তারিখ লোড হচ্ছে...

কি নেই খাদ্য পরিদর্শক আশরাফুলের?

স্টাফ রিপোর্টার:

পেশায় উপ খাদ্য পরিদর্শক হলেও এলাকায় ধণবান,দানবীর হিসেবে পরিচিত আশরাফুলের জন্মস্থান বগুড়ার গাবতলি উপজেলায়।সাম্প্রতিক আলোচনায় এসেছেন ঠিকাদারি কাজের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে।সরকারী কর্মকর্তা হয়েও অন্য নামে লাইসেন্স খুলে ভাগিয়ে নেন সরকারি কাজ।
হাসিনা সরকারের আমলে সরকার দলীয় ব্যবসায়িদের সাথে বিশেষ সখ্যতা গড়ে তোলাই নিমিষেই ঘুরে যায় ভাগ্যের চাকা।নিজ এলাকায় কিনেছেন কয়েক একর জমি।সরিজমিনে খোজ নিয়ে জানা যায় এলাকায় কেউ জমি বিক্রি করলেই বর্তমান বাজার দরের চেয়ে উচ্চ মূল্যে তিনি জমি কিনে নেন।এজন্য তিনি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন।জমি বন্দকের নামে প্রদান করেন লক্ষ লক্ষ টাকা পরবর্তীতে গ্রাহক টাকা ফেরত দিতে না পারলে কৌশলে দলিল করে নেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ মুজিব শতবর্ষ চলাকালে দলীয় ব্যবসায়ীদের মুজিব বর্ষের লোগো ব্যবহৃিত খাদ্য বান্ধব কার্ড বানিজ্যে জড়িতকরণ। সরকারি গুদাম থেকে মালামাল নিয়ে এসে লোগো পরিবর্তন করে নিজ এলাকা সোন্দাবাড়িতে বিলিয়ে দিয়ে দানবীয় হিসেবে পরিচিতি পান,যে কোন অনুষ্ঠানে টাকার বিনিময়ে অতিথি হতে কাজ করে আরেকটি গ্রুপ।……নিউজের সংবাদ সংগ্রাহক খোজ নিয়ে তার নামে নিজ এলাকায় একাধিক গাড়ী,নিজ উপজেলা গাবতলিতে ৪ তলা দুটি বাসা বাড়ি,শহরে একাধিক ফ্ল্যাটের সন্ধান পেয়েছেন ও ভূমি সেটেলমেন্ট অফিসের রেকর্ড সার্ভারে কয়েক একর জমির সন্ধান পাওয়া যায়।এছাড়া জটিলতা এড়াতে তিনি তার অধিকাংশ ভূমি রেকর্ড থেকে বিরত রাখেন।
আমাদের প্রতিনিধি তার সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ফোন ধরেন নি।

মুনতাহাকে নির্মমভাবে হত্যার কারণ সনাক্ত

স্টাফ রিপোর্টর॥

সিলেটের কানাইঘাটের ৫ বছরের ছোট্ট শিশু মুনতাহা নিখোঁজ, এমন খবরে একদিন আগেও সরব ছিল নেট দুনিয়া। মুনতাহার সন্ধান চাই এমন শিরোনামে দেশের হাজারো মানুষ নিজের ফেসবুক প্রোফাইল বা পেজে পোস্ট দেন। সবার একটাই আকুতি ছিল জীবিত হয়ে মা-বাবার কোলে ফিরবেন মুনতাহা। কিন্তু শিশু মুনতাহা নিখোঁজের সাতদিন পর ঠিকই ফিরেছেন, তবে জীবিত নয় মৃত অবস্থায়। রোববার ভোরে নিজ বাড়ির পুকুর থেকে তার নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি ও চুরির অপবাদ দেওয়ার ক্ষোভ থেকে সিলেটের কানাইঘাটের ৬ বছরের শিশু মুনতাহাকে হত্যা করেছে তার গৃহশিক্ষিকা শামীমা বেগম মার্জিয়া।

জানা গেছে, গত ৩ নভেম্বর সকালে মুনতাহাকে নিয়ে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরেন তার বাবা। পরে শিশুটি প্রতিদিনের মতো আশপাশের বাড়িতে শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায়। বিকেল ৩টার পরও বাড়ি না ফেরায় পরিবার থেকে মুনতাহাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তারপর তাকে আর কোথাও পাওয়া যায়নি। ঘটনার দিনই মুনতাহাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বাড়ির পাশের ডোবায় পুতে রাখেন খুনিরা। সন্দেহ থেকে শনিবার স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে গৃহশিক্ষক মার্জিয়ার আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। পরে রাতে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ মুনতাহার স্বজনদের বলেন মার্জিয়ার বাড়ির আশপাশে মাটি খোঁড়া আছে কি না খোঁজ নিতে। স্থানীয়রা রোববার রাতভর তার বাড়ির আশেপাশে কোথাও মাটিখোঁড়া কোনো জায়গা আছে কি না খুঁজতে থাকেন।

ফজরের আজানের আগ মুহূর্তে মার্জিয়ার মা আলিফজান বিবিকে হঠাৎ অন্ধাকারের মধ্যে রাস্তা পার হতে দেখে আটকানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্ঠা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করেন। পরে কাদামাটি মাখা মুনতাহার মরদেহ দেখতে পান। এরপর শিশু মুনতাহার গৃহশিক্ষিকা শামীমা বেগম মার্জিয়া, শিক্ষিকার মা ও তার নানি কুতুবজান বিবিকে আটক করে পুলিশ।

মারজিয়ার স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো রফিকুল ইসলাম জানান, গত ৩ নভেম্বর রাতেই মুনতাহাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর ডোবায় ফেলে রাখা হয়। মারজিয়াকে শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় ক্ষোভ ও তার ওপর চুরির অপবাদ দেওয়ার ক্ষোভ থেকে এই হত্যাকান্ড ঘটতে পারে। তবে এ ঘটনায় আর কোনো কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

তিনি আরো জানান, মুনতাহা হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে আরো তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন- নিজাম উদ্দিন, ইসলাম উদ্দিন ও নাজমা বেগম। হত্যাকান্ডে আরো কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা উদঘাটন করতে আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সবা:স:জু-৭৭/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম