তারিখ লোড হচ্ছে...

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করলে রাষ্ট্র ও সরকারের স্থিতিশীলতা হুমকিতে পড়বে : বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার: দেশের চলমান পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারকে অন্তর্বর্তী সরকারের আহ্বান জানিয়ে বিএনপি সতর্ক করেছে যে, সরকার যদি উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা প্রদর্শন করতে না পারে, তবে রাষ্ট্র ও সরকারের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে।

বিএনপি তাদের এক বিবৃতিতে জানায়, এই পরিস্থিতিতে উগ্র নৈরাজ্যবাদী এবং গণতন্ত্রবিরোধী দেশি-বিদেশি অপশক্তির পাশাপাশি পরাজিত ফ্যাসিস্টদের পুনরুত্থানের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে, যা ইতোমধ্যে কিছুটা দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।

বিএনপি নেতৃবৃন্দের দাবি, দেশ এক অস্থির পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যেখানে সরকারের কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা কার্যকরভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে না। তারা বলেন, সরকার যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তবে পরিস্থিতি আরও ঘণীভূত হতে পারে।

দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বিতাড়িত পতিত পরাজিত পলাতক স্বৈরাচার এবং তার দোসরদের উসকানিমূলক আচরণ, জুলাই–আগস্টের রক্তক্ষয়ী ছাত্র গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে অশালীন এবং আপত্তিকর বক্তব্য মন্তব্য দেশের জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ এবং ক্রোধের জন্ম দিয়েছে। এরই ফলশ্রুতিতে বুধবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পতিত স্বৈরাচারের স্মৃতি, মূর্তি, স্থাপনা ও নামফলকসমূহ ভেঙ্গে ফেলার মতো জনস্পৃহা দৃশ্যমান হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করে বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গত ৬ মাসেও পলাতক স্বৈরাচার এবং তাদের দোসরদের আইনের আওতায় আনতে যথেষ্ট কার্যকর পদক্ষেপ জনসম্মুখে দৃশ্যমান করতে সফল হয়নি বলে জনমনে প্রতিভাত হয়েছে, ফলে জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার মতো বেআইনি কর্মকান্ডে উৎসাহিত হচ্ছে।

একটি সরকার বহাল থাকা অবস্থায় জনগণ এভাবে নিজের হাতে আইন তুলে নিলে দেশে বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী জনগণের প্রত্যাশা ছিল দেশে আইনের শাসন পুনপ্রতিষ্ঠিত হবে, যা বর্তমান সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল। বর্তমানে দেশে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ নানান ধরনের দাবিদাওয়া নিয়ে যখন-তখন সড়কে ‘মব কালচারের’ মাধ্যমে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করছে, যা সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে মুন্সিয়ানা দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছে।

জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারগুলোকে রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা প্রদান এবং আহতদের যথাযথ চিকিৎসা ও পুনর্বাসন, পলাতক স্বৈরাচার এবং তার দোসরদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা, পরাজিত ফ্যাসিস্টদের উসকানিমূলক তৎপরতা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মতো ‘জরুরি’ কাজগুলোতে দৃশ্যমান এবং উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই বলেও বর্ণনা করা হয় বিবৃতিতে।

পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন দায়িত্বে গণঅভ্যুত্থানবিরোধী সক্রিয় সদস্যরা এখনও কর্মরত বর্ণনা করে বিবৃতিতে বলা হয়, এখনও প্রশাসনকে পতিত ফ্যাসিস্ট শাসকের দোসরমুক্ত করা হয়নি, বিচার বিভাগে কর্মরত ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনও বিদ্যমান, পুলিশ প্রশাসনে গণঅভ্যুত্থানবিরোধী সক্রিয় সদস্যরা এখনও কর্মরত। এমতাবস্থায় সরকার জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে সফলতা অর্জন করতে পারবে কি না, তা যথেষ্ট সন্দেহের উদ্রেক করে।

বিএনপির বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে জনগণের নিত্যদিনের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করা জরুরি। দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী সকল শ্রেণিপেশার মানুষের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা গায়েবি মামলার কোনো সুরাহা এখনও হয়নি। গণতন্ত্রকামী জনগণ ফ্যাসিবাদী আমলের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় এখনও হয়রানির শিকার হচ্ছে, অথচ এ বিষয়ে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখেনি।

এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জুলাই ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে মানুষের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার, মানবাধিকারসহ ভোটাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথাশিগগির সম্ভব একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করাই এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। নির্বাচনমুখী জরুরি সংস্কার সাধন করে দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করাই বর্তমান সরকারের প্রধানতম ম্যান্ডেট। অথচ জনআকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিজেরাই এই অগ্রাধিকারকে প্রাধান্য না দিয়ে অন্যান্য বিষয়ে অধিক মনোযোগী বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

 

খুনি হাসিনার দোসর নুর ইসলাম এখন কোথায় ?

নিজস্ব প্রতিবেদক:

স্বৈরাচার গণহত্যাকারী খুনি হাসিনার দোসর দালাল এবং বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি গত জুলাই মাসে ও ৫ ই আগস্ট ২০২৪ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী পুরানা পল্টন ছাত্রজনতা কে গুলি করে হত্যা করার হুকুমদাতা নুর ইসলাম এর বিরুদ্ধে গুরুতর সব অভিযোগ উঠেছে।

সে নড়াইল ২ আসন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে স্বৈরাচার খুনি হাসিনার পাতানো নির্বাচন করেছে। বর্তমানে সে পরিচয় দিয়ে বেড়াচ্ছে সেনাপ্রধান নাকি তার বেয়াই।

ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে রাজধানীর নয়া পল্টন থানা সহ সারাদেশে বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়াও চ্যানেল ২৪, বিবিসি, ডিবিসি নিউজ, বৈশাখী টেলিভিশন, এটিএন বাংলা সহ দেশের জাতীয় প্রিন্ট পত্রিকা গুলোতে তার অকর্মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।

দেশের একটি সরকারি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দপ্তরের নাম ব্যবহার করে এবং জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন জেলা উপজেলায় প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে। অপকর্মের তথ্য অনুসন্ধান করতে গেলে তার প্রতারণার আস্তানা রাজধানী পুরানা পল্টন দারুস সালাম ভবন ১০ তলায় গেলে তাকে পাওয়া যায়নি সে পালিয়ে গিয়েছে বলে জানা যায়।

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো: মমিনুর রশিদ শাহিন, মহাসচিব মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সচিব মো: রাসেল সরকারের কাছে কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন আপনারা সবাই অবগত আছেন গত ১৫ অক্টোবর ২০২৪ রাত ১০ ঘটিকায় রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক মুহম্মদ আলতাফ হোসেন ইন্তেকাল করেন।

আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে তার রুহের মাকফাত কামনায় বাংলাদেশের প্রত্যেকটা জেলায় জেলায় স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের ব্যবস্থা করা হয়। তারি ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে দোয়া মাহফিল ও স্মরণ-সভা অব্যাহত আছে, কিছুদিন আগে আমরা একটি জেলায় গেলে শুনতে পাই জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নাম ব্যবহার করে লায়ন নুর ইসলামের নেতৃত্বে আবুল বাশার মজুমদার, হেলাল উদ্দিন হিলু একটি কুচক্র মহল মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কমিটি বাণিজ্য এবং পালিয়ে যাওয়া খুনি হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগ পূর্ণবাসনের লক্ষ্যে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে আমরা জানতে পারি। তাৎক্ষণিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলোর দপ্তরে উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করি।

হাসিনার দোসর গণহত্যাকারী প্রতারক নুর ইসলাম, আবুল বাসার মজুমদার হেলাল উদ্দিন হিলু’দের বিরুদ্ধে সংস্থার পক্ষ থেকে আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, আপনারা জানেন ৫ ই আগস্ট এর পর ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি বর্তমান সময়ে খুনি হাসিনার দোসরদের এই নতুন বাংলাদেশে থাকার কথা না, কিন্তু তাদেরকে এখনো আইনের আওতায় কেন আনা হলো না সেটাই দুঃখের বিষয়। তারা এখনো স্বৈরাচার গণহত্যাকারী খুনি হাসিনার নির্দেশে বর্তমান সরকারকে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করার এবং আওয়ামী সরকারকে পূর্ণবাসন করার লক্ষ্যে নতুন করে বিভিন্ন সংগঠনের নাম ব্যবহার করে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।

আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে এ গণহত্যাকারীদের কে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য তথ্য ও প্রযুক্তি যোগাযোগ অধিদপ্তর, জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তর, মেট্রো পলিটন পুলিশ, বিশেষ শাখা (এসবি), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), সহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা প্রতিপক্ষের বরাবর সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রত্যেকটা দপ্তরে উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি তারা আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন এই প্রতারক গণহত্যাকারী খুনি হাসিনার দোসর লায়ন নুর ইসলাম ও আবুল বাসার মজুমদার হেলাল উদ্দিন হিলু সহ তাদের সাথে যারা জড়িত আছে সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলে আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম