তারিখ লোড হচ্ছে...

পদত্যাগ করলেন বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক॥

পদত্যাগ করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের তদন্ত প্রক্রিয়ার মধ্যেই প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন তিনি।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম। শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া বেশ কয়েকজন বিচারককে অপসারণের দাবি ওঠার পর গত বছরের ১৬ অক্টোবর ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তাদের হাইকোর্টে বিচারকাজ পরিচালনা থেকে বিরত রাখা হয়। তাদেরই একজন শাহেদ নূর উদ্দিন।

নিয়ম অনুযায়ী, কোনো বিচারপতির বিষয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল সুপারিশ পাঠানোর পর রাষ্ট্রপতি তা বাস্তবায়ন করেন। তবে ওই সময় সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল কার্যকর ছিল না।

বিচারপতি অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত করে গত বছর ২০ অক্টোবর আপিল বিভাগ রায় দেয়। এর ফলে বিচারপতি অপসারণ প্রক্রিয়া নিয়ে গত সরকারের সময় যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তার অবসান ঘটে।

এরপর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল হাই কোর্টের কয়েকজন বিচারকের বিষয়ে তদন্ত শেষে গত ডিসেম্বরে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন পাঠায়। তার দেড় মাসের মাথায় বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিনের পদত্যাগের খবর এলো।

জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসরে যাওয়ার পর বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান শাহেদ নূর উদ্দিন। দুই বছর পর তার নিয়োগ স্থায়ী হয়।

শাহেদ নূর উদ্দিন ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক থাকাকালে বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় দিয়েছিলেন। ক্ষমতার পালাবদলের পর হাইকোর্ট ওই মামলার সব আসামিকে খালাস দেন।

জজ আদালতের বিচারক থাকাকালে ঢাকার সনি হত্যা মামলা, সাবেক এমপি আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলা, সন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নান হত্যা মামলা, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান মণ্ডল হত্যা মামলা, সাবেক ডেপুটি স্পিকার হুমায়ন খান পন্নীর স্ত্রী সুলতানা পন্নী হত্যা মামলা, পুলিশ টেলিকম হত্যা মামলা, ফরিদপুরের সাংবাদিক গৌতম হত্যা মামলা, ওয়ার্ড কমিশনার নিউটন হত্যা মামলা, কলেজ শিক্ষিকা কৃষ্ণ কাবেরী হত্যা মামলা, পুরবী জুয়েলার্সের মালিক হত্যা মামলারও রায় দেন শাহেদ নূর উদ্দিন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে অনার্স ও মাস্টার্স করা এই বিচারক ১৯৮৩ সালের ২০ এপ্রিল মুন্সেফ হিসেবে বিচার বিভাগে যোগ দিয়েছিলেন। ২০০০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি জেলা জজ পদে উন্নীত হন।

নতুন সিআইডি প্রধান হলেন ছিবগাত উল্লা

স্টাফ রিপোর্টার:

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অতিরিক্ত আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহ।

সোমবার (১২ মে) দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। তবে গত ৭ মে মো. ছিবগাত উল্লাহকে সিআইডি প্রধান হিসেবে পদায়ন করা হয়। এর আগে তিনি শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

সিআইডি প্রধান হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণের পর মো. ছিবগাত উল্লাহ সিআইডি সদর দপ্তরে অফিসারদের সঙ্গে পরিচিতি সভায় অংশগ্রহণ করে বলেন, সিআইডি বাংলাদেশের অপরাধ তদন্তের একটি সর্বোচ্চ (অ্যাপেক্স) প্রতিষ্ঠান। কাজেই এ প্রতিষ্ঠানের তদন্তকে ‘স্টেট অফ দ্যা আর্ট’ পর্যায়ে পৌঁছাতে হবে। এজন্য সরকারি সব ধরনের সহযোগিতা নিশ্চিতকরণের জন্য সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ চলমান মামলাগুলো দ্রুত সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এতে করে তদন্তাধীন মামলার সংখ্যা একটি যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে থাকার পাশাপাশি জনগণের সুবিচার নিশ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।

প্রসঙ্গত, মো. ছিবগাত উল্লাহ ১৯৯৫ সালে ১৫তম বিসিএস এর মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। চাকরিজীবনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), পিরোজপুর, ফেনী, ময়মনসিংহ ও নারায়ণগঞ্জ জেলাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়াও জাতিসংঘের আওতাধীন মিশনে ইতালি, সুদান, আইভরিকোস্ট ও কসোভোতে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া, মো. ছিবগাত উল্লাহ যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর ও জাপানসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে পেশাগত প্রশিক্ষণ গ্রহণের পাশাপাশি সেমিনার ও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম