তারিখ লোড হচ্ছে...

শরীয়তপুরের ডিএমখালী ইউনিয়নে লোমহর্ষক হত্যাকান্ড

আজিজুর রহমান বাবু,শরীয়তপুর প্রতিনিধি :

শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার অন্তর্গত ডিএমখালী ইউনিয়নের সরদার কান্দি গ্রামে আজ সকালে শ্যালক শাওনের হাতে আপন দুলাভাই জাফর সরদারের লোমহর্ষক হত্যাকান্ড ঘটেছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায় গতরাতে একই বিছানায় শ্যালক ( ৩২) শাওন তাঁর আপন দুলাভাই জাফর সরদারের সাথে খোশগল্পে মসগুল থেকে রাত্রিযাপন করে। পরবর্তীতে গভীর রাতে সুযোগ বুঝে ঘুমন্ত অবস্হায় শিলপাটা দিয়ে দুলাভাই জাফর সরদারের মাথায় উপর্যুপরি আঘাতে রক্তাক্ত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। হত্যাকারী জাফরের বিক্ষিপ্ত আঘাতে মাথার খুলি থেতলে মগজ বের হয়ে যায়। স্হানীয় প্রতিবেশীরা ধারণা করছেন পূর্ব শত্রুতার জের এই হত্যা কান্ড ঘটতে পারে।

চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের সংবাদ চাউর হয়ে গেলে হত্যাকারি শাওনকে স্হানীয়রা পাকড়াও করে গাছের সাথে বেধে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে তাত্ক্ষণিক ভাবে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব ওবায়দুল হক তার ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্হলে হাজির হন। অতঃপর আসামী গ্রেফতার করে সখিপুর থানায় নিয়ে আসেন।

ধৃত আসামি শাওনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে ! মৃত জাফর সরদারের লাশ থানা কম্পাউন্ডে সংরক্ষিত করা আছে। মৃতের আপন বড় ভাই এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং ময়নাতদন্তের জন্য থানা কতৃপক্ষ জেলা হাসপাতালে নেওয়ার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এলাকাবাসী নির্মম হত্যাকান্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত সহ সুবিচার দাবী করছেন।

নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে তিন কর্মকর্তা

স্টাফ রিপোর্টার:

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন’, প্রবাদ আছে চোরে শোনে না ধর্মের কাহিনী। নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে তিন কর্মকর্তা । অফিস শেষে মিটিং এর নামে চার তলায় ঘুষের টাকা ভাগাভাগি হয়। টাকা ভাগাভাগির শেষে পলিথিনের ভিতর টাকা নিয়ে মোটরসাইকেল দিয়ে চলে যায় বাসায়। এ যেন দেখার কেউ নেই। নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতির মূল হোতা ১/মোঃ রুকুনুজ্জামান ভূঁঞা ২/ মোঃ কামাল ৩/ আনসার কমান্ডার বকুল, ১০১ নম্বর রুমের কামাল সে নাকি এখন মিডিয়া লোকদের ম্যানেজ করে থাকে । নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস ঘুষ ছাড়া মেলে না সেবা এ যেন গণেশের কেরামতির খেলা। ছবি তোলা থেকে শুরু করে প্রতিটি ধাপে ধাপে টাকা দিতে হয়। প্রতি পাসপোর্ট এর জন্য ৩০০০ টাকা করে নেওয়া হয়। নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে ঘুস-দুর্নীতির যেন শেষ নেই। দুর্নীতি রোধে মাঝে মাঝে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা শোনা গেলেও কিছুদিন পর দেখা যায় সবকিছু আগের মতোই চলছে । ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ একদিকে কড়াকড়ি করলে আরেকদিকে খুলে যায় দুর্নীতির নতুন পথ। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস যেন দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এ অফিসে অলিখিতভাবে দালাল নিয়োগ দিয়ে প্রকাশ্যে চলে ঘুসের কারবার। আর এসব ঘুষের টাকার নিয়ন্ত্রণে ছিল আনসার কমান্ডার বকুল এই বকুলের বিরুদ্ধে কিছু মিডিয়ায় নিউজ প্রকাশিত হয় তারপরে বকুল কে নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস থেকে সরিয়ে দেয় বলে জানাই নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস কর্তৃপক্ষ মোঃ রুকুনুজ্জামান ভূঁঞা। কিন্তু আসলে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি তিনি আন্ডারগ্রাউন্ডে আছে অফিসে ডিউটি করে লুকিয়ে লুকিয়ে। এ বিষয়ে বকুলের সাথে ফোনে কথা বলে তিনি বলে আমি গাজীপুর আছি। বর্তমানে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মোঃ কামাল নামে একজনকে তিনি এখন ঘুষের টাকা দেওয়া নেওয়ার দায়িত্ব পালন করে । গোপন সূত্রে জানা যায় নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস থেকে ৪০০ এর অধিক সাংবাদিকদের কে বিকাশের মাধ্যমে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। যদি ৪০০ এর হিসাব করা হয় তাতে টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় চার লক্ষ, বিকাশের মাধ্যমে যে এই চার লক্ষ টাকা দিল এই টাকা কোথা থেকে আসলো। বিষয়টি ভাবিয়ে তোলার মত এবং কিছু কিছু নাম্বার আছে ২০০০. টাকা করে দেওয়া হয়েছে। যেই নাম্বার থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা দেওয়া হয়েছে সেই নাম্বারটি হল। ( 01325661626 ) যা পরবর্তী নিউজ এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি। নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের কর্তৃপক্ষ মোঃ রুকুনুজ্জামান ভূঁঞা এর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। সাধারণ মানুষ পাসপোর্ট করার জন্য অফিসে আসলে মোঃ রুকুনুজ্জামান ভূঁঞা এর কাছে তেমন কোন সেবা পাওয়া যায় না বলেই চলে। তিনি পাসপোর্ট করতে আসা মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। আর এই খারাপ আচরণ করার মানে হল যাতে দালালের মাধ্যমে পাসপোর্ট এর সেবা নিতে পারে। আর এই সেবা নিতে হলে লাগবে টাকা, টাকা ছাড়া কোন সেবাই পাওয়া যাবে না নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে, গত ১৪/০৩/ ২০২৪, রোজ বৃহস্পতিবার আনুমানিক ১.১৫ মিনিটের সময় হালিম সরকার নামে একজন বয়স্ক লোক পাসপোর্ট করার জন্য হাতে সব কাগজপত্র নিয়ে উপ – সহকারী রুমে ঢুকে মোঃ রুকুনুজ্জামান এর সাথে কথা বললে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলে এখন হবে না পরে আসেন সেবা না দিয়ে তাকে বের করে দেওয়া হয়। ঠিক পাঁচ মিনিট পরে আরো একজন আসে তাকেও বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে বের করে দেয়। পাসপোর্ট অফিসের গেটের সামনে ভুক্তভোগী হালিম সরকার এর সাথে কথা বললে তিনি আবেগমন হয়ে বলেন কোন দেশে বাস করছি আমরা এটাই কি আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ। এভাবে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের অভিযোগ আছে যা লিখে কখনো শেষ করা যাবেনা। শুধুই অভিযোগ আর অভিযোগ এসব কিছু নিয়ে চলছে নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস। একটা বিষয় ক্লিয়ার যে নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস চলছে ঘুষের স্বর্গরাজ্য ।

ভুলে গেলে চলবে না, হয়রানি ও দুর্নীতিমুক্ত সেবা পাওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। অথচ বাস্তবতা হলো, দেশে ঘুস ছাড়া কোনো সেবা পাওয়া যায় না বললেই চলে। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আঞ্চলিক অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের লাগামহীন দুর্নীতি সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার খর্ব করছে এবং এর ফলে প্রান্তিক ও পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা দেখছি, দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখার পরও প্রবাসী শ্রমিকরা পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে গিয়ে নানাভাবে দুর্ভোগ ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অথচ পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতিবাজদের কারণে একশ্রেণির মানুষ ঘুস দিয়ে অবৈধভাবে সেবা নিচ্ছেন। এ অবস্থা চলতে পারে না। সাধারণ মানুষ যাতে হয়রানি, ভোগান্তি ও দুর্নীতিমুক্তভাবে পাসপোর্ট পেতে পারে, সে জন্য প্রতিটি পাসপোর্ট অফিসে অভিযান পরিচালনা এবং নিয়মিত তদারকি প্রয়োজন। প্রবাসী শ্রমিকসহ দেশের সাধারণ মানুষ যাতে প্রয়োজনের সময় কোনোরকম হয়রানি ও ভোগান্তি ছাড়া পাসপোর্ট পেতে পারে, সেজন্য সরকার পাসপোর্ট অধিদপ্তরসহ এর সব আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস দুর্নীতিমুক্ত করার পদক্ষেপ নেবে, এটাই কাম্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছে কোন অন্যায়কে বরদাস্ত করা হবে না।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথা অমান্য করে ঘুষ বাণিজ্য মেতে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস সহ দেশের অন্যান্য পাসপোর্ট অফিস। ( চলবে )

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম