তারিখ লোড হচ্ছে...

তুলসি পাতার যত গুণ!

স্টাফ রিপোর্টার: তুলসি গাছের গুণাগুণ বলে শেষ করা যাবে না। এর পাতা থেকে শুরু করে বীজ সবই বিভিন্ন রোগের জাদুকরী সমাধান দিতে পারে। তাই নিয়মিত খেতে পারেন তুলসি পাতার রস। আসুন এক নজরে জেনে নিই, তুলসি পাতার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-

তুলসি পাতার উপকারিতা

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য
বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘তুলসিতে ফ্ল্যাভোনয়েড, পলিফেনল এবং অপরিহার্য তেলের মতো যৌগ রয়েছে যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি র‌্যাডিকেলগুলোকে নিরপেক্ষ করতে সহায়তা করে, যার ফলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস পায় এবং কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
তুলসির ইমিউনোমোডুলেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলে জানা যায়। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। আপনি যদি নিয়মিত তুলসি পানি পান করেন, তাহলে আপনার ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয়ে উঠবে।

হজমশক্তির উন্নতি
বিশেষজ্ঞরা বলেন, তুলসির কার্মিনেটিভ বৈশিষ্ট্য হজমে সাহায্য করে এবং পেটের গ্যাস ও ফোলাভাব কমাতে পারে। তুলসির পানি পাচনতন্ত্র প্রশমিত এবং হজমে সহয়তা করে। এ ছাড়া তুলসি পানি শরীরের বিষাক্ত পদার্থ ও জীবাণু বের করে দিতে সাহায্য করে।

তুলসীর ইমিউনোমোডুলেটরি বৈশিষ্ট্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত

স্ট্রেস কমায়
বিশেষজ্ঞদের মতে, তুলসিকে একটি অভিযোজনীয় ভেষজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তুলসি পানি খাওয়ার পর শরীর চাপের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এবং শান্ত এবং শিথিলতার অনুভূতি পায়। তুলসি পানি পানে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্য
তুলসি কাশি, সর্দি এবং হাঁপানির মতো শ্বাসকষ্ট দূর করতে কার্যকরী। এ ছাড়া তুলসি পানি পান করা শ্বাসযন্ত্রের উপর প্রশান্তিদায়ক প্রভাব ফেলতে পারে এবং শ্বাসযন্ত্রের অস্বস্তি থেকে মুক্তি দেয়। তুলসিতে শক্তিশালী কফের ওষুধ এবং অ্যান্টিটিউসিভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা কফের উপসর্গ, জ্বালাপোড়া এবং সর্দি-কাশির লক্ষণগুলোকে মূল থেকে দূর করতে সাহায্য করে।

প্রদাহ কমায়
তুলসিতে উপস্থিত উপাদানগুলোর প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা প্রদাহ এবং সম্পর্কিত উপসর্গগুলো কমাতে সাহায্য করতে পারে।

মুখের স্বাস্থ্য
তুলসিতে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মুখের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং সামগ্রিক মুখের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সহায়তা করে। তুলসির পানি দিয়ে গার্গল করার অভ্যাস মাড়িকে স্বাস্থ্যকর করে এবং নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ কমাতে পারে।

ডিটক্সিফিকেশন
তুলসির অগণিত ডিটক্সিফাইং বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলো দূর করে এবং সামগ্রিক ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।

সূত্র: হেলথ শটস

সাজেকের গোলাগুলিতে ৫ শতাধিক পর্যটক আটকা

স্টাফ রিপোর্টার: 

পার্বত্য শান্তি চুক্তির অনুষ্ঠানে আসা না আসা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দুটি দলের মধ্যে দফায় দফায় বন্দুকযুদ্ধ চলছে। ফলে সাজেকে পাঁচ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন।

মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জোবায়দা আক্তার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বুধবার একদিনের জন্য সাজেক ভ্রমণে নিরুসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন।

আঞ্চলিক এই দলের গোলাগুলির ১ জন নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকা নিয়ন্ত্রণে বিগত কয়েকদিন ধরে সাজেক ও মাচালং এলাকায় সন্তু লারমা জেএসএস ও প্রসীত দলের ইপিডিএফ দুই অঞ্চলিক দল দফায় দফায় গোলা বর্ষণ করেছে। তবে আঞ্চলিক দুই দলের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় এক জনের প্রাণহাণির খবর পাওয়া গেলেও দুর্গম এলাকা হওয়ায় প্রশাসনের কেউ তা নিশ্চিত করতে পারেনি।

সাজেকে আটকা পড়া চালকরা বলেন, সকালে খাগড়াছড়ি থেকে ২৭টি গাড়ি সাজেক গিয়েছে। এই গাড়িগুলোতে করে আসা প্রায় ৪ শতাধিক পর্যটক সাজেকে অবস্থান করছে।

দুই আঞ্চলিক দলের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে এই গোলাগুলির ঘটনা আরও বেড়ে যায়। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বিকালে কোনো পর্যটক গাড়ি সাজেক থেকে খাগড়াছড়ি আসেনি।

সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিজয় ত্রিপুরা জানান, সাজেক ও মাচালং সড়কের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শীপপাড়া নামক এলাকায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। যা পর্যটন কেন্দ্র থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। এই গোলাগুলির ঘটনার কারণে কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি। রাতে প্রায় পাঁচ শতাধিক পর্যটক সাজেক অবস্থান করছেন।

রাঙ্গামটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, দুই আঞ্চলিক দলের গোলাগুলির ঘটনায় পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে  একদিন সাজেকে পর্যটক ভ্রমণে নিরুসাহিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যারা আছেন তাদের পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

সবা:স:জু-১৮৬/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম