তারিখ লোড হচ্ছে...

কখনো সচিব, কখনো সময় ও এটিএন টেলিভিশন এর  বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা

 

স্টাফ রিপোর্টার:

সংবাদমাধ্যমের আজ করুন অবস্থা বিরাজ করছে বিভিন্ন কারনে এর মাঝে আবার কতিপয় অশিক্ষিত ব্যাক্তি নিজেদের কে বড় বড় গণমাধ্যমের নাম বিক্রি করে এমন কোন অপরাধ নেই যে তারা জড়িয়ে না পরে তার কারনে সাধারণ মানুষকে কাছে সাংবাদিকরা এখন সাঙ্গাতিকে পরিনত হয়েছে,  এমনি একজন নাম শেখ তিতুমীর
নামে-বেনামে কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল খোলে তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনের ভুয়া সনদ দেখিয়ে ৩০ হাজার থেকে শুরু করে মোটা অংকের টাকায় বিক্রি করে সাধারণ মানুষের কাছে।
সাধারণ মানুষকে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অংকের টাকা।
পত্রিকার সম্পাদক থেকে শুরু করে সংবাদকর্মী রেহাই পায়নি কেউই।

সৌদি আরব প্রবাসী ও একজন গণমাধ্যম কর্মী মোঃ জামাল হোসেন জানান, একটি পত্রিকা আমার নামে নিবন্ধন করিয়ে দিবে বলে ও পত্রিকা নিবন্ধনের ভুয়া সনদ দেখিয়ে প্রায় ৩০ হাজার টাকা নেন কথিত প্রতারক শেখ তিতুমীর। পরবর্তীতে আমি যাচাই করে দেখি আমি একটি প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েছি।
তাদের বিরুদ্ধে কথা বলাই সকল জায়গা থেকে আমাকে ব্লক করে দিয়েছে।

সর্বশেষ, একটি  পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক সাংবাদিক, মাহামুদুল কবির নয়ন এর সাথে একইভাবে প্রতারণা করতে আসার পরে সন্দেহ থেকে গভীর অনুসন্ধান করা হয় তার সম্পর্কে।

অনুসন্ধান টিমের নিখুঁত অনুসন্ধানে ধরা পড়ে এরা একটি বড় প্রতারক চক্র।
এই প্রতারক চক্রের সাথে চট্রগ্রামের একটি কোম্পানি সহ ঢাকার কয়েকজন হলুদ সাংবাদিকও জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়।

তিন পর্বের ধারাবাহিক অনুসন্ধানের প্রথম পর্ব দেখতে চোখ রাখুন

জামায়াত নেতা আজহারুলের আপিলের রায় কাল

স্টাফ রিপোর্টার:

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিলের ওপর রায় ঘোষণা করা হবে আগামীকাল মঙ্গলবার।

মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বেঞ্চ রায় ঘোষণা করবেন।

সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির।

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়। গত বৃহস্পতিবার (৮ মে) আপিল বিভাগের একই বেঞ্চে শুনানি শেষে রায়ের জন্য ২৭ মে দিন ধার্য করেন।

আদালতে ওইদিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা-হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং বাড়িঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো ৯ ধরনের ৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে ২ নম্বর, ৩ নম্বর এবং ৪ নম্বর অভিযোগে ফাঁসির দণ্ডাদেশ পান জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আজহারুল ইসলাম। এ ছাড়া ৫ নম্বর অভিযোগে অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অমানবিক অপরাধের দায়ে ২৫ বছর ও ৬ নম্বর অভিযোগে নির্যাতনের দায়ে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে শুনানির পর ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। আপিল বিভাগের রায়ে ২, ৩, ৪ (সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে) ও ৬ নম্বর অভিযোগের দণ্ড বহাল রাখা হয়। আর ৫ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়।

ওইদিন আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী (প্রয়াত) খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন (প্রয়াত) অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। ওই রায়ের রিভিউ চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট আবেদন করেছিলেন এটিএম আজহারুল ইসলাম। ২৩ পৃষ্ঠার পুনর্বিবেচনার এ আবেদনে মোট ১৪টি যুক্তি উপস্থাপন করা হয়।

ওই পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি শেষে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে এটিএম আজহারুল ইসলামকে আপিলের অনুমতি দেন। এরপর তিনি আপিল করেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম