করেছে, তাকে ততোটুকুই শাস্তি দিতে হবে।

তিনি বলেন, সরাসরি আওয়ামীলীগের পদে থাকা ডামি এমপি বা মন্ত্রীরা কেন গ্রেফতার হচ্ছে না? তৌহিদ আফ্রিদির থেকে তারা বড় অপরাধী। তারা সন্ত্রাসী পেলেছে, দুর্নীতি করেছে, শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করেছে। তাদেরকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে নিরাপত্তা পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। বিচার শেষ হওয়ার পূর্বে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে সারাদেশে এরা জামিনও পাচ্ছে। আমি ১ বছর এসব নিয়ে প্রতিবাদ করায় অনেকের বিরাগভাজন হয়েছি।

তিনি আরো বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এসব কর্মযজ্ঞের সমালোচনা করায় যারা আমার সমালোচনা করেছে, তারা দেখি এখন সরাসরি ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস ও তার সরকারের কঠোর সমালোচনা ও আক্রমণ শুরু করেছে। এজন্য আমি আপাতত সরকারের সমালোচনা বন্ধ করেছি যে, স্বার্থে আঘাত লাগায় বা সরকারের সাথে নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে বিরোধ তৈরি হওয়ায় আমার সমালোচকদের বিবেক জাগ্রত হয়েছে। তারা আপাতত সব পুষিয়ে দিচ্ছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম