তারিখ লোড হচ্ছে...

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৩ কিলোমিটার যানজট

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল সাতটার দিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার বাউশিয়া এলাকায় কুমিল্লাগামী লেনে সড়ক দুর্ঘটনা এবং যানবাহন বিকল হওয়ার কারণে এ যানজট সৃষ্টি হয়। যা সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ১৩ কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, যানবাহনের দীর্ঘ সারি। যাত্রী ও চালকরা গন্তব্যে পৌঁছাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। কেউ কেউ ফোনে স্বজনদের বলছেন, যানজট ছাড়লেই এসে পড়বো। চিন্তার কারণ নেই।

এ সময় কথা হয় বাসচালক কুরবান আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, জামালদী থেকে ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত আসতে ঘণ্টাখানেক সময় লেগে গেলো। জানি না কতক্ষণে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবো।

তবে যানজটের কারণ জানেন না ট্রাকচালক শফিক। তিনি বলেন, মেঘনা সেতু পার হওয়ার পর থেকে যানজট পেয়েছি। কিন্তু কী কারণে যানজট, তা জানি না।

এ বিষয়ে গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির গণমাধ্যমকে বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত এবং বিকল হওয়া গাড়িগুলো মহাসড়ক থেকে সরানোর কার্যক্রম চলছে।

তিনি আরও বলেন, ধীরগতিতে যানবাহন চলছে, শিগগিরই যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।

 

সবা:স:জু- ৭৮৩/২৫

আজ শেষ হচ্ছে বাণিজ্য মেলা

অনলাইন ডেস্কঃ

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৭তম আসরের পর্দা নামছে আজ মঙ্গলবার। গত ১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাসব্যাপী এ মেলা উদ্বোধন করেন।

দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকার পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার ২৫তম দিনে ব্যবসায়ীরা এক সপ্তাহ সময় বাড়ানোর দাবি জানালেও তা বাড়ায়নি কর্তৃপক্ষ।

এবারের বাণিজ্যমেলায় ১০টি দেশের ১৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল। মেলায় বিদেশী প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৭টি প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও স্টল রয়েছে। এছাড়া দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য দু’টি হলের বাইরে মিলে মোট ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। মেলা চলেছে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।

ইতিমধ্যে বাণিজ্য মেলার আসর সমাপ্ত করার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। মেলার প্যাভিলিয়নগুলোয় সোমবার দুপুর পর্যন্ত দর্শনার্থী ও ক্রেতাসমাগম ছিল কম। তবে বিকেল থেকে তা বাড়তে শুরু করে। ক্রেতা-দর্শনার্থী আকর্ষণে স্টল মালিকরা পণ্যে দিয়েছেন বিশেষ ছাড়। লোভনীয় ছাড় পেয়ে ক্রেতাদের কেনাকেটা করতে দেখা যায়। যদিও ব্যবসায়ীরা সন্তুষ্ট নন।

ব্যবসায়ীরা বলেন, মেলায় দর্শনার্থী বাড়লেও কাঙ্ক্ষিত বেচাকেনা হয়নি। আমরা এক সপ্তাহ সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু তা নাকচ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সময় বাড়ানো হলে ভালো হতো। কর্তৃপক্ষ সময় না বাড়ালে আমাদের কিছু করার নেই।

তারা আরও বলেন, অনেকেই শুরু থেকে স্টল চালু করতে পারেনি। শেষদিকে বেচাকেনা বাড়লেও কাঙ্ক্ষিত ব্যবসা হয়নি।

স্টল মালিক মতিন তালুকদার বলেন, আমাদের বেচাকেনা বেশ ভালো হয়েছে। তবে মেলার স্টল বরাদ্দ নিতে টাকা লেগেছে তিনগুণ বেশি। তাই বেশি লাভ হবে বলে মনে হচ্ছে না। সামনে যাতে ব্যবসায়ীরা সরাসরি স্টল বরাদ্দ নিতে পারেন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে কর্তৃপক্ষের। তাহলে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে বলে আশা করছি।

প্রসঙ্গত, দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম