তারিখ লোড হচ্ছে...

গরিব মানুষ সবচেয়ে বেশি বরিশালে, কম চট্টগ্রামে

চট্টগ্রাম অফিস॥

দেশে সবচেয়ে বেশি দরিদ্র মানুষের বসবাস এখন বরিশাল বিভাগে ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ। আর চট্টগ্রাম বিভাগে সবচেয়ে কম দারিদ্র্যতার হার, ১৫ দশমিক ২ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের দারিদ্র মানচিত্র ২০২২’ এ এ তথ্য উঠে এসেছে।

এ মানচিত্রে বলা হচ্ছে, দেশের গ্রাম এলাকায় দরিদ্রতা কমে শহর এলাকায় বেড়েছে। হেইজে গ্রাম এলাকায় দরিদ্রতা ছিল ২০ দশমিক ৫, দারিদ্র মানচিত্রে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৩ শতাংশ। হেইজে শহর এলাকায় দরিদ্রতা ছিল ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ, আর দারিদ্র্য মানচিত্রে তা এসেছে ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ।

দেশের সবচেয়ে দরিদ্র উপজেলা মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা। আর সবচেয়ে ধনী ঢাকার পল্টন। জেলা হিসেবেও সবচেয়ে দরিদ্র মাদারীপুর, আর সবচেয়ে ধনী জেলা নোয়াখালী।

বিবিএসের দারিদ্র্য মানচিত্রে দেখা যায়, দেশের বিভাগীয় দারিদ্র্য হিসেবে সবচেয়ে বেশি বরিশাল বিভাগে ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ। আর চট্টগ্রাম বিভাগে সবচেয়ে কম দারিদ্র্যতার হার, ১৫ দশমিক ২ শতাংশ।

জেলা হিসেবে সবচেয়ে বেশি দারিদ্র মাদারীপুর জেলা। এ জেলায় দারিদ্র্যতার হারা ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশ, আর সবচেয়ে কম দারিদ্র্য নোয়াখালী জেলায় ৬ দশমিক ১ শতাংশ।

আর উপজেলা হিসেবে ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ দরিদ্রতা নিয়ে শীর্ষে রয়েছে মাদারীপুরের ডাসার। আর সবচেয়ে কম দারিদ্র্য ঢাকার পল্টনে। এ এলাকায় দারিদ্র্য ১ শতাংশ।

কক্সবাজারে সাদাপোশাকে সাংবাদিক মুন্নাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

 

নিজস্ব সংবাদদাতা :
কক্সবাজার শহর থেকে সাদাপোশাকে সাংবাদিক মনসুর আলম মুন্নাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে আটকের বিষয়টি জানে না কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ।

আজ বুধবার ( ৪ এপ্রিল প্রায় ২.৩০ মিনিটের সময় কক্সবাজার শহর থেকে তাকে গাড়িতে তুলে নেওয়া হয় বলে জানা গেছে। মনসুর আলম মুন্না দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার কক্সবাজার জেলার স্টাফ রিপোর্টার হিসাবে কর্মরত।

সাংবাদিক মুন্না দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করে আসছিলেন। হঠাৎ করে কয়েকদিন দুর্বৃত্তরা অপহরণ করে নিয়ে মানসিকভাবে নির্যাতন চালায়। তারপর তার কাছ থেকে কয়েকটি স্ট্যাম্পের স্বাক্ষর রেখে ছেড়ে দেন। সাংবাদিক মুন্না প্রতিকার চাইতে কক্সবাজার সদর থানায় তিন দিন আগে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

সদর থানার ওসিকে সাংবাদিক মুন্না বারবার অনুরোধ করে বলেন স্যার আমাকে যে কোন সময় দুর্বৃত্তরা মেরে ফেলবে না হয় আমাকে বিভিন্নভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের দিয়ে হঠাৎ করে করেনি করবে।

এমনভাবে ওসিকে অনুরোধ করার পরেও তিন দিনেও কক্সবাজার সদর থানার ওসি কোন ব্যবস্থা নেই নি। আজ (৪ এপ্রিল) অনুমান দুপুর আড়াই ঘটিয়ার সময় কক্সবাজার শহরের লালদীঘির পাড় থেকে সাদা পোশাকে কয়েকজন ব্যক্তি তাকে তুলে নিয়ে যায়।

কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, ‘সাংবাদিক মনসুর আলম মুন্না ও তার স্ত্রী আজ দুপুরে আমার সাথে দেখা করে গেছেন। তিনি যে অভিযোগ করেছেন এটি মামলা হয়েছে কিনা জানতে এসেছিলেন।

ওসির কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা, সাংবাদিক মুন্নার বিরুদ্ধে কক্সবাজার থানায় কোন মামলা হয়েছে কিনা? ওসি বলেন কোন মামলা হয়নি। সাংবাদিক মুন্নাকে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে গেছে কয়েকজন ব্যক্তি, আপনি শুনেছেন কিনা? জানতে চাইলে ওসি বলেন, আমি জানিনা। তবে আমি খোঁজখবর নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।

এবিষয়ে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ এর আবাসিক সম্পাদক বেলাল উদ্দিন জানান,মুন্নার পরিবার ও তার সহকর্মীরা জানিয়েছেন, আজ দুপুর হাইটের সময় সাদা পোশাকে তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। আমরা বিষয়ে উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম