তারিখ লোড হচ্ছে...

ওএসডি করা হলো ২৯ জেলার সিভিল সার্জনকে

স্টাফ রিপোর্টার:

সারাদেশের ২৯ জেলার সিভিল সার্জনকে ওএসডি করা হয়েছে। রবিবার (২ মার্চ) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সনজীদা শরমিন এতে সই করেছেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বদলি বা পদায়নকৃত কর্মকর্তারা আগামী ৬ মার্চের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করবেন। অন্যথায় ৯ মার্চ থেকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত হবেন মর্মে গণ্য হবেন।

প্রজ্ঞাপনে যেসব সিভিল সার্জনকে ওএসডি করা হয়েছে- বরিশালের ডা. মারিয়া হাসান, কুষ্টিয়ার ডা. মো. আকুল উদ্দিন, শরীয়তপুরের ডা. আবুল হাদি মোহাম্মদ শাহ পরান, সিলেটের ডা. মনিসর চৌধুরী, নোয়াখালীর ডা. মাসুম ইফতেখার, পিরোজপুরের ডা. মো. মিজানুর রহমান, কক্সবাজারের ডা. আসিফ আহমেদ হাওলাদার, ঝালকাঠির ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম, ফেনীর ডা. মো. শিহাব উদ্দিন, পাবনার ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান, শেরপুরের ডা. মো. জসিম উদ্দিন, জামালপুরের ডা. মো. ফজলুল হক, পটুয়াখালীর ডা. এস এম কবির হাসান, মেহেরপুরের ডা. মহীউদ্দিন আহমেদ, নেত্রকোনার ডা. অনুপম ভট্টাচার্য্য, টাঙ্গাইলের ডা. মিনহাজ উদ্দিন মিয়া, ঠাকুরগাঁওয়ের ডা. নুর নেওয়াজ আহমেদ, গাইবান্ধার ডা. কানিজ সাবিহা, জয়পুরহাটের ডা. মুহা. রুহুল আমিন, গাজীপুরের ডা. মাহমুদা আখতার, কিশোরগঞ্জের ডা. সাইফুল ইসলাম, বরগুনার ডা. প্রদীপ চন্দ্র মণ্ডল, নওগাঁর ডা. মো. নজরুল ইসলাম, রংপুরের ডা. মোস্তফা জামান চৌধুরী, নীলফামারীর ডা. মো. হাসিবুর রহমান, মানিকগঞ্জের ডা. মো. মকছেদুল মোমিন, লালমনিরহাটের ডা. নির্মলেন্দু রায়, পঞ্চগড়ের ডা. মোস্তাফিজুর রহমান এবং কুড়িগ্রামের ডা. মো. মনজুর এ-মুর্শেদ।

পাকা আম খেলে ডায়াবেটিসের রোগীদের বাড়বেনা সুগার

স্টাফ রিপোর্টার:

আম পুষ্টিকর ফল। এই ফলের মধ্যে ভিটামিন সি, এ, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, পটাশিয়াম প্রায় সব ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। এছাড়া রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা ও ক্যালোরি। তাই ডায়াবেটিসের রোগীরা পাকা আম খাবেন কি না, তা নিয়ে দ্বন্দ্বে থাকেন।

ভারতের খ্যাতনামা ডায়েটেশিয়ান অনুশ্রী মিত্র বলছেন, ডায়াবেটিসের রোগীরাও পাকা আম খেতে পারেন। কিন্তু কয়েকটি নিয়ম মেনে খেতে হবে। তিনি বলেন, ‘উচ্চ পরিমাণে ফ্রুটোজ থাকলেও আমে অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী।’

ডায়াবেটিসের রোগীরা যেভাবে আম খাবেন

ডায়াবেটিসের রোগী না হলেও ইচ্ছে মতো পাকা আম খাওয়া চলবে না। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা এবং ওজন বৃদ্ধির ভয় থাকে। একটা বড় সাইজের আম গোটা না খেয়ে, তা সকাল-বিকাল ভাগ করে খান। একটা আম সারাদিন ধরে খেলে সুগার লেভেল বৃদ্ধির আশঙ্কা নেই।

গোটা আম খাবেন না। আম ছোট ছোট টুকরো করে খান। এতে মনে হবে, অনেকটা পাকা আম খেয়ে ফেলেছেন।

পাকা আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি। তাই ভারি খাবারের সঙ্গে পাকা আম খাওয়া এড়িয়ে চলুন। বিশেষত রাতে খাবার খাওয়ার পর পাকা আম খাবেন না।

ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চের মধ্যবর্তী সময়ে পাকা আম খেতে পারেন। আবার ব্রেকফাস্টে দু’টো রুটির সঙ্গে এক টুকরো আম খেতে পারেন। তবে ভরপেট খাবার খাওয়ার সঙ্গে পাকা আম না খাওয়াই ভালো।

ফল হিসেবেই পাকা আম খান। পাকা আমের জুস, পুডিং বা অন্য কোনো ডেজার্ট বানিয়ে খাবেন না। এতে আমের পরিমাণ বোঝা যায় না এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে।

পাকা আমের সঙ্গে বাদাম, স্প্রাউট বা শসার মতো খাবার রাখতে পারেন। এতে রক্তে গ্লুকোজ নিঃসরণ ধীর গতিতে হবে। এই টোটকায় পাকা আম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা চট করে বাড়বে না।

সুগার লেভেল যাচাই করে নিন-

প্রত্যেকের শরীর সমান নয় এবং শারীরিক জটিলতাও একে-অন্যের থেকে আলাদা। তাই আপনার স্বাস্থ্যের জন্য পাকা আম উপযুক্ত কি না, কিংবা দিনে কতটা পাকা আম খেলে ক্ষতির সম্ভাবনা কম, সে সম্পর্কে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন। পাশাপাশি নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা যাচাই করুন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম