তারিখ লোড হচ্ছে...

আপিলের অনুমতি পেলেন জামায়াত নেতা আজহারুল

স্টাফ রিপোর্টার: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

আগামী ২২ এপ্রিল এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এদিন বেলা ১০টা ৪৫ মিনিটে আপিল বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়।

আজহারের পক্ষে শুনানি করেছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী।

তাকে সহযোগিতা করেছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।

এর আগে গতকাল মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের প্রথম দিনের শুনানি শেষ হয়।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানির জন্য্য মঙ্গলবার ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ শুনানির জন্য এদিন ধার্য করেন।

আদালতে বিষয়টি শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

এসময় চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, জামায়াত নেতা আজহারের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল আপিল বিভাগে বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি এটিএম আজহারের রিভিউ আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ছিল। কিন্তু ওইদিন শুনানি হয়নি। রিভিউ আবেদনটি শুনানি হওয়া প্রয়োজন। আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।

গত ২৩ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি পিছিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চে এক বিচারপতি না থাকায় আদালত শুনানির দিন পিছিয়ে দেন।

২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

তখনকার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে ১২৫৬ ব্যক্তিকে গণহত্যা-হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং শতশত বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো নয় ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয় এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের মধ্যে ১ নম্বর বাদে বাকি পাঁচটি অভিযোগে তাকে ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দেন। যদিও এটি প্রহসনের রায় বলে আখ্যায়িত করে আসছে জামায়াতে ইসলামী।

২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ১১৩ যুক্তিতে জামায়াত নেতা আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ২৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল দাখিল করা হয়।

বাফুফের সহসভাপতি ফাহাদ করিমসহ স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

বাফুফের সহসভাপতি ফাহাদ করিমসহ স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ডেস্ক রিপোর্ট:

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) থেকে নেওয়া ৫৬ কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ না করায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি এবং কে স্পোর্টসের মালিক ফাহাদ করিম ও তার স্ত্রী নোরা লাহলালির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ঢাকার ৫ নম্বর অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এই আদেশ দেন। আদেশের কপি ইমিগ্রেশন পুলিশের বিশেষ শাখায় পাঠানো হয়েছে, যাতে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে।

বিজ্ঞাপনজানা গেছে, ২০১৮ সালে কোনো জামানত ছাড়াই ব্যক্তিগত গ্যারান্টি ও ট্রাস্ট রিসিটের ভিত্তিতে ফাহাদ করিমের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ‘কে স্পোর্টস অ্যান্ড করিম অ্যাসোসিয়েটস’ এই ঋণ নেয়। ঋণ পরিশোধের জন্য তাকে দুইবার পুনঃতপশিল এবং সুদ মওকুফ সুবিধাও দেওয়া হয়। তারপরও তিনি নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করেননি এবং একাধিকবার সময় বাড়িয়েছেন।

ইউসিবি জানায়, দেশে-বিদেশে বিলাসবহুল জীবন যাপন করলেও ফাহাদ করিম ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করছেন। ঋণ আদায়ে গত জানুয়ারিতে ব্যাংকটি অর্থঋণ আদালতে মামলা করে।

এরপর শুনানিতে বাদীপক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত ফাহাদ করিম ও তার স্ত্রী। যিনি একজন বিদেশি নাগরিক- নোরা লাহলালির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম