তারিখ লোড হচ্ছে...

কেরানীগঞ্জে শহীদ সায়েমের কবর ভাংচুর

মোঃ শাহ আলম:

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের রসুল পুর মাদ্রাসার কবর স্থানে ১৯ জুলাই নিহত শহীদ সায়েমের কবরে গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ৪০/৫০ জনের আওয়ামী লীগের দোষর সিরাজুল ইসলামের সন্ত্রাস বাহিনী মিলে কবরটি ভেঙে গুরিয়ে দেয়।
ঘটনাটি অত্র মাদ্রাসার ঈমাম ও ছাত্র জনতারা মিলে নিশ্চুপ হয়ে দেখতে থাকেন।
এ নিয়ে এলাকায় থম থমে বিরাজ করছে,ঘটনা পরে শহিদ সায়েমের পরিবার ও জাতীয় নাগরিক পার্টির সকলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় জানালে পুলিশ এসে তদন্ত করেন।
পরের দিন সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় গিয়ে সায়েমের মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
উক্ত বিষয়ে মাদ্রাসা ও কবর স্থানের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নজরুল হক তিনি বলেন আমরা সকলে মিলে হামলা কারিদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা মার মুখি আচরন করেন এবং হামলাকারীরাদের মধ্যে যারা ছিলো তারা পাশের গ্রামের আওয়ামী লীগের ও বি এন পির কর্মী,অনেক কেই চিনেন তিনি হামলার ঘটনা বলার সময় থানায় কেনো ফোন করলেন না সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার ভুল হয়েছে। পুলিশ সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর ঘটনা তদন্ত করেন এবং তিনি বলেন এই ঘটনার তিব্র নিন্দা জানাই আমরা পুলিশ বাহিনী সকলে মিলে এর মুল হোতা সহ সকলকে আইনের আওতায় আনবো।
এদিকে,,,, রিনাত ফৌজিয়া শুক্রবার ঘটনার পর থেকেই স্ব সরিলে উপস্থিত থেকে শহীদ সায়েমের করব পূর্ণ নির্মানের জন্য অনুমতি দেন এবং শনিবার সকাল থেকে রসুলপুর কবরস্থানে বিকেল পর্যন্ত আবস্থান করেন।
নিতি বলেন ঘটনার মুল নায়ক সহ সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।শুক্রবার ঘটনার পর থেকে আমাদের প্রশাসনিক টিম আর্মি রেপ ও পুলিশ সহ প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে তল্লাশি সহ অভিযান চলমান আছে।

ব্যবসায়ীকে অফিসে আটকে পেটালেন এসিল্যান্ড

স্টাফ রিপোর্টার॥

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় এক কাপড়ের দোকানীকে তুলে নিয়ে নিজ কার্যালয়ে আটকে রেখে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু বকর সিদ্দিকের বিরঝদ্ধে। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ী।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মডেরহাট বাজার এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ছোট একটি কাপড়ের দোকান চালিয়ে আসছিলেন চর ধানকাটি এলাকার সোলাইমান ফরাজী। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু বকর সিদ্দিক। এ সময় তিনি সোলাইমান ফরাজীর কাছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স চাইলে তিনি প্রথমে ফটোকপি ও পরবর্তীতে মূল কপি দেখান। এরপর তার কাছে আয়কর সার্টিফিকেট চাইলে সেটি তিনি দেখাতে পারেননি। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করেন।

তবে ক্ষুদ্র দোকানী হওয়ায় জরিমানার টাকা দেওয়া নিয়ে সোলাইমান ফরাজীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় এসিল্যান্ড আবু বকর সিদ্দিকের। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আনসার সদস্যকে দিয়ে তাকে গাড়িতে উঠিয়ে নিজ কার্যালয়ে নিয়ে আসেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু বকর সিদ্দিক। সেখান আটকে রেখে প্রথমে তাকে কানে ধরে উঠবস ও পরবর্তীতে আনসার ও তিনি নিজে লাঠি দিয়ে মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন সোলাইমান।

খবর পেয়ে ডামুড্যা উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা সাইফুল ইসলাম ও পৌর জামায়াতের আমির আতিকুর রহমান কবির ঘটনাস্থলে গেলে তাদের অনুরোধে ২ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেন। এ ঘটনায় সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী সোলাইমান ফরাজী।

এমন ঘটনায় অবাক হয়ে যান প্রত্যক্ষদর্শী ও ডামুড্যা উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা সাইফুল ইসলাম। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা খবর পেয়ে এসিল্যান্ডের অফিসে ছুটে যাই। তিনি আমাদের সামনেই সোলাইমান ফরাজীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও একপর্যায়ে লাঠি নিয়ে এসে আনসার সদস্যকে মারতে বলেন। আনসার তাকে পেটানো শুরু করে এবং তিনি (এসিল্যান্ড) নিজে উঠে এসেও পেটানো শুরু করেন। কেউ ভুল করলে তাকে ভয় দেখানো যায়, জরিমানা করা যায়। কিন্তু একজন কর্মকর্তা এভাবে নিজ হাতে আইন তুলে নিয়ে মারতে পারে যা কল্পনাও করিনি। আমরা চাই এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হোক। যাতে পরবর্তীতে কোনো কর্মকর্তা এ ধরনের কর্মকান্ড করতে না পারে।

সোলাইমান ফরাজী অভিযোগ করে বলেন, আমি গ্রামের ক্ষুদ্র একজন ব্যবসায়ী। যখন আমাকে জরিমানা করা হয় আমি শুধু বলেছিলাম, আমরা গ্রামের দোকানদার তাই আয়কর সার্টিফিকেট রাখি না। এতেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে গাড়িতে উঠিয়ে তার অফিস কক্ষে নিয়ে কানে ধরে উঠবস করান। পরে তার আনসার সদস্য দিয়ে আমার সারা শরীরে লাঠি দিয়ে পেটান। তিনি নিজেও আমাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছেন।

একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও তিনি আমার সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেছেন। আমাকে মেরে জখম করেছেন। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।

অভিযোগের বিষয়ে ডামুড্যা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি বিলিং লাইসেন্স আনতে হয়। কিন্তু ওই ব্যবসায়ী লাইসেন্সটি ছাড়াই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছিলেন। তাকে আইনগতভাবে কারাদন্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে। তবে তিনজন জামায়াত নেতার অনুরোধে তাকে ২ হাজার জরিমানা করে ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি।

তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন।

তিনি বলেন, বিষয়টি আমি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এ ঘটনার তদন্তে দ্রুত একটি কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সবা:স:সু-১৬/২৪

language Change
সংবাদ শিরোনাম