তারিখ লোড হচ্ছে...

আরও ২৯ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বাদ শেখ পরিবারের নাম

স্টাফ রিপোর্টার:

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা আরও ২৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় রোববার (২ মার্চ) এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারির প্রজ্ঞাপনে ২৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছিল।

রোববারের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তন নীতিমালা, ২০২৩ অনুযায়ী ২৯টি বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হলো। বিদ্যালয়গুলো হলো—বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদারগঞ্জ, জামালপুরের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে লালডোবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদারগঞ্জ, জামালপুর, বেতাগা বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদারগঞ্জ, জামালপুর পরিবর্তন করে বেতাগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদারগঞ্জ, জামালপুর, মুজিবনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুজিবনগর, মেহেরপুরের পরিবর্তিত নাম ভবেরপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুজিবনগর, মেহেরপুর, চর কচ্ছপিয়া শেখ রাসেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লালমোহন, ভোলার পরিবর্তিত নাম দ্বীপাঞ্চল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লালমোহন, ভোলা, আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লালমোহন, ভোলার পরিবর্তিত নাম মধ্য রায়রাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লালমোহন, ভোলা, ফারজানা চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লালমোহন, ভোলার পরিবর্তিত নাম দক্ষিণ সাতানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লালমোহন, ভোলা, ফারজানা চৌধুরী রতনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লালমোহন, ভোলার পরিবর্তিত নাম রমাগঞ্জ কিশলয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লালমোহন, ভোলা, পূর্ব ফুলবাগিচা ফারজানা চৌধুরী (রত্না) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লালমোহন, ভোলার পরিবর্তিত নাম পূর্ব ফুলবাগিচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লালমোহন, ভোলা, ফজিলাতুননেছা সরকারি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়, তজুমদ্দিন, ভোলার পরিবর্তিত নাম তজুমদ্দিন আইডিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তজুমদ্দিন, ভোলা, গোলকপুর ফজলুল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তজুমদ্দিন, ভোলার পরিবর্তিত নাম গোলকপুর হাটখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তজুমদ্দিন, ভোলা করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফেঞ্চুগঞ্জ, সিলেটের পরিবর্তিত নাম গাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফেঞ্চুগঞ্জ, সিলেট, শালকোনা হাসিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধোবাউড়া, ময়মনসিংহের পরিবর্তিত নাম মধ্য শালকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধোবাউড়া, ময়মনসিংহ, মাসকান্দা শেখ রাসেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারাকান্দা, ময়মনসিংহের পরিবর্তিত নাম পশ্চিম মাসকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারাকান্দা, ময়মনসিংহ, উত্তর লালখান বাজার শেখ রাসেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডবলমুরিং, চট্টগ্রামের পরিবর্তিত নাম উত্তর লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডবলমুরিং, চট্টগ্রাম, বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চান্দগাঁও, চট্টগ্রামের পরিবর্তিত নাম বাকলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম, চান্দি বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিবর্তিত নাম চান্দি উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, দীর্ঘভূমি বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ব্রাহ্মণপাড়া, কুমিল্লার পরিবর্তিত নাম দীর্ঘভূমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ব্রাহ্মণপাড়া, কুমিল্লা, ১৬২ নম্বর বঙ্গবন্ধু মাহপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জের পরিবর্তিত নাম শাপলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ, ১৭৯ নম্বর শেখ ফজলুল হক মনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ সদর, গোপালগঞ্জের পরিবর্তিত নাম ঝিনুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ সদর, গোপালগঞ্জ, ২১৪ নম্বর বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ সদর, গোপালগঞ্জের পরিবর্তিত নাম শিউলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ সদর, গোপালগঞ্জ করা হয়েছে।

৭০ নম্বর বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জের পরিবর্তিত নাম বকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ, ৪৯ নম্বর গিমাডাঙ্গা মধ্যপাড়া শেখ ফজিলাতুননেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জের পরিবর্তিত নাম কদম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ, ৫৯ নম্বর শেখ কামাল স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জের পরিবর্তিত নাম গোলাপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ, ৪৩ নম্বর কুশলী শেখ মোশাররফ হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জের পরিবর্তিত নাম শিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ, ৪৮ নম্বর কাজীপাড়া সরদারপাড়া এস এম মুসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জের পরিবর্তিত নাম বেলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ, ৬৬ নম্বর খান সাহেব শেখ মোশাররফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জের পরিবর্তিত নাম টগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ, ১৯৬ নম্বর শেখ রাসেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুকসুদপুর, গোপালগঞ্জের পরিবর্তিত নাম দোয়েল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুকসুদপুর, গোপালগঞ্জ, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পুনর্বাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর, সিরাজগঞ্জের পরিবর্তিত নাম যমুনা সেতু পশ্চিম পুনর্বাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর, সিরাজগঞ্জ এবং দক্ষিণ দেশীবাই বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জলঢাকা, নীলফামারীর পরিবর্তিত নাম দক্ষিণ দেশীবাই স্বপ্নের সিঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জলঢাকা, নীলফামারী করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

ফ্যাসিবাদী সরকারের মদদপুষ্ট ৪ প্রকৌশলীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেটটি গণপূর্তে এখনও বহাল তবিয়ত

স্টাফ রিপোর্টার:

৫ আগস্টের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন সংগ্রামের ফলে সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হলেও পতিত সরকারের দোসর ও দুর্নীতিবাজ হিসেবে পরিচিত গণপূর্ত অধিদফতর আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার মদদপুষ্ট ৪ প্রকৌশলীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি সিন্ডিকেট মুক্ত হয়নি গণপূর্ত অধিদপ্তর । এই সিন্ডিকেটটি এতটাই বেপরোয়া যে কোন নিয়ম কানুনকে তারা তোয়াক্কা করে না। গোপালগঞ্জ অধ্যাসিত নামীদামী কিছু ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করে এরা পূর্বে ও বর্তমানে ফায়দা হাসিল করে চলছে । গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে একটি সরকারকে নিজ দেশের জনগনের সুবিধার্তে অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে হয়।

এক্ষেত্রে অধিকাংশ উন্নয়নকাজই গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে থাকে সরকার। সরকারের গৃহীত ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের জন্য অন্যতম একটি কর্মসূচী হলো টেকসই উন্নয়ন। টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত হচ্ছে অবকাঠামো ও নির্মান খাত। আর এই গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো বাস্তবায়নে মূখ্য ভূমিকা পালন করে গনপূর্ত অধিদপ্তর।
গনপূর্ত অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা হচ্ছেন সংস্থাটির প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার।

নিয়ম অনুযায়ী ও প্রশাসনিক কাঠামো অনুযায়ী তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ। তাই যখন যা ইচ্ছা তাই তিনি করতে পারেন। তাকে যে কোন সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের ক্ষেত্রে রয়েছে তার একান্ত অনুগত কয়েকজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এবং কথিত বিএনপি-জামাতের অনুসারী কয়েকজন নির্বাহী প্রকৌশলীর সমন্বয়ে গঠিত একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট।

কাগজে কলমে ও বাহ্যিক দৃষ্টিতে একজন সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত প্রধান প্রকৌশলী মো: শামীম আখতার। সরাসরি কোন অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে তার সম্পৃক্ততা চোখে না পড়লেও একটি বিশেষ সুবিধাবাদী কর্মকর্তা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তিনি হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা।

সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের শেষ মেয়াদে এসে এই সিন্ডিকেট এতটাই বেপরোয়া যে কোন নিয়ম কানুনকে তারা তোয়াক্কা নারে চালিয়েছে বেশুমার দুর্নীতি । সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ও সচিব পদমর্যাদার নামীদামী কিছু ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করে এরা ফায়দা হাসিল করছে।

সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার সমার্থিত অবৈধ সুবিধাবাদী চার কর্মকর্তার অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে আজ সাজানো হয়েছে আজকের প্রতিবেদন।

সম্পদের পাহাড়ে প্রকৌশলী আলমগীর খান : গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আলমগীর খানের বিরুদ্ধে গণপূর্ত ডিভিশন-৬ এ নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে।
আলমগীর খানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্বেও বর্তমানে ই/এম শাখার গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে তাকে পদায়ন করা হয়েছে। অনিয়ম, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে তিনি ঢাকা শহর এবং এর আশেপাশের এলাকায় সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। আলমগীর খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক তদন্ত করলেই উক্ত সকল অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে। কথিত রয়েছে যে, গনপূর্ত অধিদপ্তরের অন্যতম দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা রোকন উদ্দিনের মত আলমগীর খানও যেকোনো সময়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন।

প্রকৌশলী কাম ঠিকাদার আবুল কালাম আজাদ : প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ দুর্নীতিতে মহা চ্যাম্পিয়ন। শ্যালককে দিয়ে ঠিকাদারী ব্যবসা করান তিনি। তার ওস্তাদ প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ এখনও রয়েছেন বহাল তবিয়তে। শ্যালকের মাধ্যমে তিনি সরাসরি ঠিকাদারীতে ব্যবসা করে হয়েছেন কোটিপতি। শুধু হাতেগোনা দু’চারজন প্রকৌশলী নন এরকম আরও শত শত রাঘব বোয়াল রয়েছে গনপূর্ত অধিদপ্তরে যারা দীর্ঘদিন ধরে ঠিকাদারী ব্যবসায় নামে বেনামে সম্পৃক্ত।

ক্ষমতার শীর্ষে নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আতিকুল ইসলাম :
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার তার ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছেন ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এর বহুতলবিশিষ্ট ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে। দীর্ঘদিন যাবৎ মতিঝিল গনপূর্ত বিভাগে গণপূর্ত অধিদপ্তরের মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও সাইট সিলেকশনের অজুহাত দেখিয়ে শামীম আখতারের অত্যন্ত ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত গনপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ক্যাডেট কলেজের ছাত্র আতিকুল ইসলামকে একটি কমিটি বানিয়ে কাজটি হস্তান্তর করেন। উক্ত কাজ মতিঝিল গণপূর্ত বিভাগ থেকে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-১ এ হস্তান্তরের মূল উদ্দেশ্য কয়েক কোটি টাকার কমিশন বাণিজ্য হাতিয়ে নেয়া। এজন্যই মূলত কমিটি করা হয়েছিল। বর্তমান প্রধান প্রকৌশলীর ডাটাবেজ তৈরির কাজে সহযোগিতা করছেন আতিকুল ইসলাম। গণপূর্ত অধিদপ্তরের রক্ষনাবেক্ষন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে বিভিন্ন ঠিকাদারের নিকট হতে অধিক পরিমান উৎকোচ গ্রহন করে অনুমোদিত বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা হতে ৩ বছরে তিনি প্রায় ৬০ কোটি টাকার অতিরিক্ত দরপত্র আহবান করে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-১ এ বদলী হয়ে চলে যান। এই অতিরিক্ত ৬০ কোটি টাকার দরপত্র আহবান করে সুকৌশলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। এছাড়াও গণপূর্ত অধিদপ্তরের বদলীর বিষয়ে ভেলকিবাজি দেখিয়ে পুরো অধিদপ্তরে বাজিমাত করেছেন ক্ষমতাধর নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আতিকুল ইসলাম। কারণ স্বরুপ বলা যায় সম্প্রতি প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার সাক্ষরিত এক অফিস আদেশ অনুযায়ী জানা গেছে, ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ ৫ ডিভিশনে বদলি–সংক্রান্ত এক অফিস আদেশ জারি হয়েছে। সেখানেও পাঁচ প্রভাবশালী প্রকৌশলীই চেয়ার পেয়েছেন, যাঁরা দীর্ঘ সময় ঢাকার বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত ছিলেন।গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতারের স্বাক্ষর করা পৃথক দুটি অফিস আদেশে দেখা যায়, শেরবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ–৩–এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদ রানাকে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ–৪; ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ–১–এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতিকুল ইসলামকে শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ–৩, ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ–৪–এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুজ্জামান চুন্নুকে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ–১ এবং পরবর্তীতে ঢাকার বাইরে বদলি করা হলে ও তিনি পুনরায় ঢাকার ফিরে আসতে জোর তদবির চালাচ্ছেন। এছাড়াও মহাখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমান উল্লাহ সরকারকে শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ–২ এবং পরবর্তীতে ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়েছে। এবং শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ–২–এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসানকে মহাখালী গণপূর্ত বিভাগে বদলি করা হয়েছে। তবে আতিকুল ইসলাম যথারীতি শেরে-বাংল নগর গনপূর্ত বিভাগ -৩ এ কর্মরত থেকে তার সকল প্রকারের অনিয়ম ও দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন।

মিস্টার ৫০% তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সতীনাথ বসাক : গণপূর্তের বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সতীনাথ বসাক অসংখ্য দুর্নীতি ও অপরাধ করেও ধরাছোঁয়ার বাইরে। গণপূর্ত অধিদপ্তরে মিস্টার ফিফটি পার্সেন্ট হিসাবে অনেকের কাছেই বহুল পরিচিত তিনি। একাধিক সূত্র এবং ভুক্তভোগী ঠিকাদারদের একটি বড় অংশ তার বিরুদ্ধে থাকা সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমান বিভিন্ন গনমাধ্যমকে হস্তান্তর করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সতীনাথ বসাক বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারের আস্থাভাজন হওয়ায় অধিদপ্তর জুড়ে কাউকে তিনি পরোয়া করেন না। সাবেক কর্মস্থল সাভার থাকাকালীন সময় থেকে ভুয়া বিল ভাউচার করে সরকারি টাকা উত্তোলন পূর্বক আত্মসাৎ এর মাধ্যমে অর্জিত অর্থে বিলাসী জীবন যাপন করে আসছেন। এসব বিষয় ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কমিশন দিয়ে ম্যানেজ করতেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। বর্তমানে তার সমস্ত অনিয়ম দুর্নীতির সহযোগী হিসাবে ৩ নং ডিভিশনের প্রকৌশলী কায়সার ইবনে সাইফকে কাজে লাগান। যিনি বর্তমানে তিনি তার সমস্ত কুকর্মের ছায়াসঙ্গী। পুরো অধিদপ্তর জুড়ে এমন অসংখ্য দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী রয়েছেন যাদের রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। এরা সবাই গনপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারের অত্যন্ত আস্থাভাজন।

language Change
সংবাদ শিরোনাম
শেরপুরের নকলায় কৃষি কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার-১ মানিকছড়িতে ধানের শীষ মার্কায় ভোট চেয়ে ওয়াদুদ ভূইয়া'র পথসভা সীমান্ত হতে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় নেশাজাতীয় ট্যাবলেট জব্দ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি সিন্ডিকেটে আটকে আছে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কোটি টাকার মেশিন কেরানীগঞ্জে ঠিকাদার রফিকের অবৈধ গ্যাস সংযোগে টাকার মেশিনের সন্ধান আগুন সন্ত্রাস আটক করায় গুলশান ট্রাফিক পুরস্কৃত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের দুটি থানা ও ৯টি ওয়ার্ড কমিটি গঠিত কবিরহাট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সোহেল রানা বহিষ্কার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয়তাবাদী সাইবার দল পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা