তারিখ লোড হচ্ছে...

সিলেটে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টারঃ

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমি আশা করি কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল কিডনি রোগীদের সেবায় নিয়োজিত থাকবে। বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত ও অসহায় রোগীদের জন্য এটি একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।

সাশ্রয়ী ও আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সেবা দেয়া এবং রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য মাঠ পর্যায়ে তারা কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা এটি মাইলফলক ভূমিকা রাখবে। কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, সিলেটের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত থেকে তিনি এসব কথা বলেন। গত শনিবার তেমুখীর বাদাঘাট রোডস্থ নাজিরেরগাঁও-তে অবস্থিত কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, সিলেটের নিজস্ব ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। কিডনি ফাউন্ডেশন সিলেটের সভাপতি প্রফেসর ডা. জিয়া উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং ট্রাস্টি ফিতরাত রশীদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অন্তর্বর্তী সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশীদ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- চ্যানেল এস-এর চেয়ারম্যান আহমদ-উস-সামাদ চৌধুরী জেপি, মেজর জেনারেল আজিজুর রহমান বীর উত্তম, ঢাকাস্থ ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চ হাসপাতাল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. হারুনুর রশীদ, ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামারা হাসান আবেদ, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি’র চেয়ারপারসন মেহেরিয়ার এম হাসান, শহীদ প্রফেসর শামসুদ্দিন আহমদ ফাউন্ডেশন অ্যান্ড এডুকেশন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সালাহউদ্দীন আহমেদ, সৈয়দ জাকি হোসাইন। কিডনি ফাউন্ডেশন সিলেটের চেয়ারম্যান ডা. জিয়া উদ্দিন আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক কর্নেল মুহাম্মদ আব্দুস সালাম বীর প্রতীক অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশীদ বলেন, সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের অধীনে ৭৬০০০টি প্রতিষ্ঠান আছে। কিডনি ফাউন্ডেশন সিলেটও এর অন্তর্ভুক্ত। সমাজকল্যাণ অধিদপ্তর ও কিডনি ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এ হাসপাতাল নির্মাণ সত্যিই একটি অসাধারণ কাজ। আমি তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই, যারা এ কাজের জন্য সবার সঙ্গে সংযোগ করেছেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদ কে চৌধুরী বলেন, কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, সিলেটের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত, তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। একটি প্রতিষ্ঠানকে উন্নত করতে হলে অর্থনৈতিক, প্রোগ্রাম্যাটিক, টেকসই দৃষ্টিভঙ্গি এবং যোগ্য উত্তরসূরি দরকার।

 

বা:স:জু- ৭৭২/২৫

সাদাপাথর ফেরত দিতে জেলা প্রশাসনের মাইকিং

সাদাপাথর ফেরত দিতে জেলা প্রশাসনের মাইকিং

সিলেট সংবাদদাতা:

সিলেটের ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক সারোয়ার আলম জানিয়েছেন, আগামী ২৬ আগস্ট (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৫টার মধ্যে যার কাছে সাদাপাথর মজুদ আছে, তাদেরকে নিজ উদ্যোগে ও নিজ খরচে সেসব পাথর ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর এলাকায় ফেরত দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পর কারো কাছে এসব পাথর পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই কোম্পানীগঞ্জ ও সিলেট সদর উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যার মধ্যে অন্যতম হলো পাথর উদ্ধারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সরাসরি দায়িত্ব পালন করবেন। জেলা প্রশাসক স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, জনপ্রতিনিধিরা সরকারের অংশ হওয়ায় এই অভিযানে তাদেরও দায় রয়েছে। তাই তারা নিজ নিজ এলাকায় খোঁজ নিয়ে লুকানো পাথর উদ্ধার করে সাদাপাথরে পৌঁছে দেবেন।

এছাড়া স্থানীয় জনগণকে অবহিত করতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইকিংও করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন আরও জানায়, সময়সীমা পেরিয়ে গেলে শুধু দোষীদের বিরুদ্ধেই নয়, বরং যেসব এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত জনপ্রতিনিধিদের এলাকায় অবৈধ পাথর পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসক সারোয়ার আলম বলেন, এটি শুধু উদ্ধার প্রক্রিয়া নয়, একইসাথে পাথর লুটের মূলহোতাদের আইনের আওতায় আনার কাজও চলবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম