তারিখ লোড হচ্ছে...

এস আলম পরিবারের ১২ জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা

স্টাফ রিপোর্টার:

বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১১ ব্যক্তির বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন।

নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অন্যরা হলেন- বেলাল আহমেদ, ফসিহল আলম, সাজেদা বেগম, মাহমুদুল আলম, মো. মোস্তান বিল্লাহ আদিল, আতিকুর জেনি, লুৎফুন নাহার, আলহাজ চেমন আরা বেগম, মায়মুনা খানম, বদরুননেসা আলম ও শারমিন ফাতেমা।

দুদকের আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, দুদকের পক্ষে এ আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

আবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাস ও অন্যান্য দেশে এক বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানকালে জানা যায়, অভিযোগ-সংশ্লিষ্টরা যে কোনো সময় দেশ থেকে পালিয়ে বিদেশে অবস্থান নেবেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা না গেলে অভিযোগ প্রমাণ দুরূহ হয়ে পড়বে। এজন্য অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।

কু কর্মের গডফাদার অবৈধ অস্ত্র হাতে নুরু ধরাছোযার বাহিরে?

স্টাফ রিপোর্টারঃ
কড়াইল জুড়ে বিতর্কিত ভয়ংকর কিলার নুরু অবৈধ অস্ত্র হাতে আলোচিত আলামিন হত্যা মামলার আসামি প্রকাশ্যে ঘুরছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী চোখে ছাওনি কিছুই দেখছে না। রাজধানী ১৯ নং ওয়ার্ড কড়াইল বস্তি ওরা ভয়ংকর কিলার নামে চিহ্নিত,গ্যাস, বিদ্যুৎ, মাদক, জোয়ার বোর্ড নিয়ন্ত্রণ সহ নানার অপরাধ নিয়ে নুরুল সাম্রাজ্য। ১৯ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিব হামজার হত্যার কাণ্ডে জড়িত তো থাকার অভিযোগ রয়েছে নুরু ও তার সহযোগী জসিমের বিরুদ্ধে। এজাহার নাম ছিল হঠাৎ সেই নাম উধাও এমনটা জানিয়েছেন আলামিনের পরিবার। আল আমিন হত্যার পরও বুক ফুলিয়ে জন্মদিন পালন সহ আনন্দ উল্লাসে এলাকার দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন নুরু। জাতীয় প্রেসক্লাবের মানববন্ধন বিভিন্ন কর্মকর্তাদের কাছে গিয়ে আলামীনের মূল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করাতে পারছে না পরিবারটি। কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছে কিন্তু মামলার মূল আসামি নূরু ওরফে নূরী আলম রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। মামলার বাদিয়া রয়েছেন আতঙ্কে দীর্ঘ পাঁচটি মাস হয়ে গেল চাঞ্চল হত্যা মামলার আসামির নুরুকে গ্রেফতার করছে না দায়িত্বগত কর্মকর্তারা। রহস্যময় কারণ কি স্থানীয়দের মাঝে এমনই প্রশ্ন জেগেছে। অভিযোগ করতেছেন নুরু প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় কড়াইল এলাকায় পটোকল হিসেবে কড়াইল বস্তির ব্রিডিং ইনচার্জ এস আই মাহবুব মাহবুব ও কনস্টেবল সানোয়ার তাদের শেল্টারে নুরু বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নুরুর সকল কুকর্মের সব অপরাধের জন্য সহযোগিতা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাহাবুব এর বিরুদ্ধে ।
পৃথবীর সৃষ্টির শুরু থেকে মানুষের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ, খুন-খারাবি হয়েই আসছে। কিন্তু এসব হত্যার ভেতর কিছু হত্যাকাণ্ড সত্যিই ভয়ংকর। পৃথিবীর বুকে এ রকম নৃশংস খুনের সংখ্যা একেবারেই কম নয়। সেসব খুনের বর্ণনা দেওয়া লোমহর্ষক ব্যাপার। শুধু একটা নয়, অবৈধ অস্ত্র হাতে তুলে সন্ত্রাসী তাণ্ডব মানুষকে করছেন বিভ্রান্ত। খুনিরা একের পর এক খুন করে নিজেদের নাম লিখিয়েছে সিরিয়াল কিলার হিসেবে।

সিরিয়াল কিলারঃ
যে একটার পর একটা খুন নির্বিঘ্নে সংগোপনে চালিয়ে যেতে পারে তাকে সিরিয়াল কিলার বলে। সিরিয়াল কিলাররা সাধারণত রাগ, উত্তেজনা, অর্থের প্রভাব ইত্যাদি কারণে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে থাকে। চলুন জেনে নিই পৃথিবীর ইতিহাসে ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার যশোরে কুখ্যাত খুনি এরশাদ শিকদার সম্পর্কে।
এরশাদ শিকদার: বাংলাদেশের ইতিহাসে সিরিয়াল কিলারদের ভেতর তার নাম স্মরণাতীত। তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মাদারঘোনায়। পরবর্তীতে ১৯৬৬-৬৭ সালের দিকে সে খুলনায় চলে আসে জীবিকার সন্ধানে। প্রথম দিকে সে কুলির সহযোগী হিসেবে কাজ করে। এরপর আস্তে আস্তে ছোটখাটো চুরিচামারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এলাকায় রাঙ্গা চোরা নামে ডাকতে থাকে সবাই। চুরি করতে করতে একসময় যোগ দেয় খুনিদের সঙ্গে। একের পর এক খুন করতে থাকে সে। রাজসাক্ষী হয়ে আদালতকে তার দেহরক্ষিত চঞ্চল্যকর তথ্য দেন। জানায়, কমপক্ষে ৬০টি খুন করেছে সে। আদালতের কাছে সে ২৪টির হুবহু বর্ণনা তুলে ধরে। এরশাদ শিকদারের ছয়টি বিয়ের কথা জানা যায়। বহু নারীর নির্যাতনের খবরও দেয় রাজসাক্ষী সে জানায়, কৌশলে মিষ্টি ব্যবহার করে নারীদের তার আস্তানায় এনে নির্যাতন চালাত এরশাদ শিকদার। ১৯৯৯ সালে যখন সে গ্রেপ্তার হয়, তখন তার নামে মামলা ছিল ৩টি। এরপর তার নামে আরো ৪৩টি মামলা দায়ের করা হয়। সাতটি মামলায় তার ফাঁসির দণ্ডাদেশ হয় নিম্ন আদালতে। চারটি মামলায় হয় যাবজ্জীবন। ২০০৪ সালের ১০ মে মধ্যরাতে খুলনা জেলা আদালতে তার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম