মধ্যরাতে তামিম ইকবাল যা চাইলেন মুশফিকের কাছে

স্টাফ রিপোর্টার:

চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরে ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলেন মুশফিকুর রহিম।যার ফলে নানা সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। কথা হচ্ছিল ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে তার অবসর নিয়েও। এর মধ্যেই বুধবার (৫ মার্চ) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে অবসরের কথা জানিয়েছেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।

মুশফিকের অবসরের পর মধ্যরাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার উদ্দেশে বার্তা দেন মুশফিকের অনেকদিনের বন্ধু ও সতীর্থ তামিম ইকবাল।

নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তামিম বলেন, আজ এমন একজন ব্যক্তি অবসর নিল যার সঙ্গে আমার অলমোস্ট ২০ বছর বা ২৫ বছর একটা জার্নি। একটা স্ট্যাটাসে আসলে আমি মানুষকে বোঝাতে পারব না যে আমার ফিলিংসটা তার প্রতি।

মুশফিকের অবসর প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন যে কিছুক্ষণ আগে মুশফিক ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছে। মুশফিককে আমি এতটুকুই বলছি যে তোর সাথে আমার খেলা শুরু অনূর্ধ্ব ১৫ থেকে। কেমনে একটা ছেলে এতটা কষ্ট করতে পারে। একটা মানুষের পক্ষে যতটা কষ্ট করা সম্ভব আমার মনে হয় সে সবটুকুই করেছে।’

মুশফিকের কাছে তামিমের একটি চাওয়া আছে। মুশফিক যেন প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলার কীর্তি গড়েন। টেস্ট খেলার সেঞ্চুরি থেকে এখনও ৬ ম্যাচ দূরে আছেন তিনি। তামিম বলেন, ‘এখনও তুই একটা ফরম্যাট খেলবি। আমি দোয়া করি তুই ভালো করবি। একশ টেস্ট অন্তত খেলবি যা দেশের কেউ করেনি। আশা করি একশ টেস্ট খেলবি। আমি এখন খুবই আবেগপ্রবণ। বাংলাদেশ তোকে মিস করবে, কোনো দ্বিধা নেই।’

খেলার প্রতি মুশফিকের ডেডিকেশন নিয়ে তামিম বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে অনেক সময় হাসাহাসি করি যে এত কষ্ট করে কীভাবে বা তার ডেডিকেশন খেলার প্রতি, ভালোবাসা। এটা কথায় কোনো দিন বোঝাতে পারব না। আজকে ওর খেলা ছেড়ে দেওয়া কত কষ্টকর আমি যেহেতু ওর কাছের একজন বন্ধু আমি এই জিনিসটা ফিল করতে পারি। যে এটা খুব কঠিন তার জন্য। একটা ফরম্যাটে ক্রিকেটার হিসেবে তো আমি এটা আশা করব যে ১০০তম টেস্ট অবশ্যই খেলবি তুই।’

২০০৬ সালের আগস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেকের পর গত ১৯ বছরে দেশের হয়ে মোট ২৭৪ ওয়ানডে খেলেছেন মুশফিক। যেখানে ৩৬.৪২ গড়ে ৯ সেঞ্চুরি ও ৪৯ ফিফটির কল্যাণে ৭৭৯৫ রান করেছেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

এর আগে ২০০৬ সালে ওয়ানডে অভিষেকের পর ১৯ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ২৭৪টি একদিনের ম্যাচ খেলা মুশফিক নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে অবসরের ঘোষণা দিয়ে লিখেছেন, ‘আজ আমি ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে অবসর ঘোষণা করছি। আলহামদুলিল্লাহ সব কিছুর জন্য। যদিও বৈশ্বিকভাবে চিন্তা করলে আমাদের অর্জন সীমিত হতে পারে। তবে এ কথা নিশ্চিত যে, যখনই আমি আমার দেশের জন্য মাঠে নামতাম, আমি নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে শতভাগের বেশি দিয়ে খেলতাম।’

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাজে ফর্ম ও দলের ভরাডুবির দিকে ইঙ্গিত করে মুশফিক আরও লিখেছেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ আমার জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল এবং আমি উপলব্ধি করেছি যে এটাই আমার ভাগ্য।’

সবশেষে পবিত্র কুরআনের একটি আয়াতও উদ্ধৃত করেছেন মুশফিক। লিখেছেন, ‘আল্লাহ কুরআনে বলেছেন: ‘‘তিনি যাকে ইচ্ছা সম্মান দেন এবং যাকে ইচ্ছা অপমান করেন।’’ (সুরা আল ইমরান, ৩:২৬)। মহান আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন এবং সকলকে সঠিক ঈমান দান করুন। সবশেষে আমি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই আমার পরিবার, বন্ধু এবং আমার ভক্তদের, যাদের জন্য আমি গত ১৯ বছর ধরে ক্রিকেট খেলে এসেছি।’

 

হকির মাঠ থেকে জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করলেন সবুজ ও মিম

খেলা ডেস্কঃ

দেশে প্রতিভাবান খেলোয়াড় তৈরির আঁতুড়ঘর বলা হয় বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে (বিকেএসপি)। আর এখান থেকেই জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করলেন জাতীয় হকি দলের অন্যতম খেলোয়াড় সোহানুর রহমান সবুজ ও নারী হকি খেলোয়াড় তাসনিম আক্তার মিম।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকেএসপিতে আয়োজন করা হয় সবুজ ও মিমের বিয়ের অনুষ্ঠান। বর-কনে দুজনই হকি খেলোয়াড় হওয়ায় এই অনুষ্ঠানটি হয়ে উঠেছিল হকি অঙ্গনের এক মিলনমেলা। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার পর হকি টার্ফেই বর-কনে বল-স্টিক হাতে পোজ দিয়ে ছবি তোলেন।

তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে সবুজ ও মিমের সম্পর্ক স্থায়ী ছিল। দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। সবুজ জানান, তার সংস্থা (বাংলাদেশ বিমানবাহিনী) থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি পাওয়ার পরই তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।

তিনি বলেন, আমাদের সংস্থায় ২৪ বছর বয়স এবং চাকরির চার বছর পূর্ণ হওয়ার আগে বিয়ে করা যায় না। আমার দুটিই পূর্ণ হওয়ায় অনুমতি মিলে গেছে।

সবুজ আরও জানান, স্ত্রী মিমের খেলার বিষয়ে তিনি কোনো বাধা দেবেন না। হকির মাধ্যমেই আমাদের পরিচয়। ফলে হকি খেলায় আমার কোনো বাধা নেই। সে যদি খেলতে চায়, খেলবে।

সোহানুর রহমান সবুজ বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। গত মৌসুমে প্রিমিয়ার বিভাগ হকি লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪০ গোলের মাইলফলকের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন।

অন্যদিকে হকিতে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন তাসনিম আক্তার মিম। ২০১৯ সালে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-২১ নারী হকি দলে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি। বর্তমানে দলের বাইরে থাকলেও দলে ফেরার জন্য লড়াই করছেন তিনি।

 

সবা:স:জু- ৭২৬/২৫

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান