তারিখ লোড হচ্ছে...

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর মেট্রো জোন: পৌনে ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের তদন্ত দুদকে ধামাচাপা

ডেস্ক রিপোর্ট॥
কোনো সরকারি বরাদ্দ নেই। তা সত্তে¡ও ভুয়া বিল ভাউচার দাখিল করে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে প্রকল্পের পৌনে ৭ কোটি টাকা। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের ঢাকা জোনে ঘটেছে এই ঘটনা। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ শিক্ষা ভবনে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানতে পেরেছে, অর্থ বরাদ্দ না থাকা সত্তেও ভুয়া বিল দাখিল করে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে একটি প্রকল্পের নামে এই জোনের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ তুলে নিয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনেও এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। দুদক লিখিত এ অভিযোগ আমলেও নিয়েছে। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান শুরু করলেও অজ্ঞাতকারণে ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে সেটি। যদিও সংস্থাটির সচিব ড. মুহা: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার দাবি করেছেন, কোনো অনুসন্ধানই ধামাচাপা দিয়ে রাখার সুযোগ নেই।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত অক্টোবরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের ঢাকা মেট্রো জোনের পৌনে সাত কোটি টাকা আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ হাতে পায় দুদক। ‘অভিযোগ বাছাই কমিটি’র প্রাথমিক বাছাইপর্ব চুকিয়ে বিষয়টি ‘অনুসন্ধান-যোগ্য’ মর্মে অভিমত পায় অভিযোগটি। এ প্রেক্ষিতে সংস্থার অনুসন্ধান-তদন্ত শাখা-১ এর অধীন একজন সহকারী পরিচালককে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে থেমে যায় সেই অনুসন্ধান প্রক্রিয়া।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ‘তথ্য-প্রযুুক্তির সহায়তায় শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে নির্বাচিত বেসরকারি কলেজসমূহের উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের ঢাকা জোনের জন্য ৩৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় (সিএও) থেকে বিল বাবদ অর্থ পরিশোধ করা হয় ৪৬ কোটি টাকার। অর্থাৎ ৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয় বরাদ্দের অতিরিক্ত। এ অর্থ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের ঢাকা জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম আক্তারুজ্জামান, কয়েকজন ঠিকাদার এবং সিএও’র দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার মধ্যে এ অর্থ ভাগ-ভাটোয়ারা হয়।

উল্লেখ্য, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের ঢাকা মেট্রো জোনের লুটপাট-দুর্নীতি নিয়ে ইতিপূর্বে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী পদে দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা থাকাকালে ঢাকা মেট্রো জোনসহ গোটা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরকেই দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করা হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকা মেট্রো জোনে এখনো ব্যাপকহারে দুর্নীতি-লুটপাট অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা মেট্রো জোনে বর্তমানে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে যিনি আছেন আবুল কালাম মো. আক্তারুজ্জামান, তিনি অধিদফতরের অত্যন্ত জুনিয়র পর্যায়ের প্রকৌশলী হয়েও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই পদে আসতে পেরেছেন শীর্ষ দুর্নীতিবাজ প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালাকে ম্যানেজ করে তার বিশেষ আনুক‚ল্যে। হানজালার অনেক দুর্নীতি-অপকর্মের সহযোগী এই আক্তারুজ্জামান প্রায় চার বছর ধরে একই পদে বহাল রয়েছেন। লুটপাটের কোটি কোটি টাকা মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন জায়গায় বিলি-বণ্টন করেন বলে ঘনিষ্ঠদের তিনি জানিয়েছেন। আর এ কারণেই শত অপকর্ম-দুর্নীতি, জাল-জালিয়াতি সত্তেও তাকে এ পদ থেকে সরানো যাচ্ছে না।

গত প্রায় চার বছরে অধিদফতরের সবচেয়ে আকর্ষণীয়, ঢাকা মেট্রো জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী পদে থেকে অনেক অপকর্ম ও কেলেংকারির জন্ম দিয়েছেন একেএম আক্তারুজ্জামান। তারমধ্যে অন্যতম কেলেংকারি হলো, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়তলা ভবন নির্মাণের কাজে ছয় তলা করেই পুরো বিল পরিশোধ। এর মাধ্যমে অন্তত ৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন খোদ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরেরই তখনকার সংশ্লিষ্ট তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন। এ অপকর্মের মূল হোতা ছিলেন প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তখনকার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এরসঙ্গে জড়িত ছিলেন। ফলে খোদ তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো কাজ হয়নি। উল্টো এই তত্তাবধায়ক প্রকৌশলীকে মন্ত্রণালয় থেকে নানা হেনস্থা করা হয়েছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই একাডেমিক ভবনটি ২০০৭ সালে ছয়তলা করা হয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় ১৫ তলা পর্যন্ত করার জন্য ২০১৫ সালে নির্মাণ কাজে হাত দেয়া হয়। কিন্তু ১২ তলা পর্যন্ত করে পুরো ১৫ তলার অর্থই হাতিয়ে নেয়া হয়। এটি বাস্তবায়ন হয় নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম মো. আক্তারুজ্জামানের হাত দিয়েই। গণমাধ্যমে এ দুর্নীতি নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। কিন্তু দুর্নীতি ঠেকানো যায়নি হানজালা-আক্তারুজ্জামানের বেপরোয়া প্রবণতার কারণে।

নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম আক্তারুজ্জামান দুর্নীতি-অপকর্মে এতোটা বেপরোয়া যে, উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে নিয়ম-নীতি, এমনকি সরকারের নির্দেশনাগুলোকেও তোয়াক্কা করছেন না বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যাদেশ সম্পর্কে সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্ধারিত কাজ সঠিক সময় সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে। একই ঠিকাদারকে বার বার কার্যাদেশ দেয়া যাবে না। আগের কাজ সময় মতো সম্পন্ন করতে পারেনি এমন ঠিকাদারকে আর কার্যাদেশ দেয়া যাবে না। সরকারি এই নির্দেশনাকে অগ্রাহ্য করে পূর্বের কাজ সম্পন্ন না করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বার বার কার্যাদেশ দিয়েছেন মেট্রো জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী। দুর্নীতি দমন কমিশন যে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তকাজ শুরু করে তাতে এটিও উল্লেখ আছে বলে জানা গেছে।

দুদকের ওই অভিযোগে আরো বলা হয়, প্রকল্পের আওতায় ঢাকার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পছন্দসই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ঢাকা জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী বার বার কাজ পরিসমাপ্তির সময় বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এর ফলে ঢাকা কলেজ, বদরুন্নেসা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজের একাডেমিক ভবন, সরকারি তিতুমীর কলেজের বিজ্ঞান ভবন, একাডেমিক ভবন, সিদ্বেশ্বরী কলেজের একাডেমিক ভবন, শের-ই-বাংলা স্কুল ও কলেজের হোস্টেল নির্মাণ কাজ দীর্ঘ সময় ধরে পড়ে আছে অসমাপ্ত অবস্থায়। মিরপুর বাংলা কলেজ, ধানমন্ডি মহিলা কলেজ, ভিকারুন্নিসা নূন কলেসহ ঢাকা জোনের অনেক উন্নয়ন কাজ দীর্ঘদিন ধরে পড়ে রয়েছে। কার্যাদেশ প্রদানেও ঢাকা জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম আক্তারুজ্জামান অবলম্বন করছেন অভিনব কৌশল। একই প্রতিষ্ঠানকে বার বার কার্যাদেশ দেয়া হচ্ছে। টেন্ডারে অংশ নেয়া কোনো প্রতিষ্ঠানকেই নতুন কোনো কার্যাদেশ দেয়া হয় না। এর ফলে টেন্ডারে অংশ নেয়া অনেক প্রতিষ্ঠানের ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটছে। তারা টেন্ডারের সিকিউরিটি মানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। এ সময় টেন্ডারে অংশ নেয়া ঠিকাদারদের কাছ থেকে এই মর্মে মুচলেকা নেয়া হয় যে, কার্যাদেশটি অন্য কেউ পেলেও এতে তাদের কোনো দাবি-দাওয়া থাকবে না।অভিযোগে বলা হয়, প্রায় চার বছর একই চেয়ারে থেকে ঢাকা জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম আক্তারুজ্জামান যোগসাজশের মাধ্যমে পছন্দসই ঠিকাদারদের কার্যাদেশ দেন। বিনিময়ে হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা। অবৈধ অর্থে বিনা অনুমতিতে তিনি সপরিবারে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। এমন সুনির্দিষ্ট ও গুরুতর অভিযোগগুলো দুদকে ধামাচাপা পড়ে থাকার ঘটনা রহস্যজনক এবং দেশের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করছেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
সূত্রঃ (সাপ্তাহিক শীর্ষকাগজে ১৬ আগস্ট ২০২১ প্রকাশিত)

 

সেলিমের উত্থান ও চাঁদাবাজি

স্টাফ রিপোর্টার:

রাজধানীর মিরপুর এক- সড়ক থেকে শুরু করে চারাবাগ পর্যন্ত সর্বত্রই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সেলিমের নিয়ন্ত্রিত লেগুনা। এসব লেগুনার অধিকাংশরই নেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, নেই চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লেগুনা চালাচ্ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোররা।

কে এই সেলিম

সেলিম মিয়া পিতা :মোহাম্মদ শামস উদ্দিন মিয়া
স্থায়ী ঠিকানা ৩১২/৪/s/২, লালকুঠি, মিরপুর এক, দারুস সালাম ঢাকা ১২১৬
গ্রাম:মোকশেদপুর, গোপালগঞ্জ
সেলিম মিয়া দারুস সালাম থানার শ্রমিক লীগের সভাপতি ছিলেন মিরপুরে সমস্ত লেগুনা গাড়ির চাঁদাবাজি করতো ডাইমেনশেন নামক ব্যানার মাধ্যমে, (যা এখনো চলমান)
অত্যন্ত দরিদ্র ফ্যামিলির থেকে বেড়ে উঠা সেলিম আজ শতকোটি টাকার মালিক হয়ে উঠেছেন মিরপুরের চাঁদাবাজির মাধ্যমে। সে দীর্ঘ একুশ বছর সেনাবাহিনীতে কর্পোরাল হিসেবে কর্মরত ছিলেন লোকে মুখে শোনা যায় কোন এক অপরাধের কারণে সে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচিত হয়েছে,এবং তার বাবা ছিল সামান্য একজন গরুর দুধ বিক্রেতা কোনরকম সংসার চলত, বছরখানেক আগে ৭০/৮০ লক্ষ টাকা খরচ করে গ্রামের বাড়িতে করেছেন আলিশান অট্টালিকা করেছেন অনেক সহায় সম্পত্তি , ঢাকায় নিজস্ব ফ্লেট এবং সহায় সম্পত্তি। সেলিমর জন্মস্থান ফরিদপুরে উত্তর চন্ডী পদ্ধি গ্রাম,সালথা থানা, বছরখানেক আগে ফরিদপুর থেকে ভোটার আইডি কার্ড মাইগ্রেট করে গোপালগঞ্জে মোকসেদপুর নিয়ে আসেন বিগত সরকার আমলে গোপালগঞ্জের নাম ভাঙিয়ে চলতে শুরু করে এই সেলিম মিয়া, মুকসুদপুরে করেছেন অনেক সহায় সম্পত্তি, তিন ভাইয়ের মধ্যে সেলিম মিয়া বড়, বাকি দুই ভাইয়ের নামে করেছেন মুকসুদপুর সদর জসিমউদদীন প্লাজা দ্বিতীয় তালায় সোহেল ফ্যাশন নামে কয়েকটি কাপড়ের দোকান এবং মোটা অংকের টাকা বিনিয়োগ করেছেন মুকসুদপুর সদর খান প্লাজাতে ২য় তালায় ডান পাশে ক্লিনিকের ব্যবসায়।

২০১৬ সালে মিরপুরে ৮ হাজার টাকার বাসা ভাড়া নিয়ে থাকত এখন তার নিজের ফ্লাট, শশুর বাড়ি থেকে পেয়েছে আরো ২ টি ফ্লাট যা জোর করে নিয়েছে সে, বর্তমানে সে যে ফ্লাইটে থাকে তার চাঁদাবাজির টাকা দিয়ে কেনা এবং তার মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা, বাসার ভেতরের ডেকোরেশনে খরচ করেছে ১ কোটি টাকা,২০২৩ সালের ট্রেক্স ফাইলে এই ফ্লাট টির মূল্য দেখিয়েছে অনেক কম, তার নির্দিষ্ট কোন ব্যবসা ট্যাক্স ফাইলে তিনি দেখাননি তাহলে এত টাকা এত সম্পত্তির মালিক হলো কিভাবে বর্তমানে তার আছে ১৪টি লেগুনা এবং একটি মোটর বাইক এগুলো তার ট্যাক্স উল্লেখ্য করেননি।

স্থানীয় লেগুনার গাড়ির মালিকগন বলেন বছরখানেক আগেও মিরপুর স্টাফ কোয়ার্টারে ৮ হাজার টাকার
বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো সেলিম, ২০১৭ সালে সেলিমের ছিলো দুটি গাড়ি ঢাকা মেট্রো ছ ১১-৩৭৮৫, ঢাকা ছ ১১-০৩৫৯ গাড়ি দিয়ে শুরু করেন তার চাঁদাবাজির যাত্রা মাসখানিকের মধ্যে গাড়ি হয়ে যায় ছয়টি বর্তমানে আছে ১৪ টি গাড়ি, ১২ টি গাড়ি কিনেছে আমাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদ নিয়ে, মিরপুর ডাইমেনশন ব্যানারে চলে ১৩০ টি গাড়ি প্রতিটি গাড়ি থেকে বারোশো টাকা করে চাঁদা দিতে হয় সেলিম কে, যা মাসে দাঁড়ায় ৪৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, যদি কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায় তাহলে প্রশাসনের সাহায্যে গাড়িগুলো ডাম্পিংয়ে পাঠিয়ে দেয় এবং গাড়ি রাস্তায় চলতে দেওয়া হয় না। এতে তাকে সাহায্য করে তিনিটি থানা রূপনগর থানা/শাহাআলী থানা/দারুস সালাম থানা এবং বেশ কিছু টিআই ও সার্জেন্ট তারা প্রতি মাসে মোটা অংকের মাসোয়ারা নিয়ে থাকেন। ২০২৪ শে আগস্ট সরকার পতনের সাথে সাথেই তার যতগুলো গাড়ি ছিলো সবগুলো নিয়ে সে গা ঢাকা দিয়েছিল তার সঙ্গী সাথী ও কেউ ছিলনা কিছুদিন হলো আবার এসেছে তারা নতুন করে চাঁদাবাজি করতে।
সকল মালিকগণ ৮ বছর ধরে নির্যাতিত এবং নিপীড়িত এগুলোর পিছনে সকল ষড়যন্ত্রকারী এবং মাস্টারমাইন্ড হচ্ছে সেলিম,তিনি এক স্বর্গ রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন যা এখনো তার নিয়ন্ত্রণে তার বাহিনী দিয়ে কোন ব্যক্তি চাঁদাবাজির ব্যাপারে কথা বললেই টাকার বিনিময় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে অনেক পরিবারকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে, ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে নিরীহ ছাত্রদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এই সেলিম মিয়া যার প্রমাণ প্রত্যেকটি স্থানীয় মানুষের কাছে আছে,।

সেনাবাহিনীতে চাকরি করার সুবাদে বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে আর্মিদের দিয়ে ফোন করে ভয় দেখিয়ে যাচ্ছেন সাধারণ লেগুনা গাড়ির মালিকদের, এমনই দুইজনের তথ্য পাওয়া গেছে একজন হলেন সাভার বিরুলিয়া মান্নান আরেকজন মিরপুর রাসেল, মান্নানকে কল দিয়েছিলো ১০/৮/২০২৪ রাত ১১ টায় এবং রাসেলকে কল দিয়েছে সাভার ক্যান্টনমেন্ট থেকে সার্জেন্ট মামুন
01769093634 কল দিয়ে দেখা করতে বলেন এবং মিরপুর মাজার রোডের অস্থায়ী আর্মি ক্যাম থেকেও কল দেওয়া হয় রাসেলকে স্থানীয় বাসিন্দা হয়েও তিনি কিছু বলতে পারছেন না, তিনি আরো বলেন আমাদের নাম্বার তারা পেল কিভাবে আমরা তো সাধারণ মানুষ আমাদের আর্মি ক্যাম্পে ডাকার কি আছে এবং এই চাঁদাবাজ সেলিমের সাথে সমন্বয় করে চলতে বলছে আর্মি থেকেই। যেখানে বাংলার মানুষ নতুন স্বপ্ন বুনছেন সেখানে আজও সেলিম মিয়া চেষ্টা করে যাচ্ছেন মিরপুরের চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ রাখতে তাই আমরা মালিকগণ ডাইমনশন ব্যানার খুলে ফেলার পরও সেলিম তার সন্ত্রাসবাহিনীদের দিয়ে ডাইমনশন ব্যানার জোরপূর্বক প্রত্যেকটি গাড়িতে লাগিয়ে দিয়ে চাঁদা দাবি করছে।
আমরা মালিকগণ একক সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের গাড়ির ব্যবসা আমরা নিজেরা পরিচালনা করব এবং কোন ধরনের ব্যানারে আমরা থাকতে চাই না চাঁদাবাজীদের মিরপুরে কোন স্থান নেই সেলিম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে জোর দাবি জানাচ্ছি।

মিরপুরে লেগুলার চাঁদাবাজিতে যারা আছেন জাকির সিকদার যে কিছুদিন আগে এক অসহায় পরিবারের দুই ভাইয়ের নামে মামলা দিয়েছে দারুস সালাম থানায় সেলিমের কথায়, প্রতি মাসে জেলারের নাম বলে ১ হাজার টাকা গাড়ি প্রতি নিত জাকির। সুমন দেওয়ান,
সাগর সেলিমের বেতনভুক্ত ম্যানেজার যে
সমস্ত চাঁদার টাকা প্রতিদিন দুইবার করে বাসায় জমা দিয়ে আসে। আরো আছে শাহিন, আসাদ,রনি, ও মান্নান ২০২২ সালে চাঁদা তুলতে গিয়ে যাকে র‍্যাব হাতেনাতে ধরে দারুস সালাম থানায় সোপর্দ করে এই মান্নানকে যার মামলা এখনো চলমান। এগুলো সবাই বেতনভুক্ত কর্মচারী এগুলো সব কিছুর মাস্টারমাইন্ড সেলিম মিয়া,

বর্তমানে সেলিম মিয়া সালমান এফ রহমানের মত পাল্টে ফেলেছে তার ভোল ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচার ও সমস্ত দলীয় ছবি পরিবর্তন করে সেজেছে দরবেশের সাজ বর্তমানে মিরপুরের গাড়ির চাঁদা নিয়ন্ত্রণ রাখতে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন বিভিন্ন দলের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তাদের কাছে তিনি এখন নিজেকে ব্যবসায়ী বলে দাবি করেন অথচ ট্যাক্স ফাইলের ব্যবসায়ী কোন প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ্য করেননি, এবং ট্যাক্স ফাইলে ২০ ভরি স্বর্ণের কথা উল্লেখ্য করা আছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেলিমের আত্মীয়-স্বজন জানান সে তো বিয়ে করেছে পালিয়ে আমরা যতটুক জানি, তেমন কোন বড় অনুষ্ঠানও হয়নি তাহলে এতো গুলো স্বর্ণ বিয়েতে গিফট পেল কিভাবে। ঢাকা, ফরিদপুর,ও গোপালগঞ্জ মিলে সম্পত্তি দেখিয়েছে দশ টিরও বেশি এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন সেলিমের বাবা বাজারে দুধ বিক্রি করতো আমি যতটুক জানি তেমন কোনো সহায়-সম্পত্তি ছিল না তাদের এত সম্পত্তি কিভাবে করেছে তা আমার জানা নেই।

লেগুনা চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আমরা গাড়ি রাস্তায় বের করলেই তাকে চাঁদা দিতে হয় চাঁদা না দিলে আমাদের উপরে নির্যাতন শুরু করে এবং পুলিশ দিয়ে গাড়ির ডাম্পিংয়ে পাঠিয়ে দেয় আমরা তো অসহায় আমরা কি করব।

ছাত্র সমাজ ও পরিবহন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব হবে না। এই চাঁদার টাকা জোগাড়ের জন্য চালকরা বেপরোয় গাড়ি চালায়। যে কারণে সড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনা। আর গাড়ি চলার ক্ষেত্রে কমিশনিং সিস্টেম বন্ধ করতে হবে বলেও মত দেন তারা।

language Change
সংবাদ শিরোনাম
শেরপুরের নকলায় কৃষি কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার-১ মানিকছড়িতে ধানের শীষ মার্কায় ভোট চেয়ে ওয়াদুদ ভূইয়া'র পথসভা সীমান্ত হতে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় নেশাজাতীয় ট্যাবলেট জব্দ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি সিন্ডিকেটে আটকে আছে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কোটি টাকার মেশিন কেরানীগঞ্জে ঠিকাদার রফিকের অবৈধ গ্যাস সংযোগে টাকার মেশিনের সন্ধান আগুন সন্ত্রাস আটক করায় গুলশান ট্রাফিক পুরস্কৃত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের দুটি থানা ও ৯টি ওয়ার্ড কমিটি গঠিত কবিরহাট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সোহেল রানা বহিষ্কার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয়তাবাদী সাইবার দল পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা