তারিখ লোড হচ্ছে...

দেশে একজনের শরীরে এইচএমপিভি শনাক্ত

অনলাইন ডেস্কঃ

জাপান, মালয়শিয়া ও ভারতের পর এবার বাংলাদেশেও শনাক্ত হলো চীনে আতঙ্ক ছড়ানো হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্ত রোগী। আক্রান্ত ব্যক্তি একজন নারী, যার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকায় বলে জানা গেছে।

রোববার (১২ জানুয়ারি) রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, শনিবার (১১ জানুয়ারি) আমরা নতুন করে একজনের দেহে এইচএমপিভি সংক্রমণের একটা রিপোর্ট পেয়েছি। তিনি এইচএমপিভিতে আক্রান্তের পাশাপাশি ক্লেবসিয়েলা নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত। তিনি রাজধানীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক অবস্থা যতটুকু জেনেছি আগের চেয়ে খানিকটা ভালো।

তিনি বলেন, তিনি দেশেই আক্রান্ত হয়েছেন, কারণ তার কোনো বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই। এটা খুবই স্বাভাবিক। হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই আছে। সুতরাং এটা নিয়ে নতুন করে আতঙ্কের কিছু নেই।

নতুন করে ২০২৫ সালে এসে আতঙ্ক ছড়ালেও এইচএমপিভি নামক ভাইরাসটিতে প্রতিবছরই দু-চারজন আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন।

তিনি বলেন, হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসটি নতুন কোনো ভাইরাস নয়। এটা শুধু চীনেই নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশেও এই ভাইরাসের উপস্থিতি আরও আগে থেকেই আমরা পেয়েছি। কাজেই এটা নতুন কোনো ভাইরাস নয়।

তাহমিনা শিরীন আরও বলেন, বাংলাদেশে আমরা যখন সর্বপ্রথম এই পরীক্ষাটি করেছি, তখনই কয়েকজন শনাক্ত পেয়েছিলাম। হয়তো এর আগেই যদি পরীক্ষা করা হতো, তাহলে আগেই শনাক্ত হতো। সুতরাং ঠিক কবে এই ভাইরাসটি দেশে এসেছে, সেটি বলা সম্ভব নয়। তবে প্রতিবছরই কমবেশি শনাক্ত হয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, বর্তমানে এইচএমপিভির চিকিৎসার জন্য কোনো নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল থেরাপি নেই এবং এইচএমপিভি প্রতিরোধ করার জন্য কোনো ভ্যাকসিন নেই। তাই রোগের উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয়।

চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে পূর্ব এশিয়ার দেশ চীনে প্রথম এর সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর জাপানে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। এখন এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাব মালয়েশিয়া ও ভারতেও ছড়িয়ে পড়েছে।

বিশেষজ্ঞদের দাবি,এইচএমপিভি ২০০১ সাল থেকেই বাংলাদেশে আছে। এমনকি এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে যথেষ্ট অ্যান্টিবডিও তৈরি হয়েছে। যে কারণে করোনাভাইরাসের মতো এই ভাইরাস নিয়ে এতো ভয়ের কিছু নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে, ২০০১ সালে বিশ্বে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হয়ত আরো অনেক যুগ আগে থেকেই এই ভাইরাসের অস্তিত্ব ছিল পৃথিবীতে। কেউ কেউ বলছেন, ১৯৫৮ সাল থেকেই রোগটা আছে বলেও যোগসূত্র পাওয়া যায়।

সিডিসি বলছে, এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে যে কোনো বয়সী মানুষের ব্রংকাইটিস বা নিউমোনিয়ার মত অসুখ হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত এটি শিশু, বয়স্ক মানুষ এবং যাদের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল তাদের মধ্যেই বেশি দেখা গেছে।

 

সবা:স:জু- ৭৬৫/২৫

শীতে সর্দি-কাশিতে,হার্ট জনিত সমস্যা, গলা ব্যথায় মধু

স্বাস্থ্য ডেস্কঃ

উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন একটি ভেষজ তরল হলো মধু। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের খনি। এই উপাদান একাধিক রোগের ফাঁদ থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে। বিশেষত, শীতের দিনে মধু সেবন করা অত্যন্ত উপকারী। তাতে যেমন শরীর গরম থাকবে, ঠিক তেমনই বাড়বে ইমিউনিটিও।

তাই আর সময় নষ্ট না করে শীতে মধু খাওয়ার একাধিক চমকে দেওয়া গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নিন। তারপর নিজের ইচ্ছাতেই মধুকে ডায়েটে জায়গা করে দেবেন। তাতেই আপনাদের সুস্থ থাকার পথ প্রশস্থ হবে।

গলা ব্যথা নিপাত যাবে

শীত পড়তেই আমাদের মধ্যে অনেকে গলা ব্যথার খপ্পরে পড়ে ভীষণই কষ্ট পান। এই সমস্যার ফাঁদে পড়লে ঢোক গিলতে গেলেও সহ্য করতে হয় অসহ্য যন্ত্রণা। তবে ভালো খবর হলো, এই সমস্যায় একদম ধন্বন্তরির মতো কাজ করে মধু।

কারণ এতে এমন কিছু উপকারী উপাদান রয়েছে যা একাধিক ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকরী। তাই গলা ব্যথা থেকে সহজে মুক্তি পেতে চাইলে গরম পানি বা চায়ে অল্প একটু মধু মিশিয়ে দিনে দুই-তিনবার পান করুন। তাতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।

কমবে কাশি

আবহাওয়ার পারদ পতন হওয়ার পরই বেড়েছে কাশির প্রকোপ। ৮ থেকে ৮০, প্রায় সব বয়সিরাই অহরহ এই সমস্যার ফাঁদে পড়ছেন। তবে কাশি হলেই কফ সিরাপ খাওয়ার ভুলটা করা চলবে না। বরং এই সমস্যায় মধু খাওয়ার চেষ্টা করুন। তাতেই দমকা কাশির প্রকোপ কমবে। এমনকি এই প্রাকৃতিক উপাদানের গুণে বুকে জমে থাকা কফও বেরিয়ে যাবে। তাই এই সমস্যার ফাঁদে পড়লে দ্রুত মধুর শরণাপন্ন হন।

হার্টের বন্ধু

এই ঋতুতে রক্তনালী সঙ্কুচিত হয়ে পড়তে পারে। ফলে বাড়তে পারে রক্তচাপ। তাতে অচিরেই হার্টের বারোটা বাজবে, তা তো বলাই বাহুল্য! রক্তচাপকে বশে রাখার কাজে একাই একশো মধু। এমনকি নিয়মিত মধু খেলে হৃদগতি স্বাভাবিক থাকবে। সেই সঙ্গে খারাপ কোলেস্টেরল কমানোর কাজেও এর কিছুটা হলেও ভূমিকা রয়েছে। তাই হার্টের রোগের ফাঁদ এড়াতে চাইলে এই প্রাকৃতিক মিষ্টির সঙ্গে দ্রুত বন্ধুত্ব করে নিন।

বাড়বে ইমিউনিটি

রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা চাঙ্গা থাকলে একাধিক সংক্রামক রোগের ফাঁদ অনায়াসে এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে মধু। কারণ এতে রয়েছে অত্যন্ত উপকারী কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা দেহে প্রদাহের প্রকোপ কমানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। এমনকি এই উপাদানের গুণে বাড়ে ইমিউনিটিও। তাই জ্বর, সর্দি, কাশির মতো ছুটকো অসুখের থেকে দূরত্ব বজায় রাখার ইচ্ছা থাকলে নিয়মিত মধু খেতে ভুলবেন না যেন।

চলতে পারে ডায়াবেটিসেও

সাধারণত সুগার রোগীদের মিষ্টি খাবারের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে আপনারা চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো মধু খেতেই পারেন। তাতেই শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মিটে যাবে। এমনকি বাড়বে না সুগারও। তবে কোনোমতেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মধু খাবেন না। এই ভুলটা করলে যে মহা ফাঁসা ফেঁসে যাবেন।

 

সবা:স:জু- ৭১৮/২৫

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম