তারিখ লোড হচ্ছে...

অবসরের ঘোষণা সাকিবের

স্পোর্টস ডেস্ক:

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানাননি। শুধুমাত্র টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন, তবে টেস্ট ও ওয়ানডে থেকে অবসর নেননি। কিন্তু এবার সাবেক ক্রিকেটারদের টুর্নামেন্টে নাম লিখিয়েছেন সাকিব আল হাসান।

ভারতে আগামী ১০ মার্চ শুরু হচ্ছে এশিয়ান লিজেন্ডস লিগ। এই টুর্নামেন্টে এশিয়ান স্টারসের হয়ে খেলবেন সাকিব।

ভারতের রাজস্থানে হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টে বাংলা টাইগার্স নামেও দল আছে। যে দলে খেলবেন জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো তামিম ইকবাল, নেতৃত্বে থাকবেন কয়েক বছর আগেই খেলা ছেড়ে দেওয়া মোহাম্মদ আশরাফুল।

এই লিগের অফিসিয়াল মিডিয়া পার্টনার স্পোর্টসকিডা জানিয়েছে, শুরুতে সাকিব বাংলাদেশের দলটির প্রতিনিধিত্ব করতে চেয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত সেটা কেন হচ্ছে না এ বিষয়ে প্রতিবেদনে কিছু বলা হয়নি। ৩৭ বছর বয়সী সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার এই মুহূর্তে অনিশ্চিত।

এর আগে গত বছর আওয়ামী লীগের প্রতীকে সংসদ সদস্য হওয়া সাকিব আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আর দেশে ফিরতে পারেননি। সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ দলের ভারত সফরের সময় জানিয়েছিলেন, টি-টোয়েন্টি আর খেলবেন না। অক্টোবরে মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেট ছাড়ারও ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে ম্যাচটি খেলতে দেশেই আসতে পারেননি তখন। পারেননি বিপিএলের জন্যও। এমনকি এ মাসে শুরু হতে যাওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগেও একটি দলে নাম নিবন্ধন করিয়েছিলেন, যদিও এক দিন পরই তা প্রত্যাহার করেন।

তবে লিজেন্ডস লিগে নাম লেখালেন সাকিব। এশিয়ান স্টারসের এক্স পোস্টে গতকাল রাতে সাকিবের খেলার খবর নিশ্চিত করা হয়। টুর্নামেন্টে সাকিবের দলের প্রথম ম্যাচ ১০ মার্চ, প্রতিপক্ষ মোহাম্মদ শাহজাদ, আজগর আফগানদের আফগান পাঠানস। সাকিব ও তামিম মুখোমুখি হবেন ১২ মার্চ। বাংলা টাইগার্স স্কোয়াডে তামিম ছাড়াও আছেন তুষার ইমরান, নাদিফ চৌধুরীরা।

পাঁচ দলের টুর্নামেন্টে অন্য দুটি দল শ্রীলংকান লায়নস (তিলকারত্নে দিলশান, উপুল থারাঙ্গা) ও ইন্ডিয়ান রয়্যালস (শিখর ধাওয়ান, ইউসুফ পাঠান, আম্বাতি রাইডু)।

টুর্নামেন্টে দুটি এলিমিনেটর ও কোয়ালিফায়ার ম্যাচ শেষে ১৮ মার্চ হবে ফাইনাল। টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ হবে রাজস্থানের মিরাজ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে।

অবশেষে ৪ বছর পর বকেয়া বুঝে পেলেন মেসি

ডেস্ক রিপোর্ট:

বার্সেলোনা লিওনেল মেসির আপন ঠিকানা। এই ক্লাবেই তার বেড়ে ওঠা ও তারকা হয়ে ওঠা। সেই ক্লাবকে যখন ২০২১ সালে বিদায় জানান। তখন অঝোরে কেঁদেছিলেন তিনি। বার্সা ছাড়তে চাননি। শেষ পর্যন্ত অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ক্লাব তাকে ছেড়ে দিয়েছিল। আর মেসিও ক্লাবের পরিস্থিতি বুঝতে পেরে পাওনা টাকা না নিয়েই বিদায় নিয়েছিলেন। অবশেষে ৪ বছর পর মেসিকে সেই বকেয়া বুঝিয়ে দিয়েছে বার্সা।

কাতালান ক্লাবটির কাছে মেসির পারিশ্রমিক বকেয়া ছিল প্রায় ৬ মিলিয়ন ইউরো (৮৫ কোটি টাকার বেশি)। যা এবার তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘স্পোর্ত’ জানিয়েছে, ২০২০ সালে মেসির শেষ চুক্তি অনুযায়ী কয়েক ইন্সটলমেন্টে ৪৮ মিলিয়ন ইউরো পাওয়ার কথা ছিল কাতালান ক্লাবটি থেকে। তবে ওই সময়ে আর্থিক সংকটে ভোগা বার্সার শেষ ইনস্টলমেন্টটি বাকি রয়ে যায়। এক্ষেত্রে অবশ্য মেসি একা নন, স্প্যানিশ জায়ান্টদের কাছে পারিশ্রমিকের বকেয়া জমা পড়ে আরও কয়েকজন খেলোয়াড় ও কোচের। ২০২০ সালে করোনো মহামারির সময়কালে আর্থিক দুর্দশা শুরু হয় বার্সার। ফলে চুক্তি অনুযায়ী অর্থ পেতে বিলম্ব হয় স্যামুয়েল উমতিতি, সার্জিও বুসকেটস, ফিলিপে কৌতিনিয়ো, উসমান দেম্বেলে ও সাবেক ম্যানেজার রোনাল্ড ক্যোমানের।

এদিকে, সম্প্রতি বর্তমান ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে রেকর্ড পারিশ্রমিক ইস্যুতে আলোচনায় আসেন মেসি। বার্তা সংস্থা এপি’র তথ্যমতে, মায়ামিতে মেসির বার্ষিক আয় দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৫৫৭ ডলারে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। যা এমএলএসের ২১টি দলে থাকা খেলোয়াড়দের মোট বেতনের চেয়েও বেশি। মেসির মতো উচ্চ বেতনধারী তারকা যে দলে থাকেন, স্বভাবতই তারা লিগেও খরচের দিক থেকে শীর্ষ সারিতেই থাকবে। ২৩ মে পর্যন্ত হিসাব মতে, এমএলএসে মেসির মায়ামি লিগের রেকর্ড সর্বোচ্চ ৪৬.৮ মিলিয়ন ডলার খরচ করে বছরে।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম