তারিখ লোড হচ্ছে...

জামায়াত নেতাদের মারধর, বিএনপির ৪ নেতাকে শোকজ

স্টাফ রিপোর্টার:

পাবনার সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) রুমে তার সামনেই উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমিরসহ চার নেতাকে বেধড়ক মারধর ঘটনায় বিএনপির চার নেতাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে বিএনপি।

গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে এ আদেশ দেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি মঙ্গলবার রাতে সাংবাদিকদের হাতে আসে। এর আগে সোমবার বিকেলে ইউএনও মীর রাশেদুজ্জামানের কার্যালয়ে মারধরের ঘটনা ঘটে।

নোটিশে বলা হয়েছে, পাবনা জেলাধীন সুজানগর উপজেলা ইউএনওর কার্যালয়ে প্রবেশ করে হাঙ্গামা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে অশোভন ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগে সুজানগর উপজেলা বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মজিবর রহমান, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক বাবু খা, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মানিক খা এবং সুজানগর এন. এ কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মো. শাকিল খানের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে তাদেরকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

সোনারগাঁয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে ব্যবসায়ী খুন

আব্দুস সাত্তার:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া (৫০) নামে এক ব্যাক্তি খুন হয়েছেন। শনিবার (৭ অক্টোবর) ভোর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত দুলাল উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের মৃত শাহজাহান ওরফে ডেঙ্গর আলীর ছেলে।

উল্লেখ্য, এ মোগরাপাড়া বাড়ি মজলিশ গ্রামের মৃত হাসেমের ছেলে রাজ্জাকের সঙ্গে নিহত দুলাল মিয়ার বড় ভাই ফজল মিয়া পার্টনারে জমি-জমার ব্যবসা করতো। গত মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজ্জাক মোবাইলে ফজল মিয়াকে ডেকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে রাজ্জাক তার দলবল নিয়ে ফজল মিয়াকে মারধর শুরু করে। এ খবর পেয়ে ফজল মিয়ার ছেলে নির্ঝর ও তার ছোট ভাই ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্রই ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।

এ সময় সন্ত্রাসীরা শাহজাহানকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরি ও চাপাতি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে নারী-ভুঁড়ি বের করে দেয়। পরে মারাত্মকভাবে আহত দুলালকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিওতে স্থানান্তর করা হলে ৪দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তিনি।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুব আলম সুমন বলেন, ঘটনার পর পরই আমরা থানায় একটি মামলা নিয়ে আসামী ইমদাদ হোসেন (৫৫) ও আরমানকে (৪৩) গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছি। বর্তমানে ওই মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে রূপান্তরিত হবে এবং বাকিদের গ্রেপ্তার করতে জোর অভিযান চলছে।

language Change
সংবাদ শিরোনাম