তারিখ লোড হচ্ছে...

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলায় ৭ জন আহত

স্টাফ রিপোর্টার:

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলায় উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শনিবার (১৫ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১:৪৫ মিনিটে উপজেলার সিদ্বেশরী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন গনাইসার গ্রামের আমিনুল ইসলাম (৩২) রুপক চোকদার(৪২), রাকিব কবিরাজ (৩০) ও সজিব চোকদার(৩৪)। অপর পক্ষের মান্দ্রা গ্রামের মাসুম শেখ(৩৬),দিপু মজুমদার (৪০) ও শিপন শেখ।

স্থানীয়রা জানায়, টঙ্গীবাড়ী উপজেলা জাসাস এর সাধারণ সম্পাদক গনাইসার গ্রামের সুমন চোকদারের সাথে একই গ্রামের আমিনুল চোকদারের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো। এর আগেও দুই গ্রুপ তর্কে জড়িয়ে ছিলো তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

তবে আজ(শনিবার) দুপুরের দিকে আমিনুল ইসলাম সিদ্ধেশ্বরী বাজারে গেলে সুমন চোকদারের পক্ষ নিয়ে পাচগাও ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি স্বপন শেখ লোকজন নিয়ে আমিনুলদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় উভয় পক্ষের কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। পরে বাজারের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসলে স্বপন শেখ তার লোকজন নিয়ে পালিয়ে যায়।

আহত আমিনুল এর বোন জুই আক্তার জানান, আজ সকালে আমার দাদার জানাজা শেষে আমার ভাই সিদ্ধেশ্বরী বাজারে গেলে সুমন চোকদার ও স্বপন শেখ আমার ভাই কে মেরে আহত করে।ছোট ভাই কে রক্ষা করতে আমার আরেক ভাই রুপক,আমাদের আত্বীয় রাকিব ও সজিব কে মেরে গুরুতর আহত করে। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।পরে এলাকাবাসী আমার ভাইদের টঙ্গীবাড়ী জেনারেল স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় টঙ্গীবাড়ী থেকে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার করে অবস্থা মারাত্মক হওয়ায় চিকিৎসক মুন্সীগঞ্জ থেকেও তাদের কে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত যুবদল নেতা স্বপন শেখ জানান,আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ টি মিথ্যা। আওয়ামী লীগের লোকজন আমাকে এবং আমার লোকজন কে আমাদের বাজারে এসে মারধর করে।

টঙ্গীবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে সাথে সাথে ফোর্স পাঠিয়ে এলাকা শান্ত করি। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নিউমার্কেটে তিন ঘন্টা ধরে সংঘর্ষ, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক

 

গতকাল মধ্যরাতে দীর্ঘ তিন ঘন্টা ধরে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেট ও আশপাশের ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ চলার পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। খাবারের বিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে সোমবার রাত ১১.৪০ মিনিটের দিকে এই ঘটনার সুত্রপাত হয়। এরপর রাত প্রায় আড়াইটা নাগাদ পর্যন্ত থেমে থেমে কয়েক দফা সংঘর্ষ চলে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মাঝে।

এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে রাত পৌনে ১টার দিকে যোগ দেয় অতিরিক্ত পুলিশ। তারা ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ১৫-২০ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাদের রাবার বুলেটও নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। এসময় পুলিশের ছোঁড়া রাবার বুলেটে আহত হয়েছেন ঢাকা কলেজের দুই শিক্ষার্থী।

গতকাল রাত আড়াইটার দিকে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। আহত দুই শিক্ষার্থী হলেন- মোশাররফ হাজারি (২৪) ও রজব রহমান (২৭)। এর মধ্যে মোশাররফের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তার শরীরে অর্ধশতাধিক রাবার বুলেটের চিহ্ন রয়েছে। তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের আইসিউতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তার সহপাঠীরা।

এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও নিউমার্কেট এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা নিউমার্কেট এলাকায় অবস্থান করে পুলিশের গুলি ছোঁড়ার প্রতিবাদ করছেন। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীরা ইস্টার্ন-মল্লিকা মার্কেটের কাছে অবস্থান নিয়েছেন। ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ সদস্যও ঘটনাস্থলে সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন।

এদিকে সংঘর্ষের সময় রাস্তার দুই পাশে রাখা একাধিক মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়েছে। সেগুলো জ্বলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। কে বা কারা মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে তা জানা যায়নি। এছাড়া পুরো রাস্তাজুড়ে ইটের টুকরা ও কাঁচ ভাঙা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম