তারিখ লোড হচ্ছে...

আইপিএইচ পরিচালকের ড্রাইভার আনিসুর রহমানে দৌরাত্ম্য

স্টাফ রিপোর্টারঃ

👉 বাসা বরাদ্দে অনিয়ম
👉গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ এর অবৈধ ব্যবহার
👉 ঠিকেদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে অবৈধ সখ্যতা
👉 কেনাকাটায় অনিয়মের মূল হোতা

স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম দুর্নীতির লাগাম যেন থামছেই না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (আইপিএইচ) এর পরিচালকের ড্রাইভার আনিসুর রহমান এ যেন স্বাস্থ্যের ড্রাইভার মালেকের অদৃশ্য পেতাত্মা। ড্রাইভার মালেক যে ভাবে প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের উর্ধতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে অবৈধ ভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক বনে গিয়েছিল, ঠিক সে পথেই হাটতে শুরু করেছেন আইপিএইচ এর ড্রাইভার আনিসুর রহমান। দীর্ঘদিন একই জায়গায় শপদে বহাল থাকার কারণে এমনটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ। তিনি ইতিমধ্যেই উক্ত প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে বরাদ্দ পেয়েছে অফিসার্স কোয়াটার। সরকারি নিয়ম বহির্ভূত ভাবে তাকে অফিসার্স কোয়াটার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অফিসার্স কোয়াটারে বসবাসরত আন্যান্য বাসিন্দারা। একজন ড্রাইভার, তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তাগণ অফিসার্স কোয়াটার বরাদ্দ পেতে পারেন কি না এ বিষয় জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (আইপিএইচ) এর পরিচালকের মতামত জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এরিয়ে যান। অন্য দিকে বরাদ্দ পাওয়া কোয়াটারের আসপাশের খোলা জায়গা যেটা বরাদ্দপ্রাপ্ত পরিবারের ছেলে মেয়েদের খেলাধুলার জন্য রাখা হয়েছে সেখানে বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে তুলেছেন আবাসিক স্থাপনা। সরকারি বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির অপচয়ের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ লোকসানে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ( আইপিএইচ)। ড্রাইভার আনিস তার বাসায় এয়ারকন্ডিশন লাগিয়ে সরকারি বিদ্যুতের অপচয় করছেন। বহিরাগতদের ভাড়া দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন তারা। ফলে অফিসার্স কোয়াটারের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ কারনে অফিসার্স কোয়াটারে বসবাসরত অনেকেই নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন। আনিসুর রহমান পরিচালকের ড্রাইভার হওয়ায় উক্ত প্রতিষ্ঠানে মালামাল সরবরাহকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো আনিসুর রহমানের মাধ্যমে পরিচালকের খুব কাছাকাছি যেতে সক্ষম হন এবং তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ড্রাইভারদের জন্য বরাদ্দকৃত রুমটিকে তিনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বানিয়েছেন। পরিচালকের ড্রাইভার হওয়ার কারণে উক্ত প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ড্রাইভারদের সাথে অসদআচরণসহ চাকরি হারানো, বদলির ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজের অস্তিত্ব জাহের করার চেষ্টা করেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছু উক্ত প্রতিষ্ঠানের একজন ড্রাইভার জানান, আনিসুর রহমানের ভয়ে এখানে অন্য কোন গাড়ি চালক মাথা উঁচু করে কথা বলতে ভয় পান।

ইসলামী ব্যাংকের এমডিকে তলব, হতে পারেন বরখাস্ত

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের ঋণ প্রদানে অনিয়মের যে অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ মনিরুল মওলাকে তলব করে ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সোমবার সন্ধ্যায় ইসলামী ব্যাংকের এমডি গভর্নরের সঙ্গে দেখা করেছেন।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি পরিদর্শক দল কথিত ঋণ অনিয়মের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে ইসলামী ব্যাংক পরিদর্শন করেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের ঋণ বিতরণের এই ইস্যুটিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং এবং অর্থ বিভাগও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বিষয়টি অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, ঋণ প্রদানে অনিয়মের অভিযোগে ইসলামী ব্যাংকের এমডিকে বরখাস্ত করা হতে পারে।

তবে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল মওলার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই পদক্ষেপের আগে গত রোববার (২৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তাকে অবহিত করার জন্য ব্যাংকিং ও অর্থ বিভাগকে নির্দেশ দেন।

ইসলামী ব্যাংক নামসর্বস্ব কয়েকটি কোম্পানিকে কয়েক হাজার কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে- এমন একটি সংবাদ দেশের শীর্ষ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই মোহাম্মদ মনিরুল মওলাকে তলব করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম