তারিখ লোড হচ্ছে...

সেন্টুকে ‘খুনী’ আখ্যা ছাত্রদল নেতা নাজমুলের, দাবি জানালেন গ্রেফতারের

স্টাফ রিপোর্টার:

ফতুল্লার কুতুবপুরের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুর বিরুদ্ধে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ছাত্রদল নেতা নাজমুল৷ বিগত ১৬ বছর শামীম ওসমানের ছত্রছায়ায় থাকা সেন্টুকে ‘খুনী’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি। সেন্টুকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিও জানান জেলা ছাত্রদলের সাবেক এই সহসভাপতি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার দেয়া ওই স্ট্যাটাস ঘিরে তোলপাড় চলছে ফতুল্লা ও কুতুবপুরের রাজনৈতিক অঙ্গনে৷

সেন্টুকে শামীম ওসমানের ‘ছোট ভাই’ হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন নাজমুল। অবশ্য নাজমুলের এই দাবিকে ‘যুক্তিসঙ্গত’ বলছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, শামীম ওসমান নিজে সেন্টুকে  ‘ছোট ভাই’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন প্রায়ই৷ এদিক দিয়ে অবশ্য সেরের উপর সোয়া সের ছিলন সেন্টু। শামীম ওসমানকে ‘পীর’ আখ্যায়িত করে একবার ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন৷ এরপরেও শামীম ওসমানকে নিয়মিতই ‘শ্রদ্ধেয় বড় ভাই’, রাজনৈতিক অভিভাবক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন৷ শামীম ওসমানের দয়াতে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন৷ ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার কথা জানিয়েছিলেন সেন্টু নিজেই৷

আর সেই সেন্টুই পটপরিবর্তনের পরে এবার বিএনপিতে ফিরতে মরিয়া৷ চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রে। সেখানে নিজেকে ‘ত্যাগী’ উল্লেখ করে শামীম ওসমানের প্রেমে দলত্যাগের কথা উল্লেখ করেননি৷ একইভাবে চেপে গেছে নৌকা নিয়ে চেয়ারম্যান হওয়া, পীর শামীম ওসমানের মুরিদ হওয়ার বিষয়টিও৷ এসব দেখেশুনেই ক্ষেপেছন ছাত্রদল নেতা নাজমুল৷ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘আমি কেন্দ্রীয়  বিএনপি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আহবায়ক কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, কিভাবে আওয়ামী লীগের দোসর, শামীম ওসমানের ছোট ভাই মনিরুল আলম সেন্টু বিএনপির প্রোগ্রাম ও ব্যানার  করতে সাহস পায়? যার হাত ছাত্রদের রক্তে রঞ্জিত এখনো, ছাত্র হত্যা মামলার আসামি সে কুখ্যাত খুনি সেন্টু বহিষ্কার প্রত্যাহার কিভাবে আবেদন করে ?
আমি বিএনপি’র ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে আপনাদের কাছে আবেদন জানাই তাকে যেন অতি শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হয়।

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জিন্দাবাদ।।

জানা যায়, সেন্টুকে প্রতিরোধের যাবতীয় প্রস্তুতিও নিচ্ছেন স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা কোনোভাবেই আর সুবিধাবাদী সেন্টুকে বিএনপির নাম ব্যবহার করতে দিতে রাজি নন৷ আওয়ামী দোসর সেন্টুর বিরুদ্ধে মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচির উদ্যোগও নিচ্ছেন তারা৷ এখন দেখার বিষয়, নৌকার সেন্টু নৌকা থেকে নেমে ধান চাষে নামতে পারেন কি না!

পৃথক দুই স্থান থেকে নারী-পুরুষের মরদেহ উদ্ধার

পৃথক দুই স্থান থেকে নারী-পুরুষের মরদেহ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জে সংবাদদাতা:

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পৃথক দুটি স্থান থেকে এক নারীর ও এক পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে শিমরাইল এলাকার একটি টিনসেড ঘর থেকে গলাকাটা অবস্থায় সাবিনা আক্তার লাকি (৩৫) নামে এক নারীর মরদেহ এবং সিআইখোলা এলাকার ডিএনডি লেকে ভাসমান অবস্থায় এক অজ্ঞাতপরিচয় পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, নিহত সাবিনা আক্তার লাকি ঢাকার ওয়ারীর গোপীবাগ এলাকার প্রয়াত শামসুল হকের মেয়ে। শিমরাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের পাশে টিনসেড ঘরে বাস করতেন নিরব নামে এক বাসচালক। তিনি নিহতকে স্ত্রী পরিচয়ে সেখানে থাকতে দিতেন। কয়েক দিন আগে লাকি তার তিন সন্তানসহ সেখানে আসেন। বুধবার সকালে শিশুদের কান্নার শব্দ শুনে স্থানীয়রা দরজা খুলে ভেতরে তার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। নিরবকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এদিকে, মাত্র এক কিলোমিটার দূরে ডিএনডি লেকে ভাসমান অবস্থায় এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের (২৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, তার মৃত্যু অন্তত দুই দিন আগে হয়েছে এবং মরদেহের চেহারা বিকৃত হয়ে গেছে। এটি হত্যাকাণ্ড কি না, তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম