তারিখ লোড হচ্ছে...

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে জুলাই আন্দোলনের আহতদের অবস্থান

স্টাফ রিপোর্টার: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন জুলাই আন্দোলনের আহতরা। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পর্যাপ্ত সহায়তার দাবিতে তারা মিছিল নিয়ে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে এসে সড়কে বসে পড়েন।

বুধবার দুপুরে আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দিতে দেখা যায়। তারা দ্রুত ক্ষতিপূরণ ও সহায়তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।

অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি এড়াতে এবং নিরাপত্তা বজায় রাখতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ, এপিবিএন ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তবে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

অবস্থানরতরা বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহত ও নিহত হয়েছেন এমন ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্যরা এখানে এসেছেন। সবার দাবি, আহতদের ক্যাটাগরি বিন্যাসে যে বৈষম্য করা হয়েছে সেটি সংশোধন করতে হবে। একইসঙ্গে শহীদ পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে হবে।

যতক্ষণ পর্যন্ত এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত এ অবস্থান কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানান তারা।

এর আগে, বিভিন্ন সময় স্বীকৃতি ও পুনর্বাসনের দাবিতে রাজধানীর শ্যামলী, শাহবাগ, উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অবরোধ করেছিলেন জুলাই আন্দোলনের এই আহতরা।

জনগণের মতামত ছাড়াই হয়েছে রামপাল পাওয়ার প্ল্যান্ট: পরিবেশ উপদেষ্টা

জনগণের মতামত ছাড়াই হয়েছে রামপাল পাওয়ার প্ল্যান্ট: পরিবেশ উপদেষ্টা

ডেস্ক রিপোর্ট:

বিগত সরকারেরে আমলে তৈরি হওয়া রামপাল পাওয়ার প্লান্ট জনগণের মতামত ছাড়াই হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রোববার (৫ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেক ক্যাসলে রিজনাল ইনফ্র্যাসট্রাকচার মনিটরিং অ্যালাইয়েন্স কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, রামপাল পাওয়ার প্লান্ট আলোচনা ছাড়া, জনগণের মতামত ছাড়াই হয়েছে। এমনকি সরকার বন মন্ত্রণালয়কে চাপ দিয়ে বনভূমি ছাড়তেও বাধ্য করেছে। এটাই কি গণতন্ত্র? আমরা কি ‘না’ বলার অধিকার হারিয়ে ফেলেছি?

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, শেষ এক দশকে ঋণ, মুদ্রাস্ফীতি আর ভুল বিনিয়োগ জনগণের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল যা কখনও শোধরানো হয়নি। জনগণের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বিদেশি বিনিয়োগ আসায় দেশের নিরাপত্তা, পরিবেশ, বন সব কিছুই অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।

পরিবেশ, জনগণের অধিকার এবং জবাবদিহিতার সমান গুরুত্ব পেতে দেশে একটি শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রয়োজন উল্লেখ করে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আমাদের প্রয়োজন একটি শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো। যেখানে পরিবেশ, জনগণের অধিকার এবং জবাবদিহিতা সমান গুরুত্ব পাবে। আমরা উন্নয়ন চাই, কিন্তু শর্তহীন না।

তিনি বলেন, আমরা বিদ্যুৎ চাই, কিন্তু পরিবেশ ধ্বংস করে না। আমরা বিনিয়োগ চাই, কিন্তু আমাদের কথার দাম দিয়ে। আজ বাংলাদেশ এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা চাই একটি রূপান্তরমূলক এজেন্ডা, যেখানে জনগণ থাকবে কেন্দ্রে। নয়তো এই উন্নয়ন হবে একতরফা, নিঃস্বার্থ নয়।

তিনি আরও বলেন, আমার চোখে বিনিয়োগ মানে শুধু টাকা নয় এটা মানে ক্ষমতার কাছে যাওয়া, অথবা ক্ষমতা কার হাতে থাকবে তা নির্ধারণ করা। যারা ক্ষমতার বাইরে, তাদের কাছে এই উন্নয়ন মানে ভয়, অনিশ্চয়তা।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম