তারিখ লোড হচ্ছে...

ইবির সমাজকল্যাণ বিভাগকে সংস্কারের দাবিতে ৭ দিনের আল্টিমেটাম

অনলাইন ডেস্কঃ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সমাজকল্যাণ বিভাগকে সংস্কারের দাবিতে ৭ দিনের আল্টিমেটাম ও ৯ দফা দাবিতে বিভাগে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী প্ল্যাকার্ড হাতে তাদের দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দাবিসমূহের মধ্যে রয়েছে নির্দিষ্ট রুটিন প্রণয়ন এবং প্রতিটি কোর্সের ন্যূনতম ক্লাস নেয়া, সেশন জট নিরসনে তিন মাসের মধ্যে প্রত্যেক সেমিস্টারের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা, আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা, পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ এবং শিক্ষক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত গেস্ট টিচার দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা, পর্যাপ্ত ক্লাস রুমের ব্যবস্থা করা, সেমিনার লাইব্রেরি বরাদ্দ দেওয়া, ইনকোর্স সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার আগে নিতে হবে এবং নম্বর প্রকাশ করা, বর্তমান ট্রেজারার জাহাঙ্গীর আলম স্যারকে সমাজকল্যাণ বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেয়া, প্রতি বছর বিভাগ থেকে শিক্ষাসফরের ব্যবস্থা করা এবং সেটা সম্পূর্ণ বিভাগের অর্থায়নে করা, আন্দোলন পরবর্তী প্রভাব কোনো শিক্ষার্থীর উপর যেনো না পড়ে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা কয়েকবার দাবি জানিয়ে আসছি কিন্তু কোনো কর্ণপাত করে নাই। ৯ দফা দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে। প্রয়োজনে আমরণ অনশনে নেমে যাব। শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে কিছু সময় নিতে পারে কিন্তু খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ সহ অন্য দাবিগুলো সব মেনে নিতে হবে। তাদের দাবি সব রোডম্যাপ রাজপথে ঘোষণা দিয়ে ক্লাসে ফেরার সুযোগ দিতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি জানান, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেয়া হয়েছে। সবার চেষ্টায় দ্রুততম সময়ে অর্থাৎ এক সপ্তাহের মধ্যে দৃশ্যমান সংস্কার দেখতে পাবে শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে বিভাগের শিক্ষকরা স্বাক্ষর করেছেন। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে উপাচার্যের সম্মতিক্রমে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলমকে সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেয়া হয়। খণ্ডকালীন শিক্ষক সহ সব সংকট দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্রেজারার দেখভাল করবেন।

শিক্ষার্থীদের দাবি সমূহের মধ্যে বর্তমান ট্রেজারার বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়ার প্রসঙ্গ উঠে আসলে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আগের প্রশাসন কী করছে বা করছে না সেটা দেখার বিষয় না। আমি দায়িত্ব নিয়েছি যেহেতু প্রতিদিন জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসা হবে। শিক্ষার্থীদের এইটুকু আশ্বস্ত করতে পারি যে আমি যেখানে থাকবো সেখানে স্বল্প সময়ের মধ্যেই দৃশ্যমান ফলাফল দেখতে পাবে।

 

সবা:স:জু- ৭৩৪/২৫

জোর করে পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের জন্য সুখবর!

স্টাফ রিপোর্টার:

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের জোর করে পদত্যাগ করানোর ঘটনা ঘটেছে। অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগও ছিল।

সেসব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত চললেও অনেকের বেতন-ভাতা বন্ধ ছিল। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমন শিক্ষকদের অভিযোগ নিষ্পত্তির আগ পর্যন্ত তাদের বেতন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত সোমবার (০৭ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পুনর্বহালসহ ইএফটিতে নাম অন্তর্ভুক্তকরণ বিষয়ে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের গত ১৪ জানুয়ারি ৩৭,০০,০০০০,০৭২.১৮.০০৩.২৪.০৪ নম্বর পত্রে শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগের পেছনে যাদের বিরুদ্ধে যৌক্তিক অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বেতন-ভাতা চালু থাকবে মর্মে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

এমতাবস্থায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের গত ১৪ জানুয়ারির চিঠির নির্দেশনা অনুযায়ী দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম