তারিখ লোড হচ্ছে...

প্রকৃত মুসলিম শাসকের প্রতিকৃতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু

নূর আহমাদ ॥
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ডকে নানা প্রতিকূলতা ঠেলে ধ্বংস্তূপ থেকে টেনে তোলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি দেখেন চারদিকে দুর্নীতির মহোৎসব। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে দেশে দুর্নীতির চিত্র আরও প্রকট হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জীবনদর্শন ও রাষ্ট্রচিন্তায় ধর্মীয় প্রভাবের কারণেই দুর্নীতিবাজ ও ঘুসখোরদের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন অনমনীয়।

তার ব্যক্তিত্বে একজন সত্যিকার মুসলিম শাসকের গুণাবলির ছাপ ছিল। বঙ্গবন্ধুর দুর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করেছেন দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ ও কুরআন গবেষক মাওলানা শাইখ মুহাম্মাদ জামাল উদ্দীন।

তিনি জামালী তালিমুল কুরআন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং ২৪ ঘণ্টায় কুরআন শিক্ষা মেথডের আবিষ্কারক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নূর আহমাদ

দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন বঙ্গবন্ধু। এ নিয়ে আপনার বিশ্লেষণ জানতে চাই।

: একটি দেশ পিছিয়ে যায় দুর্নীতিবাজ-লুটেরাদের কারণে। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি স্বাধীন হয়েছে ৫০ বছর হলো। এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটা কম সময় নয়। আমাদের অনেক পরের দেশ মালয়েশিয়া এখন উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা এগোতে পারিনি দুর্নীতির কারণে। দুর্নীতি, ঘুস, কালোবাজারি এগুলো আজকের সমস্যা নয়। দেশ স্বাধীনের পর থেকেই একটি মহল হারাম উপার্জনের মহোৎসবে নামে। তাই তো আফসোস করে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, দেশ স্বাধীন হলে অন্যরা পায় তেলের খনি, স্বর্ণের খনি, আমি পেলাম চোরের খনি। এই চোরদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আফসোসের সীমা ছিল না। ১৯৭৪ সালের ১৮ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক কাউন্সিলের উদ্বোধনী ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন, আজ মনে হচ্ছে আমাদের কোথায় যেন গণ্ডোগোল রয়ে গেছে। মানুষ এত টাকা দিয়ে করবেটা কী। শুধু টাকা কামাইয়ের ধান্ধা।

আমি প্রায়ই আফসোস করে বলি, এ দেশে অশিক্ষিত চাষাভুষারা দুর্নীতি করেন না, দুর্নীতি কারা করেন? শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীরা। আপনারা মন খারাপ করবেন না। এটাই সত্য কথা। কালোবাজারি কারা করে? খাদ্যে ভেজাল কারা মেশায়? ভেজাল ওষুধ তৈরির মেধা কি কৃষকের আছে? আপনাদের মতো একশ্রেণির শিক্ষিত মানুষই এসব দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। আমরা যারা লেখাপড়া শিখি, দামি গাড়িতে চড়ি, স্যুট টাই পরি, তারাই বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে বিদেশি এজেন্ট হই। বঙ্গবন্ধু বলেন, আমরা মহাবিপদে আছি।

আপনারা যারা বুদ্ধিজীবী, শিক্ষিত, দেশকে নেতৃত্ব দেন, তাদের দায়িত্ব হবে আত্মসমালোচনা করা। আর আওয়ামী লীগের সহকর্মী ভাইয়েরা, তোমরা কালোবাজারিদের পেছনে লাগো, ঘুসখোরদের পেছনে লাগো। তোমরা আমার কথায় আগেও ঝাঁপিয়ে পড়েছ, এখনো ঝাঁপিয়ে পড়বে বলে আমার বিশ্বাস। শুধু আইন দিয়ে, শক্তি দিয়ে দুর্নীতি দমন করা যায় না, এ জন্য জনগণকে জাগতে হবে। দেশ স্বাধীনের পর এখন আমাদের সংগ্রাম দুর্নীতিবাজ-ঘুসখোর ও লুটেরাদের বিরুদ্ধে। এরা হলো মুনাফেক। আর মুনাফেকরা কখনোই নিজের দেশের ভালো চায় না। এরা দেশের অমঙ্গলে খুশি হয়। এদের ব্যাপারে সাবধান তোমরা থাক।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম তো আসলে হারাম উপার্জনের বিরুদ্ধেই জিহাদ ঘোষাণা করা, তাই নয় কি?

: তা তো অবশ্যই। যে কোনো রাষ্ট্রপ্রধানকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স থাকতে হবে। নয়তো ফাঁকা বুলিতে পেট ভরবে না। বঙ্গবন্ধু বিষয়টি বুঝেছেন। তাই তিনি দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন। আওয়ামী লীগের কর্মীদের দুর্নীতিবাজ-ঘুসখোরদের পেছনে লাগতে বলেছেন। শুধু তাই নয়, সুদিনে কেউ যেন আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে কালোবাজারি না করে সে ব্যাপারেও তিনি আমাদের সতর্ক করে গেছেন। আফসোস! আজ চারদিকে কালো মানুষদের জয়জয়কার।

একজন নিুবিত্ত শ্রমিক থেকে শুরু করে ওপরের লেভেলের সবাই যার যার অবস্থান থেকে অন্যায়-অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। হারাম উপার্জনের সঙ্গে জড়িত। ব্যবসায়ী ব্যবসায় ভেজাল দিয়ে, মজুতদারি করে নামাজে দৌড় দেয়। কর্মকর্তারা কাজে ফাঁকি দিয়ে, অবৈধ সুবিধা দিয়ে টাকা কামিয়ে বছরে বছরে হজে যায়। অর্থাৎ, আমরা কালোটাকাও উপার্জন করছি, ধর্মও ঠিক রাখছি।

কী বোকার রাজ্যে বসবাস আমাদের! হারাম উপার্জনের ইবাদত কবুল হবে না এ সত্যটি যেন আমরা ভুলেই গেছি। মনে রাখতে হবে, আমরা ভুলে গেলে বা এড়িয়ে গেলে আল্লাহ কিন্তু ভুলে যান না। আজ দেশে যে জ্বালানি সমস্যা, লোডশেডিং, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ডাকাতি, প্রাণনাশ, অশান্তির আগুন-সব সমস্যা আসলে আমাদের হারাম উপার্জন তথা দুর্নীতির শাস্তি। এ জন্য কোনো দল, সরকার বা ব্যক্তি বিশেষকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। যে সরকারই থাকুকন না কেন, হারাম উপার্জন বন্ধ না হলে দেশে শান্তি ফিরে আসবে না।

বঙ্গবন্ধুর জীবনে ধর্মের প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাই।

: বঙ্গবন্ধু ছিলেন আগাগোড়া ধর্মীয় মানুষ। তার লেখা, বক্তৃতা এর উজ্জ্বল প্রমাণ। সমস্যা হলো, যারা বঙ্গবন্ধুর বিরোধিতা করে তারা বঙ্গবন্ধুকে পড়ে না। তিনি ধর্ম বুঝতেন বলেই অন্যায়-অনাচার-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্ছার ছিলেন। ভারতবর্ষে তখন হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা চরমে। মুসলমানরা ইসলামের শত্রু মনে করে ইংরেজদের থেকে দূরে থাকার মতো মারাত্মক ভুল করে বসে। এ সুযোগে ইংরেজ সরকারের পা-চাটা গোলাম সেজে শিক্ষিত হিন্দুরা কারণে অকারণে মুসলমানদের পিঠের চামড়া তুলে নিত। বঙ্গবন্ধু বলেন, বিষয়টি আমার খুবই খারাপ লাগত। তখনো তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েননি।

স্কুলের হিন্দু সহপাঠীদের ছুৎমার্গ আচরণ দেখে বেজায় কষ্ট পেতেন। এক মুসলিম ছাত্রকে মারার প্রতিবাদের হিন্দু সহাপাঠীদের মেরে জেলও খেটেছিলেন স্কুল জীবনেই। তবে ধর্র্মীয় গোঁড়ামি যাকে বলে তা বঙ্গবন্ধুর মাঝে কখনোই ছিল না। তিনি বলেন, ওই সময় হিন্দুরা যেমন মুসলমানদের দেখতে পারত না, মুসলমান নেতারাও বক্তৃতা শুরু করত হিন্দুদের গালিগালাজ করে। এসব আমার মোটেই ভালো লাগত না। এরপর আল্লামা ইকবাল, শহিদ সোহরাওয়ার্দীর প্রভাবে তিনি পাকিস্তান আন্দোলন শুরু করেন। মুজিব নিজেই লিখেন, ‘তখন রাজনীতি শুরু করেছি ভীষণভাবে। সভা করি, বক্তৃতা করি।

খেলার দিকে আর নজর নেই। শুধু মুসলিম লীগ আর ছাত্রলীগ। পাকিস্তান আনতেই হবে, নতুবা মুসলমানদের বাঁচার উপায় নেই।’ শুরু হয়ে গেল মুসলমানদের বাঁচানোর জেহাদ। বঙ্গবন্ধু লিখেন, ইংরেজদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে হাজার হাজার বাঙালি মুজাহিদরা কীভাবে জেহাদে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, সিপাহী বিদ্রোহ, ওহাবি আন্দোলন, শরিয়ত উল্লাহ ও তিতুমীরের জেহাদের ইতিহাস আমার জানা ছিল। ওইসব ঘটনা বলেই বাংলার মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতাম।

বঙ্গবন্ধুর এসব ইতিহাস আজ খুব একটা শোনা যায় না কেন?

: পড়াশোনার অভাব। যারা বঙ্গবন্ধুকে নাস্তিক-মুরতাদ বলে অপপ্রচার চালিয়েছে খোঁজ নিলে দেখা যাবে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তারা দুই লাইনও পড়েনি। আফসোস! ইতিহাস বুঝি এভাবেই বিগড়ে যায়। আগাগোড়া ইসলাম মানা মানুষটিকে নিয়ে আজ কী সব কাণ্ডকারখানাই না হচ্ছে। চাঁদাবাজের মুখেও বঙ্গবন্ধু, ধর্ষকও ধর্ষণ করে বঙ্গবন্ধুর নাম করে। চোর-বাটপার দেশের সম্পদ লুট করছে নামের পাশে বঙ্গবন্ধু সার্টিফিকেট ঝুলিয়ে। যেন বঙ্গবন্ধু জীবন-যৌবন পানি করে চোর-বাটপারদের জন্য সোনার বাংলা গড়ে গেছেন।

বঙ্গবন্ধুর আমৃত্যু স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা সোনার মদিনার মতো সুখী-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে। তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও মদিনার সনদে দেশ চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আজ যারা কথায় কথায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা বলে মুখে ফেনা তুলছে, তাদের মনে রাখতে হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ইসলাম, শান্তি, সম্প্রীতি। তিনি ছিলেন আগাগোড়া একজন দ্বীনদার, ইমানদার, সাচ্ছা মুমিন মুসলমান। প্রকৃত মুসলিম শাসকের সব গুণাবলির সন্নিবেশ ঘটেছিল বঙ্গবন্ধুর মাঝে। আল্লাহ তাকে জান্নাতের মহান সম্মানিত আসনে সমাসীন করুন।
সূত্রঃ যুগান্তর

 

 

কুমিল্লা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ তৃণমূলের পছন্দের তালিকায় আলী আকবর!

মাহফুজ বাবুঃ
রাজনীতি মানুষ ও দেশের কল্যাণে করি। নিজে লাভের জন্য নয়, রাজনীতি আমার পেশা নয় এটা অনেকটা নেশার মতই। দেশ ও মানুষের সেবার জন্যই রাজনীতি করি। আর সেই অভিপ্রায় নিয়েই দীর্ঘ সময় ধরে সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজ সেবক কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলী আকবর। তিনি বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মান। সমাজ ও জনগনের সেবার মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অংশীদার হওয়া। সেই সাথে আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা মিশন ও ভিশন বাস্তবায়নের জন্য আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন আশা করছি। গত ৩৫ বছরের রাজনীতিতে কখনো মনোনয়ন চাইনি। ছাত্রলীগ যুবলীগ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ, তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে সম্পৃক্ত থেকে দেশ দল ও মানুষের কল্যানে কাজ করেছি। স্বচ্ছতার সাথে সাংগঠন, রাজনৈতিক, সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডের যথাযথ মূল্যায়ন করে কুমিল্লা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দেবেন, ইনশাআল্লাহ। নির্বাচত হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করার পাশাপাশি তার মিশন ও ভিশন বাস্তবায়নে গ্রামকে শহর ও একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মাধ্যমে বেকারত্ব সমস্যা সমাধানকে প্রধান্য দিয়ে কাজ করতে চাই। নেত্রীর সীদ্ধান্তই চুরান্ত, দল যদি আমার চেয়ে যোগ্য কাউকে মনোনীত করে অবশ্যই তার পক্ষে কাজ করবো। ভোটার ও কুমিল্লাবাসী তথা সকলের দোয়া ও সমর্থন চাই”

গত ৪ অক্টবর দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩/এ আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয় থেকে আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচন (২০২২ইং) চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন মনোনয়নপত্র ক্রয় ও দাখিল করেন।

রাজনৈতিক অভিভাবক হিসেবে সংসদ সদস্য ও সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক এর নেতৃত্বে সুখে দুখে সবসময় রাজপথে থেকে দেশ ও মানুষের কল্যাণে লড়াই সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। দেশ ও জনসেবার পরিধিকে আরো বিস্তৃত করতে আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলী আকবর। বিগত দিনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, দলীয় নির্দেশনা পালন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, মানবিক ও জনকল্যাণমুলক কাজের মূল্যায়ন এবং তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা পূরনে আওয়ামী লীগ মনোনীত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে তিনিই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন বলে মনে করছেন তৃণমূল আওয়ামী সংগঠনের নেতাকর্মী সহ রাজনৈতিক বোদ্ধারা।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে আলোচনা ও তৃণমূলের পছন্দের শীর্ষে অবস্থানকারী আলী আকবর এর ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও রাজনৈতিক বিবরণ
—————–
মোঃ আলি আকবর বিশিষ্ট শিল্পপতি, সমাজ সেবক, নিরহংকারী ও পরোপকারী এই মানুষটি নিজ এলাকা সহ আশেপাশের এলাকায় সকলের কাছে একটি প্রিয়মুখ ও স্বচ্ছ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে। আপাদমস্তক একজন মানব দরদী ও সমাজ সেবক এই মানুষটি ১৯৭১ সালের ১৬ জুলাই কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ১নং কালির বাজার ইউনিয়নের ধনুয়াখলা গ্রামের চেয়ারম্যান বাড়িতে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। সামাজিক ও উন্নয়নমুলক কর্মকাণ্ডের কারনে এলাকায় সুপরিচিত ছিলেন পিতা মরহুম হাজী আব্দুর রহমান। বঙ্গবন্ধু আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে ১৯৮৬ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতির প্রথম হাতেখড়ি। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে আওয়ামী লীগের সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরব উপস্থিত ও সাংগঠনিক দক্ষতার কারনে ১৯৮৭ সালে কালির বাজার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তৃণমুল রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে দলের দুঃসময়ে সামনের সারিতে থেকে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভুমিকা রাখেন। পদ পদবীর প্রত্যাশী না হলেও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নানা অবদানের কারনে ২০১৬সাল থেকে কুমিল্লা জেলা (দঃ) আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে অদ্যবধি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন স্বচ্ছতার সাথে। স্থানীয় আওয়ামিলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ৪ ভাইয়ের মাঝে ৩য় আলী আকবর শিক্ষাগত যোগ্যতায় বি.এ পাশ। বড় ভাই শিল্পপতি বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও প্রতিষ্ঠিত প্রবাসী ব্যবসায়ী ধনুয়াখলা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নূরুল ইসলাম। মেঝ ভাই উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও কালির বাজার ইউনিয় পরিষদের একাধিকবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সেকান্দর আলী এবং ছোট ভাই সমাজ সেবক প্রবাসী ব্যবসায়ী আলি আশ্রাফ আশু। শশুর আওয়ামিলীগ লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য, মুজাফফর আলী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সাংসদ সদস্য মরহুম মুজাফ্ফর আলী (১৯৭০ ও ১৯৭৩-১৯৭৫ ইং)।

আলী আকবর জনপ্রতিনিধি না হয়েও একাধারে রাজনীতি, সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মাকান্ড ও ব্যবসায়ীক ভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি সহ সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ও আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে নিজ মেধা এবং দক্ষতায় গ্রহনযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তায় শীর্ষ অবস্থানকারীদের একজন হয়ে উঠেছেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারন করে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচার ও প্রসারে সক্রিয় থাকার পাশাপাশি অলাভজনক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে ধনুয়াখলা গ্রামে অসহায় সুবিধা বঞ্চিত এতিম শিশু কিশোরদের শিক্ষাদানের জন্য মায়ের নামে তার প্রতিষ্ঠিত ❝করফুলের নেছা ফাউন্ডেশন❞ । প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ❝ক্রিয়েটিভ ইন্টারন্যাশনাল কলেজ❞ কুমিল্লা। পরিচালক ও পৃষ্ঠপোষক ❝মুজাফ্ফর আলী ফাউন্ডেশন❞ পিরোজপুর সোনারগাঁও, নারায়নগঞ্জ। বিদ্যুৎ সাহি সদস্য ❝ধনুয়াখলা আদর্শ পাবলিক ডিগ্রী কলেজ❞ নিয়মিত সদস্য কুমিল্লা ক্লাব। এছাড়াও মানবিক নানা কাজের সাথেই তার সম্পৃক্ততা তো রয়েছেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বা করোনা কালে ফ্রী অক্সিজেন সেবা ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন তিনি।

শুধু রাজনৈতিক, সামাজিকও মানবিক ক্ষেত্রেই নয় ব্যবসায়ীক ক্ষেত্রেও সফল একজন মানুষ আলী আকবর, শতশত মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন দেশে বিদেশে।
রিয়েল এস্টেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিভিক ডেভেলপমেন্টস্ লিঃ, ১০৫, নর্দান রোড বাড়িধারা, ঢাকা। মা ও শিশু স্পেশালাইজড হাসপাতাল, সিভিক স্কয়ার, ঝাউতলা, কুমিল্লা। ম্যাট্রিক্স ফুডস লিঃ ফ্লাওয়ার মিল, বিসিক শিল্প এলাকা, কুমিল্লা।হোটেল নূর মহল, রেস্টুরেন্ট ও আবাসিক হোটেল, ডুবাইরচর, সৈয়দপুর, কুমিলা। নূর এন্ড ব্রাদার্স সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন, সিএনজি গ্যাস ষ্টেশন ডুবাইরচর, সৈয়দপুর, কুমিল্লা। সিভিক মিডিয়া এন্ড পাবিকেশন্স, ইলেক্ট্রিক মিডিয়া এন্ড প্রিন্ট মিডিয়া, হালিম ম্যানর, টমছম ব্রিজ, কুমিল্লা। এছাড়া সৌদি আরবে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন। সুসম উন্নয়নের মাধ্যমে জাতির জনকের স্বপ্ন ও জননেত্রী শেখ হাসিনার মিশন ভিশন বাস্তবায়নে কাজ করার ইচ্ছে তার। সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন ও দেশের উন্নয়নে শরিক হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করে তুলতে চান সকলের পছন্দের তালিকায় থাকা ক্লিন ইমেজের রাজনৈতিক ও মানবিক ব্যক্তিত্বের অধিকারী আলী আকবর। বেশ কয়েকজন প্রার্থী আলোচনায় থাকলেও বরাবরের মতই দলের নেতাকর্মীদের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী স্বচ্ছতাকে প্রাধান্য দিয়ে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলী আকবর’কেই দলীয় মনোনয়ন দেবেন এমনটাই প্রত্যাশা করেন তারা।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম