তারিখ লোড হচ্ছে...

শাহজালালে বিমান ওঠা-নামায় বিঘ্ন, ৬ ফ্লাইট গেল সিলেট-কলকাতা

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকায় গত ২ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশার কারণে আকাশে পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত ঝাপসা। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পারেনি বেশ কিছু ফ্লাইট।

কুয়াশার কারণে রানওয়ে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছিল না, যার ফলে অবতরণ করতে পারেনি ছয়টি ফ্লাইট। এর মধ্যে তিনটি ফ্লাইট ঢাকার আকাশ থেকে ফিরে কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে অবতরণ করে, এবং বাকি তিনটি ফ্লাইট সিলেট বিমানবন্দরে অবতরণ করতে বাধ্য হয়।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মধ্যরাতে কুয়েত সিটি থেকে আসা কুয়েত এয়ারওয়েজের দুইটি ফ্লাইট এবং ওমানের মাস্কাট থেকে আসা সালাম এয়ারের একটি ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করতে না পেরে কলকাতায় ফিরে যায়। পরবর্তীতে সকাল ৯টার পর এসব ফ্লাইট ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করতে সক্ষম হয়। এ পরিস্থিতি চলতে থাকে রাত আড়াইটা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত।

এছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে মধ্যরাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত প্রায় ১৬টি ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ে ঢাকায় অবতরণ করতে পারেনি। তাদের মধ্যে রয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুবাই, মাস্কাট, রোম, জেদ্দা ফ্লাইট, এমিরেটস এয়ারলাইন্সের দুবাই, গাল্ফ এয়ারের বাহরাইন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের দুবাই, দোহা, শারজাহ, জেদ্দা, সিঙ্গাপুর, ড্রুক এয়ারের পারো থেকে আসাসহ আরও বেশ কয়েকটি রুটের ফ্লাইট।

শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইমলাম বলেন, ঘন কুয়াশার জন্য কয়েকটি ফ্লাইট ডাইভার্ট করে কলকাতা পাঠানো হয়েছে। সেইসঙ্গে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে তিনটিকে। তবে, সকাল ১০ টার পর থেকে ফ্লাইট চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়েছে।

এদিকে একসঙ্গে অনেক ফ্লাইট উড্ডয়ন ও অবতরণের অপেক্ষায় থাকায় বিমানবন্দরের রানওয়েতে কিছুটা ট্রাফিকের সৃষ্টি হয়েছে।

জানুয়ারির শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘন কুয়াশা ও শীত অনুভূত হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনে কুয়াশা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে আদেশ পেছালো

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে আদেশ পেছালো

ডেস্ক রিপোর্ট:

দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের ওপর আদেশের দিন পিছিয়ে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। এর আগে, গত ৩০ জুলাই দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষ হয়। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

সেদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক উপস্থিত ছিলেন। গত ২৭ এপ্রিল দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি শুরু হয়। এ বছরের ৯ জানুয়ারি দেশের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম ঠিক করতে আপিল বিভাগে রিভিউ শুনানির আবেদন করে বিচারকদের সংগঠন জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগে আইনজীবী ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর এ আবেদন করেন। পরে রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলরা আবেদন করেন। আপিল বিভাগের রায়ে যা ছিল ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম ঠিক করে রায় দেন আপিল বিভাগ। যার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর।

সেই রায়ে বলা হয়–
১. সংবিধান যেহেতু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, সেহেতু রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের শুরুতেই সাংবিধানিক পদাধিকারীদের গুরুত্ব অনুসারে রাখতে হবে।
২. জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যরা রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের ২৪ নম্বর থেকে ১৬ নম্বরে সরকারের সচিবদের সমমর্যাদায় উন্নীত হবেন। জুডিশিয়াল সার্ভিসের সর্বোচ্চ পদ জেলা জজ। অন্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে সচিবরা রয়েছেন।
৩. অতিরিক্ত জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যদের অবস্থান হবে জেলা জজদের ঠিক পরেই, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের ১৭ নম্বরে।

রায়ে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম কেবল রাষ্ট্রীয় আচার অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। নীতিনির্ধারণী ক্ষেত্র বা অন্য কোনো কার্যক্রমে যেন এর ব্যবহার না হয়। প্রসঙ্গত, রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ১৯৮৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়। ২০০০ সালে এটি সংশোধন করা হয়। সংশোধিত এ ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব আতাউর রহমান। ওই রিটের ওপর ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে ওই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে বাতিল করে আট দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম