তারিখ লোড হচ্ছে...

কর্মীদের বীমা সুরক্ষা প্রদানে ঢাকা ব্যাংক ও মেটলাইফের চুক্তি স্বাক্ষর

স্টাফ রিপোর্টারঃ

নিজেদের কর্মীদের জীবন বীমা কাভারেজ সুবিধা প্রদানে মেটলাইফ বাংলাদেশের সাথে এক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ঢাকা ব্যাংক। এ চুক্তির ফলে, ঢাকা ব্যাংকের ১৯৮০ জনের বেশি কর্মী গুরুতর অসুস্থতা, দুর্ঘটনা, অক্ষমতা ও জীবনহানির ক্ষেত্রে বীমার আর্থিক সুরক্ষা পাবেন।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন ঢাকা ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শেখ মোহাম্মদ মারুফ ও মেটলাইফ বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আলা আহমদ। শনিবার (১১ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কর্মীদের জন্য বীমা সুরক্ষা প্রদান, কর্মক্ষেত্রে তাঁদের নিরাপদ এবং মনোযোগী থাকার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বীমা সুরক্ষা সংকটময় সময়ে কর্মী ও তাদের পরিবারের ওপর আর্থিক চাপ যেমন কমায় তেমনি কর্মীদের কল্যাণের প্রতি প্রতিষ্ঠানের প্রতিশ্রুতিকে প্রমান করে।

বীমা দাবি নিষ্পত্তিতে ধারাবাহিক সাফল্য, কাস্টমাইজড বীমা সেবা, অত্যাধুনিক ড্যাশবোর্ড, ক্যাশলেস আউটপেশেন্ট ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা এবং বীমাদাবির দ্রুত পেমেন্ট ও ঝামেলামুক্ত দাবি নিষ্পত্তির আর্থিক সক্ষমতার কারণে নিজেদের কর্মীদের বীমা সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে মেটলাইফকে নির্বাচন করেছে ঢাকা ব্যাংক।

এ বিষয়ে ঢাকা ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শেখ মোহাম্মদ মারুফ বলেন, “বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে অনন্য উৎকর্ষের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেছে ঢাকা ব্যাংক। আমাদের কর্মী ও তাদের পরিবারের জন্য মেটলাইফের বীমা নিশ্চিত করার মাধ্যমে যারা প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে নিবেদিতভাবে অবদান রেখে চলেছেন, তাদের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছি।”

মেটলাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আলা আহমদ বলেন, “কর্মীদের সুস্থতা ও কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য আমরা ঢাকা ব্যাংককে অভিনন্দন জানাই। একটি সুরক্ষিত ও স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ তৈরিতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করতে মেটলাইফ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

১৯৯৫ সাল থেকেই বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড। ব্যাংকটি লক্ষাধিক গ্রাহককে সম্পূর্ণ পরিসরে ব্যাংকিং সেবা প্রদানের পাশাপাশি তাদের জন্য বিনিয়োগের সুযোগ তৈরিতে কাজ করে।

বাংলাদেশে মেটলাইফ ১০ লাখেরও বেশি ব্যক্তি ও ৯ শ’রও বেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য বীমা সুরক্ষা নিশ্চিত করে আসছে। গত ৬ বছরে মেটলাইফ বাংলাদেশ ১০,৫০০ কোটি টাকার বেশি বীমা দাবি নিষ্পত্তি করেছে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ঢাকা ব্যাংক থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. মোস্তাক আহমেদ, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শেখ আব্দুল বাকির ও ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. মইন উদ্দীনসহ ব্যাংকটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।

অনুষ্ঠানে মেটলাইফ বাংলাদেশ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ ডিস্ট্রিবিউশন অফিসার জাফর সাদেক চৌধুরী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার আলা উদ্দীন, ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এমপ্লয়ি বেনিফিটস মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, এমপ্লয়ি বেনিফিটসের অ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর মনিরুল ইসলাম এবং এমপ্লয়ি বেনিফিটসের ম্যানেজার এস. এম. শাহরিয়াজ আরাফাত।

 

সবা:স:জু- ৭৪৭/২৫

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক-বর্তমান সব কর্মকর্তার লকার ফ্রিজ

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ ব্যাংকে সংরক্ষিত সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের সব লকার ফ্রিজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে কোনো কর্মকর্তা লকার খুলে রক্ষিত মালামাল নিতে না পারবেন না।

আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে রাখা সব কর্মকর্তার সেফ ডিপোজিট সাময়িক সময়ের জন্য ফ্রিজ (স্থগিত) করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যাতে কোনও কর্মকর্তা রক্ষিত মালামাল লকার খুলে নিতে না পারেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিকী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনোভাবেই যাতে লকার থেকে অর্থ-সম্পদ সরিয়ে নিতে না পারেন, সে জন্য সব লকার ফ্রিজ করার অনুরোধ জানিয়ে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন দুদক পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, গত ২৬ জানুয়ারি আদালতের অনুমতিতে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যে গঠিত দুর্নীতি দমন কমিশনের টিম বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর সেইফ ডিপোজিট তল্লাশি করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে তার জমা করা তিনটি সিলগালা কৌটা খুলে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ১০০৫ দশমিক ৪ গ্রাম স্বর্ণ ও ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে।

তল্লাশিকালে রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য কিছু কর্মকর্তাও সিলগালা করে সেইফ ডিপোজিট রেখেছেন। এসব সিলগালা কৌটাতেও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকার অবকাশ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে বলে মনে করছে দুদক।

চিঠিতে আরও বলা হয়, গত ৩০ জানুয়ারি বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের ‘দুদক ও সম্পদ পুনরুদ্ধার বিষয়ক’ আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত সম্পদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ওই ভল্টে রক্ষিত সম্পদ সাময়িক ফ্রিজের সম্মতি দিয়েছেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম