তারিখ লোড হচ্ছে...

আবারও রিমান্ডে সালমান এফ রহমানসহ ৬ জন

অনলাইন ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর বাড্ডায় হাফিজুল শিকদার নামে এক অটোরিকশাচালক নিহতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ ৬ জনকে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

বাকি আসামিরা হলেন সাবেক বিচারপতি আবুল হোসেন মোহাম্মদ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং শ্রমিক লীগ নেতা গোলাম সারওয়ার পিন্টু।

এর আগে সকাল সোয়া ৯টায় আসামিদের কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির ঢাকা মেট্টোর উত্তরের পরিদর্শক রিদুয়ানুল হক তাদেরকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডে পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার সূত্রে জানা গেছে,  বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর গত ২০ জুলাই বাড্ডার প্রগতি সরণি এলাকায় যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন অটোরিকশাচালক হাফিজুল শিকদার (২৯)। এ সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমনের জন্য আসামিদের ছোড়া গুলিতে নিহত হন তিনি। এ ঘটনায় গত ২১ আগস্ট বাড্ডা থানায় মামলাটি হয়।

নিক্সন চৌধুরীর স্ত্রী তারিনের গুলশানের ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ আদালতের

স্টাফ রিপোর্টার:

ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী) ও তার স্ত্রী তারিন হোসেন-এর নামে গুলশানে অবস্থিত একটি ফ্ল্যাট, গ্যারেজ ও কমনস্পেস জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব আদালতে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিন, দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালাম আদালতে এই জব্দের আবেদন করেন। আবেদনপত্রে জানানো হয়েছে, তারিন হোসেনের নামে গুলশান এলাকায় ১০ কোটি ৩২ লাখ ৮৬ হাজার ৪৩৮ টাকা মূল্যের সম্পদ রয়েছে।

তদন্তে জানা গেছে, মুজিবুর রহমান চৌধুরী গুলশানে একটি ১৩ তলা আবাসিক ভবনের ৭ম তলায় অবস্থিত ৫১৭২ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাট, গ্যারেজ এবং কমনস্পেস সহ মোট ১০ কাঠা ৩ ছটাক জমি ক্রয় করেন। এই সম্পদ ২০১৩ সালের ২৯ জানুয়ারি বণ্টন চুক্তির মাধ্যমে প্রথম স্ত্রীর নামে নিবন্ধিত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তার প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর ফ্ল্যাটটি তারিন হোসেনের নামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়।

দুদকের মতে, এই সম্পত্তি মুজিবুর রহমান চৌধুরী অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ দিয়ে ক্রয় করেছিলেন।

এর আগে, ৯ জানুয়ারি দুদক পৃথক দুটি মামলায় অভিযোগ করে যে, নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রী তারিন হোসেনের ব্যাংক হিসাব থেকে অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে, এবং তারা প্রায় ১৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

এছাড়া, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালত নিক্সন চৌধুরী এবং তার স্ত্রী তারিন হোসেনের দেশত্যাগ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন।

language Change
সংবাদ শিরোনাম