তারিখ লোড হচ্ছে...

বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ‘শেখ বাড়ি’

স্টাফ রিপোর্টার: খুলনায় বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচার বাড়ি।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত নয়টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা ঘোষণা দিয়ে ওই ভাঙচুর চালান। পরে তারা সিটি করপোরেশনের দুটি বুলডোজার নিয়ে বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়া শুরু করেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।

খুলনা নগরের ময়লাপোতা এলাকায় অবস্থিত ওই বাড়িটি খুলনায় ‘শেখ বাড়ি’ নামে পরিচিত। এই বাড়িতে শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সোহেল উদ্দিনসহ আরও কয়েক ভাই থাকতেন। ওই বাড়ি থেকেই মূলত পদ্মার এপারের আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হতো।

গত ৪ আগস্ট প্রথম দফায় বাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন ছাত্র-জনতা। সেদিন বাড়িতে কেউ ছিলেন না। ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর আবারও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়। এরপর বাড়িটিতে শুধু ইট–পাথরের কাঠামোই অবশিষ্ট ছিল।

ভারতে কারা নির্যাতনের পর আরও ৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর

ভারতে কারা নির্যাতনের পর আরও ৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর

ফেনী সংবাদদাতা:

ভারতের মনুমুখ ও উদয়পুর থেকে আটক হওয়া ৫ বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির নিকট হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফ’র মধ্যে পতাকা বৈঠকে তাদেরকে বিজিবির নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে রাতে বিজিবি তাদেরকে ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করেছে।

হস্তান্তরকৃতরা হচ্ছেন ফেনীর পরশুরাম উপজেলার উত্তর গুথুমা গ্রামের খায়েজ আহাম্মদের ছেলে সাইদুজ্জামান ভূঞা (২৯), একই উপজেলার নিজকালিকাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. এমদাদ হোসেন (২৭), ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার দূর্গাপুর সিংহ নগরের ফয়েজ আহাম্মদের ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিন (২৯), নওগা জেলার আবু জাফরের ছেলে মো. রাফি (২৫) ও চাঁদপুর জেলার কদরা গ্রামের হেদায়েত উল্লাহর ছেলে আবুল বাশার (৫৫)। কাজের সন্ধানে ভারতে যাওয়ার পর ওই দেশের পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাগারে ছিলেন বাংলাদেশি এই নাগরিকরা।

পুলিশ ও বিজিবি সূত্র জানায়, হস্তান্তরকৃতদের মাঝে সাইদুজ্জামান, এমদাদ, গিয়াস ও রাফিকে ১২ এপ্রিল ভারতের মনুমুখ এলাকা থেকে আটক করে ওই দেশের পুলিশ। ভারতের অবৈধভাবে প্রবেশের দায়ে তাদের আটকের পর তারা ৩ মাস যাবত ওই দেশের কারাগারে ছিলেন। মুক্তির পর ১৬ আগস্ট পর্যন্ত তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। পরে তাদেরকে ওই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এর নিকট হস্তান্তর করা হয়। অপর হস্তান্তরকৃত আবুল বাশারকে ৯ জুন ভারতের উদয়পুর থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি ১ মাস যাবত ভারতীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। সোমবার বিকেলে দুই দেশের পতাকা বৈঠক শেষে তাদেরকে বিজিবির হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে বিজিবি হস্তান্তরকৃতদের ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করে।

ফেনী মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, বিজিবির মাধ্যমে ৫ বাংলাদেশি নাগরিককে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। আমরা তাদের নাম ঠিকানা যাছাই করে দেখছি। তাদের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হবে।

এর আগে, ফেনীর বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতীয় বিএসএফ আইনবহির্ভূত ও অপমানজনক ভাবে ৪ দফায় বাংলাদেশী ৬৭ জন নাগরিককে পুশইন করে। পুশইনের ঘটনা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমালোচিত হওয়ায় এবার পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশী নাগরিকদের হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম