তারিখ লোড হচ্ছে...

কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি জনগণের জন্য হুমকি স্বরূপ হলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না

স্টাফ রিপোর্টার: অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্রসহ অবৈধ সকল অস্ত্র উদ্ধারে শিগগিরই কার্যকর পদক্ষেপ নেবে সরকার এবং এ বিষয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান সাফল্য দেখা যাবে।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে রাজধানীর মিন্টো রোডে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনরত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

আসিফ মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের সময় ১৬ বছরে যাদেরকে রাজনৈতিকভাবে অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল তাদের অনেকেই অস্ত্র জমা দেননি। তবে লাইসেন্সকৃত অধিকাংশ অস্ত্রই পুলিশ জব্দ করেছে। কিন্তু লুট হওয়া অনেক অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, যেগুলো জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার চেষ্টা হচ্ছে।

উপদেষ্টা জানান, পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি আরও বিভিন্ন জায়গা থেকে অস্ত্র বাংলাদেশে ঢোকানোর এবং দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এই বিষয়টি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে সরকার জানতে পেরেছে।

তিনি বলেন, অস্ত্র উদ্ধারে যৌথবাহিনীর যে অভিযান হয়েছিল, সেটা ইফেক্টিভাবে যাতে আবার পরিচালনা করা যায় এবং জনগণের জন্য হুমকিস্বরূপ যে অস্ত্রগুলো এখনও বাইরে আছে সেগুলো উদ্ধার করার জন্য আমরা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দ্রুত নির্দেশনা দিবো। আপনারা এর দৃশ্যমান সাফল্য দেখতে পাবেন।

কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি জনগণের জন্য হুমকি স্বরূপ হয়ে উঠলে তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না বলেও আশ্বস্ত করে আসিফ মাহমুদ আন্দোলনকারীদের ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেন।

এর আগে, রাতে আব্দুল হান্নান মাসউদ কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ফেসবুকে দুটি পোস্ট দেন। প্রথম পোস্টে তিনি লেখেন, আমার জন্মভূমি হাতিয়ায় সাবেক এমপি জলদস্যু মোহাম্মদ আলীর বাসা থেকে ছাত্রদের উপর গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। প্রশাসন আছে, কিন্তু সন্ত্রাসীদের হাতে অস্ত্রও আছে। আমার ভাইদের উপর সন্ত্রাসীরা গুলি চালিয়েছে, আমি যাচ্ছি। হয় জন্মভূমি, নয় মৃত্যু। দোয়া করবেন।

তিনি আরও লেখেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, নেভি ক্যাম্পের পাশেই অস্ত্রভর্তি মোহাম্মদ আলীর আস্তানা।’

দ্বিতীয় পোস্টে মাসউদ লেখেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে যাচ্ছি, ওখানে অবস্থান করবো রাত সাড়ে ১২টা থেকে। ওনারা ঘুমাবে, আর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ছাত্রদের উপর গুলি করবে। যারা সঙ্গ দেবেন, আসতে পারেন।

পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদের নেতৃত্বে বাংলামোটর থেকে রওয়ানা দেন শিক্ষার্থীরা। পুলিশের বাধায় রাত পৌনে ১টার দিকে মিন্টো রোডের মাথায় বসে পড়েন তারা।

সচিবালয়ে সন্ধ্যা ৬টার পর সভা-সমাবেশ করতে লাগবে অনুমতি

সচিবালয়ে সন্ধ্যা ৬টার পর সভা-সমাবেশ করতে লাগবে অনুমতি

ডেস্ক রিপোর্ট:

দেশের প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ সচিবালয়ের নিরাপত্তায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। এবার সচিবালয়ের ভেতরে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি সন্ধ্যা ৬টার পর সচিবালয়ে অবস্থান করতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার বিধান করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশ সচিবালয়ের অভ্যন্তরে প্রতিটি ভবনের নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সচিবালয়ের অভ্যন্তরে অবস্থিত প্রতিটি ভবন/প্রাঙ্গণের সার্বক্ষণিক শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সিদ্ধান্তগুলো হলো-সচিবালয়ের অভ্যন্তরে কোনো ধরনের মিছিল, সমাবেশ বা গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা, সচিবালয়ের অভ্যন্তরে অবস্থিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অননুমোদিত কোনো সভা বা সমাবেশ অথবা কোনো পেশাগত সংগঠন, সমিতির সভা, সম্মেলন, বৈঠক করা যাবে না।

এ ছাড়া সন্ধ্যা ৬টার পর সচিবালয়ের ভেতরে জরুরি দাপ্তরিক প্রয়োজনে অবস্থান করতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে, সাপ্তাহিক ছুটি কিংবা অন্য কোনো ছুটির দিনে সচিবালয়ের ভেতরে দাপ্তরিক প্রয়োজনে অবস্থান করতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি নিতে হবে, সচিবালয়ের ভেতরে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সচিবালয়ে প্রবেশ পাস দৃশ্যমান রাখতে হবে, সচিবালয়ের অভ্যন্তরের কোনো ভবন বা প্রাঙ্গণে কোনোরূপ লিফলেট বিতরণ, ব্যানার বা ফেস্টুন ঝোলানো বা স্থাপন করা যাবে না এবং সচিবালয়ে প্রবেশকালীন গাড়ি বা ব্যক্তির নিরাপত্তা তল্লাশি দায়িত্বরত নিরাপত্তা বাহিনী নিশ্চিত করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে সবাইকে নির্দেশনাগুলো আবশ্যিকভাবে পালন করতে বলা হয়েছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম