ভাগিনার বিরুদ্ধে মামির ওড়না ধরে টানার অভিযোগ

রায়হান হোসাইন॥

চট্টগ্রামের হালিশহর থানাধীন আর্টিলারি এলাকায় চুনা ফ্যাক্টরীর মোড়ে অবস্থিত অতিথি ভবনের (২য় তলা) অস্থায়ী বাসিন্দা (ভাড়াটিয়া) মৃত মফিজুল্লার মেয়ে মুমতাহিনা চৌধুরীর (২৫) শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠেছে তার স্বামী মো. আকবর হোসেনের বড় বোনের ছেলে ( ভাগিনা) সাইফ আল আমিন প্রকাশ তুষারের (২৮) বিরুদ্ধে।

১৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার নগীরর হালিশহর থানায় নিজে বাদি হয়ে এই অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী মুমতাহিনা চৌধুরী। এর আগে ওই দিন দুপুর পৌনে ১টার দিকে অতিথি ভবনের ছাঁদে সাইফ আল আমিন তুষারের অশ্লীল কথাবার্তার পাশাপাশি শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালালে নিজের ইজ্জত রক্ষার্থে জাতীয় জরুরী সেবা ‘৯৯৯’ এ ফোন দেন মুমতাহিনা চৌধুরী।

ভুক্তভোগী এজাহারে উল্লেখ করেন, তার স্বামী আকবর হোসেন একজন ব্যবসায়ি। ব্যবসায়ের কাজে তিনি বিভিন্ন দেশে মাসের পর মাস অতিবাহিত করতেন। অপরদিকে একই বিল্ডিংয়ে (অতিথি ভবন) অভিযুক্তসহ তার পরিবারও বসবাস করতো। স্বামী বাসায় না থাকলে তুষায় মামি মুমতাহিনা চৌধুরীর বাসায় এবং বাহিরে তার সাথে অশ্লীল কথা এবং কুরুচিপূর্ণ অঙ্গভঙ্গিমা প্রদর্শন করতো। সুযোগ পেলে গায়ের ওড়না ও বোরকা ধরেও টান দিত। এসব বিষয়ে আমার স্বামীকে ( মো. আকবর হোসেন) জাননোর পর, তিনি তার মা অর্থা আমার শাশুড়ি ও বড় বোনকে জানালে তারা উল্টো আমার স্বামীকে গালমন্দ করে আসছিল।

হালিশহর থানা সূত্র জানায়, শ্লীলতাহানির অভিযোগে মুমতাহিনা চৌধুরী নামের এক ভুক্তভোগী সাইফ আল আমিন প্রকাশ তুষারকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি এজাহার দায় করেছেন। তিনি মৃত ফিরোজ আলমের পুত্র।

এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ

এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা:

চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক আন্দোলন বন্ধ করতে ৫ লাখ টাকা নেওয়ার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে আরেকজনের সঙ্গে কথোপকথনের ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া দেড় মিনিটের ওই ভিডিওতে আফতাব হোসেন রিফাত নামে একজনকে নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে মেসেঞ্জারে কলে কথা বলতে দেখা যায়, যেটি অন্য আরেকটি ফোনে ভিডিও করা হয়।

শুরুতে আফতাব হোসেন বলেন যদি মীর ভাইয়েরা আন্দোলন বন্ধ না করে, তখন কী করব জবাবে নিজাম উদ্দিন বলেন আন্দোলন বন্ধ করাব। তোমারে দিছে, টাকা দিছে এ পাশ থেকে হ্যাঁ ভাই জবাব দেন আফতাব। তখন নিজাম বলেন কত দিয়েছে কত লাখ এমন প্রশ্নে আফতাব বলেন পাঁচ। এরপর নিজাম উদ্দিন বলেন আন্দোলন বন্ধ করার জন্য। তখন আফতাব বলেন, হ্যাঁ। নিজাম এরপর বলেন আরও বেশি নিতা প্রেশার দিয়ে। তখন আফতাব বলেন, না ভাই, আমার তো ফ্যামিলি মেম্বার, কিভাবে বলি। নিজাম বলেন, এখন কি আন্দোলন বন্ধ করতে হবে। তখন আফতাব বলেন, ওনারা তো বলল এমনই।

নিজাম বলেন, তোমরা দেখো ওর থেকে আরো পাঁচ লাখ নিতে পারো কি না, নিতে পারলে ওদের আমি এনে, রোহান, মীরদের এনে কিছু একটা দিয়ে দিলাম। তখন আফতাব বলেন, কত। নিজাম বলেন, টেন। ওনাদের কাছে এত ছোট ডিমান্ড করতেছ কেন, তুমি বিষয়টা জানাবে না আমারে। এরপর আফতাব জানাচ্ছি বলে ফোন রেখে দেন।
এই আফতাব হোসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক সমন্বয়ক বলে জানিয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও সম্পর্কে জানতে চাইলে এনসিপি চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ভিডিওটি সাত-আট মাসের আগের।

যে ভিডিও করছে সে এই সম্পর্কে একটা বক্তব্য দেবে। ওনার বক্তব্যে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। তিনি আরো বলেন, ভিডিওর কথাটা নিজের বলে স্বীকার করেন। আফতাবকে জোর করে বাধ্য করছে এমন করে কথা বলতে আমার সঙ্গে। ভিডিওর বিষয়ে আফতাব হোসেন রিফাত বলেন, বন্দর কেন্দ্রীক ইস্যু নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে আমাকে নিয়ে। ঘটনটা শুরু হয় মে মাসের ৩০ তারিখ থেকে। জয় আমাকে ফোন দিয়ে ডেকে নেয়। সঙ্গে ২৫ থেকে ৩০ জনকে নিয়ে এসে মারধর শুরু করে। এরপর নিজাম ভাইকে কল দিতে বলে। এরপর তারা জোরপূর্বক ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি করে। নিজাম ভাইয়ের সঙ্গে আমরা সব সময় এমন দুষ্টুমি করি। নিজাম ভাই ভাবছে দুষ্টুমি করে চাঁদার কথা বলছি। নিজাম ভাইও আমার কথার প্রেক্ষিতে কথা বলেছেন।

তবে ভিডিওটি বন্দর কেন্দ্রীক কোন আন্দোলনের বিষয়ে কথা বলা হচ্ছে তা নিশ্চিত হতে পারেনি কালের কণ্ঠ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম