তারিখ লোড হচ্ছে...

সন্ধান মিলেছে নিখোঁজ সুবার, চলছে উদ্ধারের চেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় রাস্তা পার হতে গিয়ে নিখোঁজ হয় ১১ বছরের আরাবি ইসলাম সুবা। দুইদিন পর মেয়েটির দেখা মিলেছে নওগাঁয়। তবে তাকে এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ বলছে, মেয়েটিকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে কৌশলগত কারণে এখনও উদ্ধার করা যায়নি। শিগগির তাকে উদ্ধার করা হবে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা আড়াইটার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাকারিয়া।

এর আগে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত মায়ের চিকিৎসার জন্য দুই মাস আগে বরিশাল থেকে ঢাকায় এসেছিল সুবা।

পুলিশ বলছে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে একজন ছেলের (২০+) হাত ধরে চলে যায় সুবা। ওই ছেলের মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে মেয়েটিকে উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।

জানা গেছে, রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বয়সে ছোট ফুফাতো ভাইয়ের সঙ্গে বাসা থেকে বের হয় সুবা। এরপর রাস্তা পার হতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। সুবা বরিশালের একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

ওই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, মোহাম্মদপুরের টোকিও স্কয়ারের সামনে সুবাকে দেখা গেছে। তবে সেখানে সুবার ফুফাতো ভাই ছাড়া আরেকজনও ছিল। তার সঙ্গে সুবাকে হাঁটতে দেখা গেছে।

আরাবি ইসলাম সুবার পরিবারের বরাত দিয়ে আদাবর থানার ওসি এস এম জাকারিয়া বলেন, যে ছেলেটির সঙ্গে দেখা গেছে সেই ছেলের সঙ্গে সুবার সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের জের ধরে চলে যায়। ছেলেটির যে মোবাইল নম্বর সেই মোবাইল নম্বর দিয়েছে মেয়েটির পরিবার। মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে মেয়েটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

মেয়ে নিখোঁজের বিষয়ে জানতে চাইলে সুবার বাবা ইমরান রাজিব বলেন, ‘সুবা বরিশালের একটি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। স্ত্রীর ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য দুই মাস ধরে ঢাকায় বোনের (সুবার ফুফু) বাড়িতে আছি। গত রোববার সন্ধ্যায় ফুফাতো ভাইয়ের সঙ্গে বাইরে বের হয় সুবা। রাস্তা পার হওয়ার সময় ফুফাতো ভাই কিছুটা আগে চলে যায়। পরে সে পেছনে ফিরে দেখে সুবা নেই। আদাবর থানায় জিডি করেছি। পুলিশ বলেছে তারা চেষ্টা করছে।

 

ছাত্রলীগ নেত্রীসহ ইবির ৫ ছাত্রী সাময়িক বহিষ্কার

স্টাফ রিপোর্টার॥
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)-এর নবীন শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরীসহ পাঁচ ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, আজ বেলা ১২টা থেকে পৌনে ২টা পর্যন্ত উপাচার্যের দপ্তরে শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শেখ আবদুস সালাম। সভা থেকে অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে হবে। জবাব সন্তোষজনক না হলে তাদের চূড়ান্ত বহিষ্কার করা হবে।

বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী ওরফে অন্তরা (সেশন: ২০১৭-১৮), চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার উর্মি (সেশন ২০২০-২১), আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম (সেশন: ২০২০-২১), ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম (সেশন: ২০২০-২১) ও একই বিভাগের একই সেশনের মুয়াবিয়া জাহান। এর মধ্যে সানজিদা চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। বাকিরা ছাত্রলীগের কর্মী। নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচজনকেই সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

প্রসঙ্গত, গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি দুই দফায় হলের গণরুমে এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর র‌্যাগিং, শারীরিকভাবে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরাসহ তার সহযোগীরা।

ভুক্তভোগী ফুলপরী খাতুন ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৫ই ফেব্রুয়ারি পৃথকভাবে তিনটি তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষ ও শাখা ছাত্রলীগ। এছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন। গত পহেলা মার্চ জড়িত পাঁচ ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ইতোমধ্যে তাদের ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার ও হলের আবাসিকতা বাতিল করা হয়েছে। ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতরা হলেন, পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও একই বিভাগের মুয়াবিয়া জাহান। তারা চারজনই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম