তারিখ লোড হচ্ছে...

ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ আজ

স্টাফ রিপোর্টার: গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের আগস্টে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর রাষ্ট্র সংস্কারে গঠন করা হয় ছয়টি সংস্কার কমিশন।

আজ শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এই কমিশনগুলোর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

একই সঙ্গে কমিশনের প্রধানরা পরবর্তী আশু করণীয়, মধ্য মেয়াদি পরিকল্পনা বা ভবিষ্যতে নির্বাচিত সরকার কী করতে পারে— সেটির সর্বসম্মত সুপারিশমালা পেশ করবেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনুস রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে সংস্কারের জন্য ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে দেন। এসব কমিশনকে ৯০ দিন বা তিন মাসে অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

এরপর নির্ধারিত সময়ের ১৫ দিন পর গত ১৫ জানুয়ারি সংবিধান, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ সংস্কার ও দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক এই চারটি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে পেশ করা হয়। অপরদিকে জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গত বুধবার প্রতিবেদন জমা দেয়।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ শনিবার সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ও সুপারিশমালা রাজনৈতিক দল ও গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তির কাছে পাঠানো হবে। এরপর রাজনৈতিক দল ও গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের সব শক্তির সঙ্গে আলোচনা এবং সমঝোতাক্রমে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে হবে।‌ এ তারিখ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে।

গত মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংকালে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, এ ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশের আলোকে মধ্য ফেব্রুয়ারিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐক্যমত পৌঁছাতে একটি বৈঠক শুরু হবে। সেই বৈঠকের সভাপতিত্ব করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। তবে রাজনৈতিক দলগুলো রাজি থাকলে এ আলোচনা পবিত্র রমজান মাস পর্যন্ত চালিয়ে নেওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ১ মাস ৩ দিনের মাথায় গত ১১ সেপ্টেম্বর বহুল আলোচিত গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি খাত সংস্কারে কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা।

এর মধ্যে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান করা হয় সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারকে। পুলিশ সংস্কার কমিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয় সাবেক জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র সচিব সফর রাজ হোসেনকে। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের দায়িত্ব পান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান। দুদক সংস্কার কমিশনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিয়ন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজকে প্রধান করা হয়।

আবার এই কমিশনগুলোর প্রধানদের নিয়ে গঠিত হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। যেটির প্রধানের দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং সদস্য সচিব হন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদনের পর প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করবে সরকার।

এরপর চূড়ান্ত পর্যায়ে শিক্ষার্থী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সরকারের প্রতিনিধি নিয়ে ৩ থেকে ৭ দিনব্যাপী একটি পরামর্শসভার ভিত্তিতে সংস্কার ভাবনার রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে।

 

মেঘনাতে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষায় নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে অভিভাবক সমাবেশ

মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:

শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্য আনয়নের লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে ঢেলে সাজানো হয়েছে শিক্ষাক্রম মুখস্থ বিদ্যা পরিহার করে হাতে কলমে বাস্তবমুখী শিক্ষা সকলের কাছে পৌঁছে দিতে নতুন প্রয়াস। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের পরেই চলছে, নবগঠিত শিক্ষাক্রমে পুরোদস্তুর পাঠদান। শিক্ষক শিক্ষার্থীরা নতুন পাঠ্যসূচিতে পরিচিত হয়ে উঠলেও অভিভাবকরা রয়েছেন পুরাতন সূচিতেই। অনেক পিতামাতা পারছেন না ছেলেমেয়ের পড়াশোনার সঠিক তদারকি করতে!

এরই ধারাবাহিকতায়, বুধবার (১ই নভেম্বর,২০২৩) দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লা মেঘনা উপজেলায় ‘মানিকারচর সাহেরা লতিফ মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’র আয়োজনে নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণীর বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অবহিত করণ বিষয়ক অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্কুলটির প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মেঘনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ফারুক আহম্মেদ। অপরাপর ব্যক্তিবর্গদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মানিকারচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ, উক্ত বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য আলাউদ্দিন, মো. বিল্লাল খন্দকার, স্কুলের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বৃন্দ প্রমুখ।

প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম বলেন, আমরা চাই এই বিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েরা পূর্বের ন্যায় সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখুক। তাদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক দেশ গঠনের স্পৃহা। নতুন পাঠ্যক্রমে অনেক অভিভাবক দেখেছি সঠিকভাবে বুঝে উঠতে না পারায়, সন্তানদের তদারকি করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। এজন্য আমরা অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করেছি, পাঠ্যক্রমের গুরত্ব তুলে ধরেছি। প্রয়োজনে কিছুদিন পর পর আপনাদের নিয়ে আমরা সমাবেশ করবো। ছেলেমেয়েদেরকে প্রকৃত মানুষ করে গড়ে তুলতে পারলেই আমাদের সফলতা অর্জন করা হবে।

এ সময় উপস্থিত কয়েকজন অভিভাবকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে আমাদের মাঝে দীর্ঘদিন ধোঁয়াশা বজায় থাকলেও অভিভাবক সমাবেশের পর আমরা বুঝতে পেরেছে নতুন পাঠ্যসূচির গুরত্ব। আমাদের ছেলে-মেয়েদের উপরে মানসিক চাপ অনেকাংশে কমে যাবে। হাতে-কলমে সবকিছুই স্কুল থেকে শিখতে পারবে, যা উন্নত দেশগুলোতে লক্ষ্য করলে এমন শিক্ষা কার্যক্রম দেখতে পাওয়া যায়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম