তারিখ লোড হচ্ছে...

সেহরিতে এড়িয়ে চলবেন যেসব খাবার

স্টাফ রিপোর্টার:

সেহরিতে কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত, যা রোজার সময় অস্বস্তি, পানিশূন্যতা বা শারীরিক দুর্বলতা সৃষ্টি করতে পারে। জেনে নিন কোন ধরনের খাবার সেহরিতে এড়িয়ে চলা জরুরি।

অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার
অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার যেমন চিপস, প্যাকেটজাত স্ন্যাকস, আচার বা প্রক্রিয়াজাত মাংস সেহরিতে এড়িয়ে চলা উচিত। অতিরিক্ত লবণ শরীরে পানির চাহিদা বাড়িয়ে তোলে, যা রোজার সময় পানিশূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে। লবণ শরীর থেকে পানি শোষণ করে এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে পানি বের করে দেয়, ফলে সারাদিন তৃষ্ণা অনুভূত হয়। তাই সেহরিতে কম লবণযুক্ত ও স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নিন।

মিষ্টি ও চিনিযুক্ত খাবার
মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন মিষ্টি, কেক, পেস্ট্রি বা চিনিযুক্ত পানীয় সেহরিতে এড়ানো উচিত। চিনি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়, কিন্তু কিছুক্ষণ পরই তা দ্রুত কমিয়ে ফেলে। এর ফলে রোজার সময় দুর্বলতা, মাথাব্যথা বা ক্লান্তি অনুভূত হতে পারে। সেহরিতে প্রাকৃতিক মিষ্টি যেমন ফল বা মধু বেছে নেয়া ভালো, যা ধীরে ধীরে শক্তি সরবরাহ করে।

তেলে ভাজা ও ভারী খাবার
তেলে ভাজা খাবার যেমন পেঁয়াজু, বেগুনি, পরোটা বা সমুচা সেহরিতে খাবেন না। এই ধরনের খাবার হজম হতে বেশি সময় নেয় এবং পেটে অস্বস্তি সৃষ্টি করে। এছাড়া, তেলে ভাজা খাবার পাকস্থলীতে অ্যাসিডিটির সমস্যা তৈরি করতে পারে, যা রোজার সময় অস্বস্তি বাড়ায়। সেহরিতে হালকা ও সহজে হজম হয় এমন খাবার যেমন ওটস, ডাল, সবজি বা সেদ্ধ ডিম খাওয়া ভালো।

ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়
চা, কফি বা এনার্জি ড্রিংকসে থাকা ক্যাফেইন শরীর থেকে পানি বের করে দেয় এবং পানিশূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে। সেহরিতে ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় পান করলে সারাদিন তৃষ্ণা বেশি লাগে। এছাড়া, ক্যাফেইন ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, যা রোজার সময় ক্লান্তি বাড়ায়। সেহরিতে পানি, দুধ বা ফলের রস পান করা ভালো।

প্রক্রিয়াজাত ও ফাস্ট ফুড
প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন বার্গার, পিৎজা, হট ডগ বা নুডলস সেহরিতে না খাওয়া ভালো। এই ধরনের খাবারে প্রচুর পরিমাণে লবণ, চিনি ও অস্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে, যা হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে এবং শরীরে শক্তি কমিয়ে দেয়। এছাড়া, ফাস্ট ফুড খেলে রোজার সময় পেটে গ্যাস বা বদহজমের সমস্যা হতে পারে।

অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার
মসলাযুক্ত খাবার যেমন ঝাল মাংস, বিরিয়ানি ইত্যাদি সেহরিতে এড়ানো উচিত। অতিরিক্ত মসলা পাকস্থলীতে জ্বালাপোড়া বা অ্যাসিডিটির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া, মসলাযুক্ত খাবার তৃষ্ণা বাড়িয়ে দেয়। সেহরিতে হালকা মসলাযুক্ত ও সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়া ভালো।

দুগ্ধজাত পণ্য
কিছু মানুষের জন্য দুধ বা দুগ্ধজাত পণ্য যেমন পনির, দই বা মাখন হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে। এ ধরনের খাবার পেটে গ্যাস বা বদহজমের কারণ হতে পারে। যাদের ল্যাক্টোজ ইনটলারেন্স আছে, তাদের সেহরিতে দুগ্ধজাত পণ্য এড়িয়ে চলা উচিত। পরিবর্তে নারকেল দুধ বা সয়া দুধ বেছে নেয়া যেতে পারে।

অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার
সাদা ভাত, পাস্তা বা সাদা রুটি জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়। তবে এই শর্করা দ্রুত ভেঙে যায় এবং শক্তি কমিয়ে ফেলে। এর ফলে রোজার সময় দুর্বলতা বা ক্লান্তি অনুভূত হতে পারে। সেহরিতে জটিল কার্বোহাইড্রেট যেমন ওটস, বাদামি চাল বা গমের রুটি খাওয়া ভালো, যা ধীরে ধীরে শক্তি সরবরাহ করে।

অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার
ঘি, মাখন বা তেল-চর্বিযুক্ত খাবার সেহরিতে এড়ানো উচিত। অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সেহরিতে স্বাস্থ্যকর চর্বি বেছে নেয়া ভালো।

কৃত্রিম মিষ্টি ও প্রিজারভেটিভযুক্ত খাবার
কৃত্রিম মিষ্টি বা প্রিজারভেটিভযুক্ত খাবার যেমন কোল্ড ড্রিংকস, জেলি বা প্যাকেটজাত জুস সেহরিতে এড়ানো উচিত। এই ধরনের খাবারে থাকা কেমিক্যাল শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া, কৃত্রিম মিষ্টি রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়মিত করে দিতে পারে।

সেহরি খাওয়ার সময় সচেতনভাবে খাবার নির্বাচন করা জরুরি। অতিরিক্ত লবণ, চিনি, তেল বা মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চললে রোজার সময় শারীরিক অস্বস্তি কম হবে এবং সারাদিন শক্তি ও সতেজতা বজায় থাকবে। সেহরিতে পুষ্টিকর, হালকা ও সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়া উচিত, যা শরীরকে সুস্থ ও সক্রিয় রাখবে।

গ্রেট ব্রিটিশ কারী ফেস্টিভেল বিশ্ব বিখ্যাত কারী কিং টমি মিয়া এম.বি.ই এর রান্না প্রদর্শনী

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
গ্রেট ব্রিটিশ কারী ফেস্টিভেল বিশ্ব বিখ্যাত কারী কিং টমি মিয়া এম.বি.ই এর রান্না প্রদর্শনী যার মাধ্যম আন্তর্জাতিক রন্ধন শিল্প বাণিজ্যকে উৎসাহিত করা এবং গ্রেট ব্রিটেন বহু সংস্কৃতিবাদের প্রচার ও প্রসার, পর্যটন ও আতিথিয়তা বৃদ্ধি, স্থানীয় ব্যবসাগুলোকে সমর্থন, দার্তব্য কাজে অবদান রাখা এবং এর প্রভাবকে আরো সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ^বিখ্যাত রন্ধন শিল্পী টমি মিয়া এম.বি.ই’র সভাপতিত্বে হোটেল এ্যারিস্টোক্র্যাট ইন লিমিটেড, গুলশান, ঢাকায় টমি মিয়া’স হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউট এর উদ্যোগে গ্রেট ব্রিটিশ কারী ফেস্টিভেল বিশ^ বিখ্যাত কারী কিং টমি মিয়া এম.বি.ই এর রান্না প্রদর্শনী যার মাধ্যম আন্তর্জাতিক রন্ধন শিল্প বাণিজ্যকে উৎসাহিত করা হয় এবং গ্রেট ব্রিটেন বহু সংস্কৃতিবাদের প্রচার ও প্রসার, পর্যটন ও আতিথিয়তা বৃদ্ধি, স্থানীয় ব্যবসাগুলোকে সমর্থন, দার্তব্য কাজে অবদান রাখা এবং এর প্রভাবকে আরো সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিরেক্টর ট্রেড ব্রিটিশ হাই কমিশন, শাহ ওয়ালীউল মনজুর, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার, এসিবিএ, ইউকে, প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হুমায়ুন কবির, ভাইস চেন্সেলার, প্রাইম ইউনিভার্সিটি, ঢাকা, ব্যারিস্টার তানিয়া হামিদ, ইয়াসির আরাফাত, কো ফাউন্ডার আপন বাজার, ড. ওয়ালী তাসার উদ্দীন এমবিএ, প্রেসিডেন্ট অব ইবিএফসিআই, প্রফেসর আজাদ, বার্ডেম হাসপাতাল, মোঃ তাজুল ইসলাম, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, টমি মিয়া’স হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট, কন্ঠশিল্পী মেহরীন, নায়ক সাজ্জাদ হোসেন, সুমন মিয়া ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহিন শাহ প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

বিশ্ব বিখ্যাত রন্ধনশিল্পী টমি মিয়া এম,বি,ই  দীর্ঘকাল ধরে ফুড ফেস্টিভ্যাল উদযাপনের একজন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন। ১৯৭৫ সাল  থেকে কর্মজীবনের সাথে তিনি অক্লান্তভাবে গ্রেট ব্রিটিশ কারী স্বাদ প্রচার করছেন, প্রশংসা অর্জন করেছেন যার মধ্যে রয়েছে অসংখ্য রান্নার বই। এই বই লেখার পিছনে  প্রয়াত এইচ এম রানি এলিজাবেথ এর ভূমিকা রয়েছে।

টমি  মিয়ার বিশ্বজুড়ে ফুড ফেস্টিভেল আয়োজনের একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। সূচনা থেকেই এডিনবার্গ ফ্রিঞ্জ ফেস্টিভেলে নিয়মিত  উপস্থিত রয়েছেন। তার রাজ রেস্তোরাঁ ১৯৮০ সাল থেকে ফুড ফেস্টিবলের জন্য একটি বিখ্যাত স্থান। যা বিশ্বব্যাপী রন্ধন শিল্পীদের তার উৎকর্ষের প্রতি তার উৎসর্গ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।

২০১৮ সালে বাণিজ্য ও শিল্প বিভাগ ভারত ও যুক্তরাজ্য ক্রিয়েটেক শীর্ষ সম্মেলনে গ্রেট ব্রিটেনের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে টমি মিয়ার দক্ষতাকে স্বীকৃতি প্রদান করে।

তিনি তার বিখ্যাত ফুড ফেস্টিভেলটি মুম্বাইয়ের ল্যান্ড এন্ড হোটেলে নিয়ে এসেছিলেন এবং এইচ আর এইচ প্রিন্স অ্যাওয়ার্ড সম্মানিত অতিথি ছিলেন যা বিশ্বব্যাপী রন্ধন দূত  হিসেবে  টমি মিয়ার সুনামকে আরো দৃঢ় করে। এখন ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে তিনি গর্বের সাথে তার সবচেয়ে আকর্ষণীয় উচ্চ বিলাসী প্রচেষ্টা ঘোষণা করেছেন। এটি শুধুমাত্র রান্নার প্রদর্শনী নয় বরং এটি আন্তর্জাতিক কারী বাণিজ্য কে উৎসাহিত করা, গ্রেট ব্রিটেন বহুসংস্কৃতিবাদের প্রচার ও প্রসার, পর্যটন ও আথিতেয়তা বৃদ্ধি, স্থানীয় ব্যবসাগুলিকে সমর্থন এবং অমূল্য সংযোগের সুযোগ প্রদানের একটি প্লাটফর্ম।

ফেস্টিভ্যালের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হল দাতব্য কাজে অবদান রাখা এবং এর প্রভাবকে আরো সমৃদ্ধ করা। জিভিসিএফ হলো ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত টমি মিয়া ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ান শেফ অফ দ্যা ইয়ার প্রতিযোগিতা ও আথিতেয়তা পুরস্কারের একটি বিভাগ, যা বিশ্বব্যাপী রন্ধন প্রতিভাকে স্বীকৃতি ও উদযাপনের প্রক্রিয়াকে আরও দৃঢ় করে।

একজন ব্রিটিশ বাংলাদেশি বিখ্যাত শেফ টমি মিয়া ব্রিটিশ ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের সমর্থন ও সহযোগিতার মাধ্যমে লন্ডন, পর্তুগাল, আজারবাইজান, বাকু, বাংলাদেশ এবং নেপালে বুকিং নিশ্চিত করেছেন এবং বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠান আয়োজনের আলোচনা চলছে।

জি বি সি এফের  এর জন্য টমি মিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি চিরাচরিত প্রথার বাহিরে ও প্রসারিত।  এটি ৬০ এবং ৭০ দশকের  রন্ধন শিল্পীদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরার এক উচ্চববিলাসী অভিপ্রায় যা দ্বারা পূর্ব পুরুষের সংগ্রাম ও ইতিহাস, ঐতিহ্য মানুষের সামনে তুলে ধরার এক আপ্রাণ প্রচেষ্টার একটি অংশ। এখন যুক্তরাজ্যে ১০,০০০ হাজারের বেশি রেস্টুরেন্ট রয়েছে এবং ৫ বিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি ব্যবসা হচ্ছে। তিনি পরবর্তী প্রজন্মের রন্ধন শিল্পীদের অনুপ্রাণিত করতে চান, তরুণ প্রতিভাদের কারি শিল্পে যোগ দিতে এবং অব্যাহত সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে উৎসাহিত করছেন। এমন এক সময়ে যখন রেস্টুরেন্ট গুলি পরবর্তী প্রজন্মের  প্রতিভাদের আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম