তারিখ লোড হচ্ছে...

হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা : ফাঁসির ৯ আসামিসহ সব খালাস

স্টাফ রিপোর্টার: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ফাঁসির ৯ আসামিসহ সাজাপ্রাপ্ত সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি হামিদুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালত বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সব আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হলো। আমরা চাই না তারা আর এক সেকেন্ডও কারাগারে থাকুক। এখনই সব সবাই মুক্তি প্রদানের নির্দেশ প্রদান করছি।

আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম মুকুল।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মজিবুর রহমান।

ভাষার মাসের সম্মানে আদালত বাংলা ভাষায় রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুবুল ইসলাম রায়ের মূল অংশ পাঠ করেন।

এদিকে, রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পাবনা বিএনপির শতশত নেতাকর্মী এনেক্স কোর্ট বিল্ডিংয়ের সামনে অবস্থান নেন। রায় শোনার পর তারা উল্লাসে ফেটে পড়েন।

এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়।

তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথে সভা করার কথা থাকলেও বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ তার নেতৃত্বে মামলার অন্যান্য আসামিরা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঈশ্বরদী স্টেশন এলাকায় ট্রেনে গুলি ও বোমা বর্ষণ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

এ ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওইদিনই একটি মামলা করেন। পরে মামলাটির তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল ৫২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এদের মধ্যে পাঁচজন মারা গেলে তাদের চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে ৩ জুলাই জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। সেই সঙ্গে ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর মেয়াদ কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়।

পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি খালাস চেয়ে আপিল করেন আসামিরা।

কারামুক্ত হয়েই পরীক্ষা দিলেন খাদিজা

উম্মে রাহনুমা, জবি প্রতিনিধি:

ডিজিটাল আইনের মামলা থেকে প্রায় ১৫ মাস পর মুক্তি পেয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা। ২০ নভেম্বর সকাল ৯ টায় কাশেমপুর কারাগার থেকে বের হয়ে সরাসরি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেন এই শিক্ষার্থী। বিশেষ কারনে দেড়িতে আসলে সময় বাড়ানো হয়নি তার জন্য। পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক জনাব নূরানা জানান অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মত সাধারণ নিয়মে একই সময়ে তার পরীক্ষা শেষ হয়, সময় বাড়ানো হয়নি । ২০ নভেম্বর সকাল ১০ টায় শুরু হয়ে ১ টায় শেষ হয় স্ট্যাটিসটিক্যাল এপ্রোচেস টু দ্য স্টাডি অব পলিটিক্স কোর্সের পরীক্ষা।

খাদিজার বোন সিরাজুম মনিরা বলেন, খাদিজার গতকাল রাতেই মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও কারা কর্তৃপক্ষ কালকে মুক্তি দেয়নি। আজকে সকাল ৯ টায় মুক্তি দিয়েছে। মুক্তি পাওয়ার পর ক্যাম্পাসে আসতে আসতে সাড়ে ১১ টা বেজেছে। খাদিজার কয়েকটি সেমিস্টার নষ্ট হয়েছে। সে ১৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হলেও এখন ১৬ তম ব্যাচের সাথে চতুর্থ সেমিস্টারের পরীক্ষা দিয়েছে আজ, আর কিছু বলতে চাচ্ছি না।
উল্লেখ্য, ডিজিটাল আইনে গ্রেফতার হওয়ার পর এক বছর দুই মাস সতের দিন পর জামিন পায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কোবরা। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় তাকে জামিন দেন। এদিকে গতকাল রাতেই মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলেও তা না দেওয়ার কারন আপিল বিভাগকে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। সন্ধ্যার পর আসামি ছাড়ার নিয়ম নেই, তাই রোববার আদেশ পেয়েও কারামুক্ত করা যায়নি খাদিজাকে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম