তারিখ লোড হচ্ছে...

রমজানজুড়ে ৩ আমলে মিলবে ক্ষমা

স্টাফ রিপোর্টার: আসছে পবিত্র রমজান মাস। আর এ মাস মহান আল্লাহর রহমত পাবার মাস। তার কাছ থেকে ক্ষমা পাবার মাস। এ মাসের প্রতিটি ভাল কাজই নেক আমলে পরিণত হয়। কারণ কুরআন নাজিলের মাস বান্দাহকে গোনাহমুক্ত রাখতে মহান আল্লাহ তাআলা শয়তানকে বন্দি করে রাখেন। এ পবিত্র মাসে গোনাহ মাফের বিশেষ ৩টি আমল রয়েছে।

হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিগত জীবনের গোনাহ মাফের বিশেষ ৩টি আমলের কথা ঘোষণা করেছেন। তাহলো-

১. যথাযথভাবে রোজা রাখা

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সাওয়াবের নিয়তে রমজান মাসে সিয়াম বা রোজা পালন করবে আল্লাহ তাআলা তার অতীতের সব গোনাহ মাফ করে দেবেন।’ (বুখারি)

২. তারাবিহ নামাজ পড়া

হজরত আব্দুর রহমান ইবনে আওফ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মহান আল্লাহ তোমাদের উপর রমজানের রোজা ফরজ করেছেন; আর আমি তোমাদের উপর কিয়ামুল লাইল তথা তারাবিহ নামাজকে সুন্নাত করেছি।’ (মুসনাদে আহমাদ, নাসাঈ)

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সাওয়াবের নিয়তে রমজান মাসে ক্বিয়ামুল লাইল (তারাবিহ-তাহাজ্জুদ) আদায় করবে আল্লাহ তাআলা তার বিগত জীবনের সব গোনাহ মাফ করে দেবেন।’ (বুখারি)

৩. লাইলাতুল কদরের ইবাদত

হাজার মাসের শ্রেষ্ঠ রজনী ‘লাইলাতুল কদর’। এ রাতের ইবাদত ও আমল বান্দার গোনাহ মুক্তির জন্য অনন্য। এ রাতেই মহান আল্লাহ নাজিল করেছেন কুরআনুল কারিম। হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেছেন-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন ‘যে ব্যক্তি বিশ্বাসের সঙ্গে সাওয়াব বা প্রতিদান পাওয়ার নিয়তে রমজান মাসে লাইলাতুল কদরে (রাত জেগে) ইবাদত করবে, তার বিগত জীবনের সব গোনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)

লাইলাতুল কদরে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বিশেষ দোয়া করতে বলেছেন স্বয়ং বিশ্বনবি-
اَللَّهُمَّ اِنَّكَ عَفُوٌّتُحِبُّ الْعَفْو فَاعْفُ عَنِّىْ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন, তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফুআন্নি।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; সুতরাং আমাকে আপনি ক্ষমা করে দিন।’

শুধু রমজান মাসের রোজা পালন, তারাবিহ নামাজ আদায় এবং লাইলাতুল কদরের ইবাদতেই গোনাহ থেকে মুক্তি মিলবে না বরং দুইটি শর্তে লাগবে। তাহলো-
– ঈমান থাকতে হবে।
– সাওয়াবের পরিশুদ্ধ নিয়তও থাকতে হবে।

যদি এ দুইটি শর্ত ঠিক থাকে তবে উল্লেখিত ৩টি আমলে বিগত জীবনের গোনাহ থেকে মুক্তি পাবে রোজাদার মুমিন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রোজা রেখে হাদিসে উল্লেখিত বিশেষ এ তিনটি আমল যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

নারীঘটিত কারন দেখিয়ে জবির ইমামকে অব্যাহতি, শিক্ষার্থীরা বলছে সাজানো নাটক

উম্মে রাহনুমা , জবি প্রতিনিধি:

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে গত ৬ মে মধ্যরাতে মেয়েদের নামাজ পড়ার কক্ষে ঘুমন্ত অবস্থায় এক নারী শিক্ষার্থীকে পাওয়ার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে মসজিদের ইমাম ছালাহ্ উদ্দীনকে তার দায়িত্ব পালন (নামাজ পড়ানো) থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (২৭ মে) এই অব্যাহতির আদেশ দেওয়া হয়। পরে এ ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন।
প্রক্টর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘গত ৬ মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে কেন্দ্রীয় মসজিদে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়ার খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে একজন সহকারী প্রক্টরকে ঘটনাস্থলে পাঠাই। সহকারী প্রক্টর ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই ইমাম মেয়েটিকে দ্রুত হলে পাঠিয়ে দেয়। মেয়েটি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাতো ঘটতে পারতো। এখানে ইমামের দায়িত্বে অবহেলা ছিল, তাই তাঁকে নামাজ পড়ানো থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে অন্য কোনো ইস্যু নেই। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তদন্তে মূল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
শিক্ষার্থীর সাথে ইমামের কিছু হয়েছিল কি না তার পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পেয়েছেন কি না এ প্রশ্ন করা হলে প্রক্টর বলেন, এরকম মিনিংফুল কিছুই না, শুধু তার দায়িত্বে অবহেলার জন্য তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মেয়েটি জেনুইনলি নামাজ পড়ার জন্যই গিয়েছিল, হয়তো মেয়েটি অসুস্থ অনুভব করায় সেখানে ঘুমিয়ে পড়েছিল এত রাত পর্যন্ত একজন মেয়ে শিক্ষার্থী মসজিদে ঘুমাবে বিষয়টি তার খেয়াল রাখা উচিত ছিল।
তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত হলো নাটক সাজিয়ে ইমামকে ফাঁসানো হয়েছে তিনি অনেক পরহেজগার মানুষ। ফাইরুজ সাদাফ অবন্তীর আত্মহত্যার পর গত ১৭ মার্চ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে মসজিদের ভিতর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড.সাদেকা হালিম মসজিদে প্রবেশ করেছিলেন ও সবার সামনে বক্তব্যও দিয়েছিলেন, বিষয়টি দেশব্যাপী সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। নারী পুরুষ এক সাথে মসজিদে প্রবেশের ব্যাপারে ইমাম ওইসময় বলেছিলেন “আমি সকাল থেকেই উপাচার্য জন্য মহিলাদের নামাজের স্থানে নিজে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে বসার জায়গা করেছিলাম, কিন্তু প্রক্টর এসে বলেছেন ছোট জায়গায় উপাচার্য কেন বসবে? উপাচার্য মূল মসজিদেই বসবেন, আমি বাধ্য হয়েই সেটা মেনে নিয়েছি। মসজিদের ভিতর নারী পুরুষের একসাথে অবস্থান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।”
বর্তমান নারীঘটিত দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগের ঘটনার বিষয়ে জানতে মসজিদের ইমাম ছালাহ্ উদ্দীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না বলে প্রতিবেদককে অনুরোধ করেন তিনি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম