তারিখ লোড হচ্ছে...

স্বৈরাচার শেখ পরিবারের ঘনিষ্ঠ জামিল এখন ভাসানী অনুসারী পরিষদে সক্রিয়, ভয়াবহ প্রতারণার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার:

স্বৈরাচার শেখ পরিবারের ঘনিষ্ঠ জামিল আহমেদ ৫ আগস্টের পর খোলস পাল্টে এখন ভাসানী অনুসারী পরিষদের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। গত তিন বছর আগে থেকে ভাসানী অনুসারী পরিষদে যুক্ত থাকার দাবি তুললেও বিগত দিনে জামিলের তেমন সক্রিয়তা দেখা যায়নি। বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সময়ে শেখ পরিবারের সাথে ভাসানী অনুসারী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক জামিল আহমেদের ঘনিষ্ঠতার সূত্রে তিনি শেখ হেলালের বাসা সংলগ্ন অফিস নিয়েছিলেন। জামিল আহমেদের অফিসে শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবের পাশাপাশি শেখ হেলাল, শেখ তন্ময়ের ছবি ঝুলানো থাকতো, কেবল তাই নয় তাদের সাথে জামিলের ঘনিষ্ঠতা ছিল চরমে। জামিল আহমেদের অফিসে শেখ পরিবারের বড় বড় অর্থনৈতিক লেনদেন হতো, চলতো বড় বড় তদবির বানিজ্য। যে কারণে বাগেরহাট জেলার মোল্লার হাট উপজেলার নগরকান্দি এলাকার জামিল আহমেদ বলতেই সবাই জানতেন খুলনার শেখ বাড়ির লোক। রাজধানীর বারিধারায় জামিল আহমেদের জেওয়ান সোর্সিং কোম্পানির অফিসে ছিল শেখ পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের বিশেষ আড্ডাখানা, আশির্বাদের আসনে মাথার উপরে থাকতো শেখ পরিবারের নানা ছবি। ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত থাকা জামিল আহমেদ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণা সহ নানা কাজের অন্যতম অর্থের যোগানদাতা ছিলেন। আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাদের সাথে ঘনিষ্ঠতার প্রভাব ও হুমকি ধামকির কারণে জামিল আহমেদের বিরুদ্ধে বিগত দিনে কেউ মুখ খুলতে সাহস করেনি। তাঁর মালিকানাধীন বায়িং হাউজ জেওয়ান সোর্সিং কোম্পানির মাধ্যমে পার্টনারশিপ, ব্যবসার প্রফিট এবং ভুয়া অর্ডার ক্রিয়েট করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। তাঁর প্রলোভনের শিকার হয়ে দেউলিয়া অনেক প্রতিষ্ঠান ও একাধিক ব্যক্তি দীর্ঘদিন বিভিন্ন মহলে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করেও কোনো সুরাহা করতে পারছেন না, কেননা তিনি বরাবরই ক্ষমতাধরদের আশ্রয়ে নিজেকে শক্তিশালী করেন। ছাত্র জনতার গণঅভূর্থানে শেখ পরিবারের পতন ঘটলে তিনি ভাসানী অনুসারী পরিষদে সক্রিয় ভাবে অবস্থান নিয়ে হয়ে যান শেখ পরিবারের বিরোধী শক্তির লোক। ২৪শের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রজনতার হাতে শেখ পরিবারের ক্ষমতার পতন ঘটলেও, ক্ষমতা কমেনি জামিল আহমেদের। যে কারণে জামিলের কাছের কোটি কোটি টাকা পাওনার হিসাব নিয়ে দিশেহারা রিফাত সিফাত, এল এল ইন্টারন্যাশনাল, ড্রীম টাচ, আদর নিট, টেক্স ওয়ার্ল্ড, জিরকন, এলএইচ নিটওয়্যার, পলিস্টার নিট কনসাল্ট, স্টিচ এন্ড ওয়েভ,সৌরভ ফেবরিক্স আব্দুল লতিফ ,সেলিম মোড়ল, মোমিন, আব্দুস সোবাহান, রামপুরার আব্দুস সালাম, সহ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। টাকার অভাবে চিকিৎসা নিতে না পেরে বিছানায় কাতরাচ্ছেন পাওনাদার সত্তরোর্ধ্ব আব্দুস সোবহান সহ অনেকের জীবন যাপন চলছে কষ্টের মধ্যে দিয়ে। অথচ আপসানা মিমির মতো একাধিক নারী নিয়ে ভোগ বিলাসে মেতে আছেন জামিল আহমেদ। জানা যায় একাধিক নারী আসক্তির কারণে অনেকের সাংসারিক জীবনে অশান্তি ও রাজধানীর আফতাবনগরে স্বামী শেখ সোহেলের ছুরিকাঘাতে স্ত্রী সুবর্ণা আক্তার মিমের মৃত্যুর পেছনেও রয়েছে নাকি জামিলের কু-কীর্তি। এমনকি টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করা নারায়ণগঞ্জের মনির হোসনের স্ত্রী স্বামীর পাওয়া টাকা পাবার আশায় জামিলের দারস্থ হলে তিনিও জামিলের কু-নজরে পরেন, বাদ যায়নি অফিস স্টাফ আরামবাগের সিমলা সহ অনেকে। শিক্ষক বাবার সন্তান জামিল আহমেদ মামা নজরুলের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে পরিচিত হলেও পরে আর মামাকে দরকার হয়নি নিজেই নানা উপায়ে ঘনিষ্ঠ হয়ে তাঁদের প্রভাব খাটিয়ে বিস্তার করেছেন তাঁর প্রতারণার ফাঁদ। গার্মেন্টসে মাসে মাত্র দশ হাজার টাকা বেতনে চাকুরী করা জামিল আহমেদ প্রতারণার টাকায় টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে শশুরবাড়ী এলাকায় ৪০ বিঘা জমি, মাছের ঘের, হাঁসের খামার ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়  রেডিসন থেকে কিনেছেন বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। এছাড়াও নামে বেনামে রয়েছে আরও সম্পদ। গুলশান সহ বিভিন্ন থানায় তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকলেও রাজনৈতিক চাপে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না বলে জানা যায়।

ডেমরায় বাক প্রতিবন্ধীর অবৈধ সম্পদের পাহাড়

স্টাফ রিপোর্টার:

রাজধানীর ডেমরা পশ্চিম টেংরা, সারুলিয়া এলাকায় সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা রশিদ মাষ্টার (৪৫) এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, প্রতারণার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত-১৭ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখে: অভিযোগ হয়েছে বলেও জানা গেছে। জনস্বার্থে এক সংবাদকর্মী এই অভিযোগ করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)কে অভিযোগের বিবরণের জানা গেছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর ও আওয়ামী লীগ নেতা রশিদ মাষ্টার দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, প্রতারণার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন। তিনটি বাড়ির মালিক এই আওয়ামী লীগ নেতা (রশিদ মাস্টার)। তার মালিকানাধীন বাড়িগুলোর, ১০ তালা বাড়ি নং ২৯৫ ,এম এ রশিদ মাষ্টার কমপ্লেক্স, পশ্চিম টেংরা, সারুলিয়া, ডেমরা, বাড়ি ৫ তালা বাড়ি নং ৭০, মাস্টার মঞ্জিল প্রোঃ এম এ রশিদ মাস্টার পূর্ব সারুলিয়া ডেমরা, রুপগঞ্জ থানা এলাকা রয়েছে আরও ১টি বাড়ি। রশিদ মাষ্টারের বৈধ কোন ব্যাবসা নাই। ফ্ল্যাট বিক্রয়ের নামে বহু মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।দীর্ঘদিন ধরে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকলেও রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে সবসময় ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন। স্থানীয়রা জানায় ,রশিদ মাস্টার মানুষের সাথে ফ্ল্যাট বিক্রি করার নামে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা, ভুক্তভোগীরা আইনের কোনো সহযোগিতা পায় নাই কারণ সে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার আমলে ঢাকা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম (মনু) ছত্র ছায়ায় ছিলো , তার পরবর্তীতে হারুন অর- রশিদ (মুন্না) সাথে রাজনীতি করেছে, সে একজন বাক প্রতিবন্ধী হয়ে কিভাবে এত বাড়ির সম্পত্তির মালিক এটা ভাবার বিষয় , বর্তমানে দেশপ্রেমিক সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করে ভোক্তাভোগীরা । এ বিষয়ে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা রশিদ -মাষ্টার-দুর্নীতি দমন কমিশন -দুদক-কে অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান- দুদকের চেয়ারম্যান আমার- দুদকে আমার ভাই ব্রাদার আছে- দুর্নীতি দমন দুদকের চেয়ারম্যান আমি নিজেই বানাই। যারা রাজনীতি করে তার ভিতরে আমি রশিদ মাস্টার সলিড আমি এক নাম্বার রাজনীতি করেছি- আর যারা রাজনীতি করে তারা সবাই দুই নাম্বার বাড়ির বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান- আল্লাহর রহমতে আমি যেই টাকা কামাই নিছি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম