তারিখ লোড হচ্ছে...

ঐক্যহীনতাই সাংবাদিক নির্যাতন বৃদ্ধি করছে ডিএমসিআরএসের মুখপাত্র আবিদ

চট্টগ্রাম অফিস :

বাংলাদেশের প্রতিটা পেশায় সুদৃঢ় ঐক্য দৃশ্যমান। একজনের বিপদে সবাই এগিয়ে আসে। সেক্ষেত্রে জালের ন্যায় সাংবাদিক বাড়লেও সাংবাদিক নির্যাতনে সবাই মিলে একসাথে কোমড় বেঁধে আমরা নামি না। চিন্তা করি ওনি কি আমাদের সংগঠনের? তারমানে আমাদের মধ্যে ঐক্যের ঘাটতি রয়েছে। সকল কিছুর উর্ধ্বে যেয়ে আমরা সাংবাদিক এই বিশ্বাস বাস্তবায়ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্টোপলিটন ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির মুখপাত্র ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ আবু আবিদ।
১৫ ফেব্রুয়ারি, শনিবার চট্টগ্রাম নগরীতে চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ( সিআরএ) কর্তৃক আয়োজিত গণমাধ্যম উন্নয়ন ও সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিকার মতবিনিময় সভায় উক্ত সংগঠনের সভাপতি সোহাগ আরেফিন এর সভাপতিত্বে মুহাম্মদ আবু আবিদ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন।

মুহাম্মদ আবু আবিদ বলেন, পুরো দেশ কমবেশি সাংবাদিক নির্যাতন সবসময়ই হয়ে এসেছে। ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিকার নিয়ে মতবিনিময় সভা করাটাই অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। সাংবাদিক নির্যাতনের প্রধান কারণ সাংবাদিকদের মধ্যে ঐক্যহীনতা। পত্রিকা, টিভি, অনলাইন পোর্টাল, আইপি, মাল্টিমিডিয়া সব ভুলে যেয়ে আমাদের মনে রাখতে হবে শেষ বিকেলে আমরা সবাই সাংবাদিক। আজ কারও বিপদে যদি আমরা নিশ্চুপ থাকি, তাহলে কাল এটি আপনার সাথে ঘটবে। তখনও বাকিরা চুপ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আমি এটাও স্বীকার করে নিচ্ছি সাংবাদিক পরিচয়ে কিছু মানুষ চাঁদাবাজিতে লিপ্ত। আমি পরিষ্কার করে দিতে চাই, দূর্ণীতিবাজ কিংবা চাঁদাবাজদের পরিচয় কেবলই চাঁদাবাজ, তারা কোন সাংবাদিক নয়। আর আপনি যদি সৎ হয়ে থাকেন, তাহলে তো চাঁদাবাজরা আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। তাহলে তাদের ভয় পাওয়ারও কিছু নেই।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক কালের প্রতিচ্ছবি সম্পাদক হাসান আল মামুন, সিআরএ এর সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খোকন, রাজু আহমেদ, মোঃ রুবেল, সোহেল আহমেদ, শহিদুল ইসলামসহ বিশিষ্ট সাংবাদিকবৃন্দ ও ব্যক্তিবর্গ।

মুহাম্মদ আবু আবিদ বাংলাদেশের জনপ্রিয় একজন সমাজকর্মী ও বিশিষ্ট সাংবাদিক। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির মুখপাত্র ও সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশের স্বনামধন্য সামাজিক সংগঠন দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান। এছাড়াও তিনি দৈনিক অন্যদিগন্ত, দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ, চ্যানেল ২৪, দেশ বাংলা ৭১ নিউজ, দৈনিক বজ্রধ্বনিসহ নানা গণমাধ্যমে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত মিডিয়াভুক্ত পত্রিকা দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন এর ব্যবস্থপনা সম্পাদক ও অনলাইন চীফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

কারাগারে ১০ টাকার ওষুধ ১০০ তে সাপ্লাই দিতেন

স্টাফ রিপোর্টার:

কুমিল্লার  আবু জাহের আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঠিকাদারি করে দুর্নীতির মাধ্যমে কামিয়েছেন হাজার কোটি টাকা। কুমিল্লা জেলখানায় ঠিকাদারি কাজ পেয়ে করেছেন ব্যাপক দুর্নীতি। জেলখানার ভেতরে ১০ টাকার ওষুধ ১০০ টাকায় সাপ্লাই দিয়ে কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। কুমিল্লা শহরে নিজের নামে ও স্ত্রীর নামে রয়েছে ১০ তলা বাড়ি। যার বর্তমান মূল্য ২০ কোটি টাকা। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে ৭ জানুয়ারি হাসিনার তথাকথিত নির্বাচনে

কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাক্ষণপাড়া) আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য আবু জাহের ও তার ভাতিজা আবু তৈয়ব অপি গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ। ছেলে, মেয়ে, স্ত্রী, পুত্রের নামেও রয়েছে অনেক সম্পদ। শেখ হাসিনার পতনের পর তারা গা ঢাকা দিয়েছেন।
জাহেরের ছেলের নামে রয়েছে দেড় কোটি টাকা মূল্যের বিলাসবহুল গাড়ি, স্ত্রীর নামে রয়েছে ১ কোটি টাকার মূল্যে বিলাসবহুল গাড়ি, নিজের নামে ও স্ত্রীর নামে কসবা নয়নপুর রোডে মল্লিকা সিএনজি ও ফিলিং স্টেশন ১২০ শতক জায়গার ওপর গড়ে তুলেছেন, যার আনুমানিক মূল্য ২০০ কোটি টাকা।

প্রথমে এই এমপি রাজনীতি না করলেও আপন বড় ভাই ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জেলার নেতা। তখন কুমিল্লা-৫ আসনের এমপি ছিলেন মরহুম আবদুল মতিন খসরু। যিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। তখনো আবু জাহের রাজনীতি করেননি। আবু তাহের উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন মারা যান। ভাইয়ের মৃত্যুর পর হঠাৎ করে রাজনীতিতে আসেন আবু জাহের। প্রথমে তিনি হন উপজেলা চেয়ারম্যান। পরে আব্দুল মতিন খসরুর মৃত্যুর পর তার জায়গা খালি হয়। তখন তিনি কুমিল্লা-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জাতীয় সংসদ-সদস্য নির্বাচনে কেটলি মার্কা নির্বাচন করে এমপি হন। অভিযোগ রয়েছে, এ সময় অনিয়ম করে এমপি হন আবু জাহের। আর এসব কিছু হয়েছে ভাতিজা কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তৈয়ব অপির মাধ্যমে। তার এমপি হওয়ার পেছনে কাজ করেছেন কুমিল্লার সংসদ-সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার। তার বিরুদ্ধে কথা বলতে এলাকায় কেউ সাহস পেত না।
অপির সখ্য ছিল সাবেক রেলপথমন্ত্রী মজিবুল হক এমপি ও সাবেক অর্থমন্ত্রী লোটাস কামালের সঙ্গে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুই মন্ত্রীর হাত ধরে আবু তৈয়ব অপি অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। গড়ে তুলেছেন নিজের নামে ও স্ত্রী, ভাইয়ের নামে সম্পদের পাহাড়। কুমিল্লা রয়েছে বাগিচাগাঁও এলাকায় ২০ শতক জায়গার ওপর ১০ তলা বাড়ি। নিজের নামে ও স্ত্রীর নামে বিলাসবহুল গাড়ি। চাচা আবু জাহের এমপি হওয়ার পর নিজে হয়ে যান উপজেলা চেয়ারম্যান।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে বাগিচাগাঁও বাসায় গেলে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বাড়ির কেয়ারটেকার বলেন, সরকার পতনের পর থেকে আবু জাহের এমপি মহোদয় ও আবু তৈয়ব অপি আর বাসায় আসেননি। বাসায় তালা রয়েছে। তবে ১০ তলা বাড়ির ভাড়াটিয়া আছেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম