তারিখ লোড হচ্ছে...

নিজেকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানোর আর্জি জামায়াত আমিরের

স্টাফ রিপোর্টার: জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দেওয়া না হলে নিজেকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানোর আর্জি জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে এক পথসভায় এ দাবি জানান তিনি।

তিনি বলেন, আজহারুল ইসলামের মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ পুরোপুরি মুক্তি পাবে না। তবে একজন মজলুম মুক্তি পাবে। বাংলাদেশকে মুক্ত করতে হলে এদেশের যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। টানা সাড়ে ১৫ বছর আমাদের ওপর জুলুম চলেছে, আমরা আন্দোলন করেছি ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরানোর জন্য। আমরা রাজনীতিবিদরা পারিনি। কিন্তু সেই সব কষ্ট, দুঃখ, যাতনা, জুলুম একত্রিত হয়ে যে শক্তি তৈরি হয়েছিল, আমাদের ছাত্রদের নেতৃত্বে সেই শক্তিতে বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে।

এসময় তিনি যুবকদের উদ্দেশে বলেন, সমাজ গড়ার জন্য দায়িত্ব নিতে হলে তোমাদের এগিয়ে আসতে হবে। যে সমাজের যুবকরা এগিয়ে আসে বিপ্লবের জন্য, সেই সমাজে আল্লাহর পক্ষ থেকে বিপ্লব সফল হয়। আমি যুবকদের থেকে দুটি জিনিস চাই, একটি গভীর দেশপ্রেম ও আরেকটি আল্লাহর প্রতি ভয়। এই দুটি জিনিস নিয়ে যদি যুবকরা এগিয়ে আসে তারাই হবে সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে হিমালয় পর্বত। এই পর্বত যারাই খসে দিতে আসবে, তাদের মাথা চুরমার হয়ে যাবে।

জেলার নায়েবে আমির কে এম মকবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, জেলা আমির অধ্যক্ষ মুহা. আব্দুর রব হাশেমী, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ মুহাম্মদ আজহারুল ইসলাম প্রমুখ।

ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে প্রায় আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগদুদকে মামলা

কুমিল্লা প্রতিনিধি॥
ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে প্রায় আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগপ্রায় আড়াই কোটি টাকা তিনজন মিলে আত্মসাতের অভিযোগে ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রতন কুমার সাহা ও কলেজের দুই স্টাফের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক। মামলাটির বাদী কুমিল্লা দুর্নীতি দমন কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাফি মোঃ নাজমুস সাদাত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক কুমিল্লা অঞ্চলের উপ-পরিচালক ফজলুল হক।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন কলেজের সাবেক হিসাব রক্ষক ও বর্তমানে প্রধান সহকারী মোহাম্মদ আবদুল হান্নান এবং অফিস সহকারি কাজে জাহাঙ্গীর আলম।
প্রফেসর রতন কুমার সাহা ২০১৮ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ৩০ মে পর্যন্ত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একই বছরের জুন মাসের ১১ তারিখ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ রুহুল আমিন বিয়ার নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন,অনুসন্ধান কালে দেখা যায়, প্রফেসর রতন কুমার সাহা, আব্দুল হান্নান ও কাজী জাহাঙ্গীর আলম কলেজের ৪৪টি খাতের অন্যতম বিভিন্ন পরীক্ষা, উন্নয়ন, ল্যাবরেটরি, মিলাদ, পূজা, ব্যবহারিক, ম্যাগাজিন, শিক্ষা সফর, অত্যাবশ্যকীয় কর্মচারী তহবিল ও বিভিন্ন খাত থেকে ভুয়া চাহিদা পত্র বিল ভাউচার ও অনিয়ম করে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
আরো উল্লেখ করা হয়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে মোড় ৪৪টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ভিন্ন বিষয় বা খাত ভিত্তিক আর্থিক আয় ব্যয় নির্বাহ করা হয়ে থাকে। তার মধ্যে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর তিনটি হিসাব কুমিল্লা কর্পোরেট শাখা ও একটি হিসাব কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড শাখায় এবং অবশিষ্ট ৪০টি হিসাব পূবালী ব্যাংক লিমিটেড ভিক্টোরিয়া কলেজ শাখার মাধ্যমে পরিচালিত। অনুসন্ধানে প্রাপ্তর রেকর্ড অনুযায়ী, প্রফেসর রতন কুমার সাহা ২০১৮ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পদে যোগদান কালে ৪৪টি ব্যাংক হিসাবে স্থিতি ছিল সাত কোটি ১৫ লক্ষ ২৯ হাজার ৭২৮ টাকা এবং পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ১১ই জুন পরবর্তী অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ রুহুল আমিন ভুঁইয়ার নিকট দায়িত্ব অর্পণ কালে ওই স্থিতির পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৫৩ লক্ষ ৫৮ হাজার ৫৪৬ টাকা। এই তথ্য পেয়ে কলেজের অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় অধ্যক্ষ প্রফেসর রুহুল আমিন ভূঁইয়া দায়িত্ব গ্রহণের পর পরই ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যাপক সহযোগী অধ্যাপক সহকারী অধ্যাপক পর্যায়ের পাঁচ জন শিক্ষক সমন্বয়ে একটি অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিটি গঠন করেন। কমিটি তাদের প্রতিবাদনে ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের বিভিন্ন তহবিল, ২২টি খাতের আয় ব্যয় পর্যালোচনা শেষে এগুলোতে বিল ভাউচার নেই, এমনকি ব্যয়ের অস্তিত্ব নেই, সংশ্লিষ্ট বিভাগের বা কমিটির রিকুইজিশন নেই, মালামাল গ্রহণ বা বিতরণের প্রমাণ নেই কিংবা বিধিমতাবেক ক্রয় অর্থ ব্যয় হয়নি বলে উল্লেখ করেন। তারা প্রফেসর রতন কুমার সাহা কর্মকালীন বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম ও আত্মসাৎ এর তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করেন।
এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটির করা করা অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যয় ভাউচার সমূহ এবং খরচের চাহিদা পত্র যাচাইসহ সেগুলোতে স্বাক্ষরকারী এবং চাহিদা প্রদানকারী কর্মচারী ও শিক্ষকগণের লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করে প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয় – ভাউচারে রিকোজেশনের স্বাক্ষর তাদের নয়। প্রকৃতপক্ষে না হলেও বা ব্যয়ের ভিত্তি না থাকা সত্ত্বেও ভাউচারগুলো পাস করে ব্যয় দেখানোর মাধ্যমে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রতন কুমার সাহা, হিসাব রক্ষক আব্দুল হান্নান এবং ক্যাশিয়ার কাজী জাহাঙ্গীর আলমের পরস্পর যোগ সাজশে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা ২কোটি ৪০ লাখ ৯২ হাজার ৯৬০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে প্রতীমান হয়।
দুদকের উপ-পরিচালক ফজলুল হক জানান, মামলাটি তদন্ত করতে এখন একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। তিনি মামলার তদন্তে প্রয়োজনীয় যেসব পদক্ষেপ নেয়ার সেগুলো পর্যায়ক্রমে করে যাবেন। আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যা যা করণীয় তার কোন ব্যতয় ঘটবে না।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম