তারিখ লোড হচ্ছে...

থানা পুলিশকে মাসোহারা দিয়েই চলে ব্যাবসা দাবী ব্যাবসায়ীদের শ্যামপুরে নিষিদ্ধ পলিথিন সহ আটক এক

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব রাজধানীর শ্যামপুর বাজার,পলিথিনের পাইকারি ব্যাবসায়ীর দাবী শ্যামপুর থানাকে মাসোহারা দিয়েই চলছে এই অবৈধ বাণিজ্য।
গত ২২জানুয়ারী সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পোস্তগোলা ফায়ার সার্ভিসের সামনে স্থানীয় জনতা নিষিদ্ধ পলিথিন বোঝায় একটি রিক্সাভ্যান আটক করে শ্যামপুর থানায় খবর দিলে এসআই হানিফ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে এসে ভ্যানচালক মোঃ জসিম উদ্দিন কে প্রায় লক্ষাধিক টাকার সরকার নিষিদ্ধ পলিথিন সহ আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এদিকে এই নিষিদ্ধ পলিথিনের মালিক কে আর কি ভাবে করছে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যাবসা ?এ বিষয়ে অনুসন্ধানে নামলে সাংবাদিকেরা জানতে পারে,
জুরাইন বাজারের বিসমিল্লাহ টাওয়ারের নিচে সুফিয়ান নামক এক ব্যাবসী এই নিষিদ্ধ পলিথিনের মালিক, সুফিয়ানের খোঁজ করলে সাংবাদিকদের সামনে আসেন সুফিয়ান ও আরেক নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাবসায়ী খোকন। নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবসা কিভাবে করেন এমন প্রশ্নের জবাবে তারা উভয়ে স্বীকার করেন যে, সবাই কে ম্যানেজ করেই এই ব্যাবসা করেন।আরেক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন,কন্সটেবল মুক্তার ও নুর নবীর মাধ্যমে শ্যামপুর থানা’র ওসিকে মাসোহারা দিয়েই চলছে ব্যাবসা।এদিকে থানা সুত্রে জানা গেছে আটক ভ্যান চালক জসিম উদ্দিনকে আসামী করে শ্যামপুর থানায় পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে পুলিশবাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন, মামলা নং ১৮,তারিখ ২৩-০১-২০২৫।এদিকে নিষিদ্ধ পলিথিনের বাহককে আটক করলেও ব্যাবসায়ীদের আটক না করায় সমালোচনা করছেন অনেকেই, প্রকৃত অপরাধীদের আটক না করায় বন্ধ করা যাচ্ছে না পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি এই নিষিদ্ধ পলিথিন। অন্য দিকে শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের নিকট মাসহারা নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটা সঠিক না।

আবারও আদ দ্বীন হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার:

রাজধানীর জুরাইনের আদ-দ্বীন ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম হসপিটালে ভুল চিকিৎসায় (রাব্বি ২৬) এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

নিহতের স্বজনরা জানান, গত ১ মাস পেটে ব্যথা নিয়ে আদ-দ্বীন হাসপাতালে আসলে সেখানে ডাক্তার তাকে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানান তার পিত্তথলির মধ্যে পাথর হয়েছে। এবং এটা অপারেশন করলে সে সুস্থ হয়ে যাবে।

পরবর্তী তে ডাক্তার রোগীর স্বজন কে জানান পরবর্তী (১৮ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালে আসলে তার চিকিৎসা করা হবে। পরে (রাব্বি ২৬) কে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাকে পুনরায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে এসে ডাক্তার দেখান এবং ডাক্তার বলেন তাকে দ্রুত অপারেশন করাতে হবে পরে স্বজনরা অপারেশন এর টাকা যোগাড় করেন এবং মঙ্গলবার তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে ডাক্তার ইনজেকশন পুশ করেন তার কিছুক্ষণ পরে তার অবস্থা খারাপ হয়ে যায় এবং তার পরেই তারা তাদের নিজস্ব অ্যামবুলেন্স করে রোগী কে তাদের মগবাজার শাখার আদ-দ্বীন হাসপাতালে প্রেরণ করেন।পরে সেখানের কর্তবরত ডাক্তার (রাব্বি ২৬) কে মৃত ঘোষণা করেন।

রাব্বির বড় ভাই মো.রাসেল (৩৫) আমাদের কে জানান, রাব্বি কে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার পরে তাকে যখন ইনজেকশন পুশ করেন তার কিছুক্ষণ পরেই রাব্বির অবস্থা খারাপ হয়ে পরেন তখন তারা তড়িগড়ি করে তাকে চিকিৎসা দিলে এক পর্যায়ে তার ভাই মৃত্যু বরণ করেন। ডাক্তার মো.জাহাঙ্গীর রাব্বির পরিবারদের কিছু বুঝতে না দিয়ে বলেন, মগবাজার আদ দ্বীন হসপিটালে নিয়ে যান তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রাব্বি কে মগবাজার আদ দ্বীন হসপিটালে রেফার করা হলো। এমতাবস্থায় রাব্বির পরিবার তাকে আদ দ্বীন হসপিটাল মগবাজার শাখায় নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং বলেন রাব্বি অনেক আগেই মারা গিয়েছেন মগ বাজারের আদ দ্বীন হসপিটালের ডাক্তারের কথা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন রাব্বির পরিবার বর্গ। এলাকাবাসী এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় রাজধানীর জুরাইনে অবস্থিত আদ দ্বীন হসপিটালে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় প্রায়ই অনেক শিশু ও বয়স্ক মানুষের জীবন হারাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান কয়েক মাস আগে একটা ১৬ দিনের বাচ্চা ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয় এবং বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন পরিচালক মো.জাহাঙ্গীর হোসেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডাক্তার জাহাঙ্গীর হোসেন এর কাছে এই বিষয়ের ব্যাখ্যা জানতে চাইলে তিনি বলেন রুগী তো হাসপাতালে মরবেই কিন্তু ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হলে প্রশাসন এই বিষয় দেখবে। এবং সংশ্লিষ্ট সবাই বিষয়টি স্বীকার করেও বিষয়টি দামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন ।

মৃত রাব্বির বাবা দেলোয়ার হোসেন জানান তার ছেলে নিয়মিত নামাজ কায়েম করেন এবং ইসলামীক নিয়ম-কানুন মেনে চলাফেরা করেন। আনুমানিক ১১:৩০ মিনিটের সময় ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয় বলে জানান রাব্বির পরিবার বর্গ।

এই বিষয়ে শ্যামপুর থানার অফিসার ইনচার্জের কাছ থেকে জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম বলেন, ” আমি শুনেছি ডাক্তার অপারেশন করতে গিয়ে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আমরা ঘটনা স্থলে গিয়ে কোন হামলার ঘটনা দেখি নি। তবে শুনেছি ডাক্তারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক”। পরে অভিযোগ না থাকায় এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। ভুক্তভোগীর স্বজনরা অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম