তারিখ লোড হচ্ছে...

বিপিএল ফাইনালের পরদিনই শুরু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি ক্যাম্প

স্পোর্টস ডেস্ক: বিপিএল শেষ হতে না হতেই আন্তর্জাতিক মঞ্চের ডাক পাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি, বিপিএলের ফাইনালের ঠিক পরদিনই শুরু হবে টাইগারদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি ক্যাম্প।

ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহেই শুরু হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টের জন্য দলকে দ্রুত প্রস্তুত করতে চাইছে টিম ম্যানেজমেন্ট।

আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মাঠে গড়াবে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ২০১৭ সালে সর্বশেষ অনুষ্ঠিত এই আসরে সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছিল বাংলাদেশ, যা আইসিসির কোনো ইভেন্টে টাইগারদের সেরা সাফল্য। এবারের স্কোয়াড গত মাসেই ঘোষণা করেছে বিসিবি, যেখানে নেই সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসের মতো তারকা ক্রিকেটাররা।

জাতীয় দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স নিশ্চিত করেছেন, ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে মূল অনুশীলন শুরু হবে। তবে তার আগেই, মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে কিছু ক্রিকেটার ঐচ্ছিক অনুশীলনে অংশ নেবেন। দলীয় ম্যানেজার নাফিস ইকবাল জানিয়েছেন, পাইপলাইনে থাকা ক্রিকেটারদেরও পর্যবেক্ষণ করবেন কোচ সিমন্স।

এদিকে, ইনডোরে ইতোমধ্যে অনুশীলনে নেমে পড়েছেন জাতীয় দলের উইকেটকিপার-ব্যাটার জাকের আলী অনিক। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে অনুশীলন ক্যাম্প, এরপর ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেবে দল। সেখানে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পর ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

নার্ভাসনেস ‘জিরো’ মানসিকতায় হিরো

খেলা ডেস্ক: 

নাহিদ রানা বোলিং ভালো করছে, ভালো করুক। সব সময় দোয়া করি, সুস্থ থাকুক। সাম্প্রতিক সময়ে সে শারীরিকভাবে উন্নতি করেছে। মানসিকভাবেও অনেক শক্তিশালী হয়েছে এখন। জাতীয় লিগ তো ভালো খেলতই, যেটা ঘরোয়া লিগ। জাতীয় দলে প্রথম যখন অভিষেক হলো, একটা ব্যাপার তো ছিলই। এখন সে নার্ভাসনেস কাটিয়ে উঠেছে। শুরুতে নার্ভাসনেস থাকবে স্বাভাবিক, কিন্তু এখন তার ভেতরে সেটা নেই।

এখন নার্ভাসনেস ‘জিরো’, তবে মানসিকতায় হিরো! শারীরিকভাবে অনেক শক্ত। বেশি ব্যবহার না করে প্রয়োজনীয় বিশ্রাম পেলে পরের ম্যাচে আরও সতেজ নাহিদ রানাকে পাওয়া যাবে। তাসকিন যেমন এখন অনেক শক্ত। বোলিং অ্যাকশন স্টিভ হার্মিসনের মতো হলেও তেমন কাউকে অনুসরণ করত না। আমিও বলতাম কাউকে অনুসরণ না করতে।

আমি রাজশাহীর ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমিতে কাজ করার সময় ওকে পেয়েছি। বছর ছয়েক আগের কথা। সবাই বলতেন, চাঁপাইয়ের একটা ছেলে আছে। সে অনেক জোরে বোলিং করে। আমি বলতাম, তাই নাকি? ঠিক আছে। দেখব। একদিন আমরা টেপ টেনিসে ম্যাচ খেলছিলাম। তখন গ্রীষ্মকাল ছিল। আমরা কয়েক ভাগে ম্যাচ খেলছিলাম। একদিন অনেক ক্লান্ত, আর পারছিলাম না। একটা বোলার দরকার হয়ে পড়ল। তখন একজন বলল, এই ছেলেকে নেন। ও যখন বোলিং করে, তখন আমাদের একাডেমির মূল কিপার ছিল। সে ওর বল ধরতে পারেনি। তিনটা বল, তিনটাই মিস করেছে! সে বলে, স্যার, ওর বল তো দেখতেই পাচ্ছি না। কী জোরে বোলিং করে! আমি বললাম, আমাকে দাও। কিপিংয়ে যাই। আমিও তার দুইটা বল ধরতে পারিনি। তখন দেখলাম, ও তো ভালো জোরে বোলিং করে।

রানাকে বললাম, তুই এদিকে আয়। তুই কি টেপ টেনিসে করিস, নাকি ক্রিকেট বলে? সে বলল, ক্রিকেট বলেও পারি। আমি বললাম, ঠিক আছে, কাল থেকে ক্রিকেট বলেও কাজ করবি আমার সঙ্গে। শুরুতে অনেক সমস্যা ছিল, সেগুলো ধীরে ধীরে উন্নতি করেছে।

পরশু যখন বোলিং করছিল, কিমার রোচকে যখন বোলিং করছিল, ৫টার জায়গায় ৬টা উইকেট হওয়া উচিত ছিল। বিশ্বাস করছিলাম যে হতে পারে। কিন্তু ক্রস সিমে কন্টিনিউ করছে, যেটা চাচ্ছে, হচ্ছিল না। রিভার্স বোলিং করলে হতে পারত। যখন তাকে কাছে পাব, চেষ্টা করব ব্যাপারগুলো নিয়ে বিস্তারিত কাজ করার।

সবা:স:জু-১৭৮/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম