তারিখ লোড হচ্ছে...

অবশেষে গ্রেপ্তার পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেওয়া সেই আ.লীগ নেতা

স্টাফ রিপোর্টার: জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে ছিনিয়ে নেওয়া পাবনার সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এছাড়া সেই ঘটনার জেরে বিভিন্ন সময়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সুজানগর উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের মথুরাপুর এলাকার গাজনার বিলে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

আব্দুল ওহাব সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক চেয়ারম্যান এবং সাবেক পৌর মেয়র। তিনি গত জুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা একাধিক মামলার পলাতক আসামি ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা।

ওসি বলেন, আব্দুল ওহাব গাজনার বিলে একটি বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল ৭টার দিকে অভিযান চালিয়ে ওহাবসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে এই ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের পর নিজ নেতাকর্মীদের মামলা-হামলা থেকে বাঁচাতে আব্দুল ওহাব নিজ থেকে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর পুলিশের সঙ্গে কথা অনুযায়ী গাজনার বিল এলাকায় ফজর নামাজের পর আত্মসমর্পণ করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।

এর আগে শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আব্দুল ওহাবের নিজ এলাকা সুজানগর পৌর এলাকার মথুরাপুর হাইস্কুলের সামনে আব্দুল ওহাবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে পুলিশের গাড়ি ওপর হামলা করে গাড়ি থেকে আব্দুল ওহাবকে ছিনিয়ে নেয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

এঘটনায় পুলিশের ৮ জন সদস্য আহত হয়েছিলেন। ঘটনার পরদিন ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২ থেকে ৩শ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয় এবং অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীরা পৃথক বিক্ষোভ মিছিল করে থানার ওসির অপসারণে তিন দিনের আল্টিমেটাম দেয়।

টঙ্গী বাসস্ট্যান্ড দখল করে আলাউদ্দিন,রুহুল ও রাফির চাঁদাবাজি

মোঃ ইব্রাহিম হোসেন:

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন টঙ্গী পূর্ব থানার ৫৭নং ওয়ার্ডের টঙ্গী বাজার বাস স্ট্যান্ড দখল করে আলাউদ্দিন,রুহুল ও রাফির চাঁদাবাজি!

সারাদেশে চলমান রয়েছে, চাঁদাবাজ,দখলবাজদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযান তবুও থেমে নেই টঙ্গী বাজার বাসস্ট্যান্ডের চাঁদাবাজ আলাউদ্দিন, রুহুল ও রাফির চাঁদাবাজি।

টঙ্গী বাজার বাস স্ট্যান্ডে থেকে আব্দুল্লাহপুর ব্রীজ পর্যন্ত চাঁদাবাজ আলাউদ্দিন,রুহুল ও রাফির দখলে।

জানা যায়, টঙ্গী পূর্ব থানার আওয়ামী-স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার ছেলের নামে এই চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে আলাউদ্দিন, রুহুল ও রাফির।

টঙ্গী বাজার বাসস্ট্যান্ডে ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট বসানোর কারনে সর্বক্ষণ জ্যামজট হট্টগোল লেগেই থাকছে,এ যেনো দেখার কেউ নেই।

টঙ্গী বাজার বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায়,মিতালী পাম্পের সামনে থেকে শুরু করে আব্দুল্লাহপুর ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ৩/৪ শত বিভিন্ন ধরনের দোকান পাঠ বসিয়ে প্রতি দোকান থেকে ৫০০/৬০০শত টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।

এছাড়াও প্রতিটি ফুটপাতের দোকান থেকে কারেন্টের লাইট জ্বালানোর বাবদ প্রতিদিন নেওয়া হয় ২০০/৩০০ টাকা করে। যদি একদিন লাইটের বিল দেওয়া না হয় তাহলে পরের দিন কারেন্টের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক দোকান মালিকের সাথে কথা হলে তারা জানায়, টঙ্গী পূর্ব থানার আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার ছেলের নামে আলাউদ্দিন, রুহুল ও রাফি টঙ্গী বাজার বাসস্ট্যান্ড দখল করে প্রতিদিন ফুটপাতের দোকান থেকে লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করে।

ভুক্তভোগী ফুটপাতের দোকানদাররা আরো জানায়,প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে ফুটপাতে চাঁদাবাজি।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, টঙ্গী বাজার বাসস্ট্যান্ড দখল করে বিভিন্ন ধরনের ভ্যান এবং চৌকি বসিয়ে বাচ্চাদের পোশাক,লুঙ্গির দোকান, পুরাতন কাপড়ের দোকান,প্যার্ন্টের দোকান, মহিলাদের পোষাক,ফলের দোকান, সবজির সহ প্রতিদিন চাঁদা আদায় করে লক্ষ লক্ষ টাকা করে যাচ্ছে আলাউদ্দিন,রুহুল ও রাফি।

এই বিষয়ে কথা বলতে আলাউদ্দিন,রুহুল ও রাফির সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করতে চাই কোন ভাবেই তা সম্ভব হয়নি।

তবে আমারা জানতে চাই,কে এই টঙ্গী পূর্ব থানার আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ছেলে?
তাঁর নামে আলাউদ্দিন,রুহুল ও রাফি প্রতিদিন লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করে।সবুজ বাংলাদেশের অনুসন্ধানে চলমান পরবর্তী পর্বে সকল তথ্য প্রমানসহ সংবাদ প্রকাশ করা হবে।

এই বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন এর টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার আহমেদ এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি সবুজ বাংলাদেশ কে বলেন,আমরা প্রতিদিনই ফুটপাতের দোকান উঠিয়ে দেই কিন্তু কিছু স্হানীয় নেতাদের কারণে ফুটপাত দখলমুক্ত করা অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। যদি আমরা সঠিক তথ্য প্রমান পাই, তাহলে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম