তারিখ লোড হচ্ছে...

প্রতিবেদন জমা দিলো বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধান উপদেষ্টার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়েছে।

আজ (বুধবার) দুপুর ১টার দিকে এ দুই সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিচারবিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী প্রতিবেদনগুলো হস্তান্তর করেন।

সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন কী রয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত জানা না গেলেও জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে শতাধিক সুপারিশ থাকতে পারে বলে আগে জানা গিয়েছিল।

গত ৮ আগস্ট সরকার গঠন করার পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতের সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়। এর মধ্যে গত ১৫ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ এবং সংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে রিপোর্ট জমা দেয়।

গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেছিলেন, আমাদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল গত মাসে। কিন্তু আমরা আমাদের কাজের কারণে পারিনি। কারণ আমরা মাঠে গিয়েছি, লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় গিয়ে আমরা কথা বলেছি, অনলাইনে আমরা মতামত নিয়েছি।

প্রতিবেদনে ১০০টির বেশি সুপারিশ থাকছে। এখন এর বাইরে আমি কিছু জানাতে পারব না।

গত ৩ অক্টোবর ৮ সদস্যের জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করে সরকার। পরে কমিশনের সদস্য সংখ্যা আরও তিনজন বাড়ানো হয়। ৩ মাসের মধ্যে প্রস্তুত করা প্রতিবেদন হস্তান্তর করতে বলা হয়। এরপর তিন দফা বাড়িয়ে কমিশনের মেয়াদ ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় বেঁধে দেওয়া বর্ধিত সময়ের ১০ দিন আগেই প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হলো।

অন্যদিকে বিচার বিভাগকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয় ৩ অক্টোবর।

সরকার এনসিপির প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে: নুর

ডেস্ক রিপোর্টঃ বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্তব্য করেন তিনি।
নুর বলেন, ‘সরকার এনসিপির প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। সব রাজনৈতিক দল সরকারের পক্ষপাতমূলক আচরণের তীব্র প্রতিবাদ করেছে। এনসিপির প্রতি এমন আচরণ বজায় থাকলে সরকারের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।’

সরকার জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

পতিত আওয়ামী লীগ যেকোনো ইস্যুতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে অরাজকতা করতে পারে বলেও আশঙ্কা গণঅধিকার পরিষদ সভাপতির।

এদিকে গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বিচার সংস্কার ও নির্বাচনের দায়িত্ব সরকারের ওপর। অবিলম্বে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা দরকার। তাহলে মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বানাতে হবে। সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সমান আচরণ করতে হবে।’

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সঠিক সময়ে নির্বাচন ও সংস্কার নিয়েও ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। এজন্য বাড়ছে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা। এসব দূর করতে সরকারকেই উদ্যোগী হতে হবে।’

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম