তারিখ লোড হচ্ছে...

মাতুয়াইল নিউ টাউন এলাকার জলাবদ্ধতার সমস্যা নিরসনে মানববন্ধন কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আশপাশের বহুতল ভবনের সুয়ারেজের পানিতে ডুবে আছে দেশের অন্যতম শিক্ষাঙ্গন সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন সড়ক মাতুয়াইল নিউটাউন এলাকার বেশ কিছু অংশ। এই সড়কের জলাবদ্ধতায় স্থানীয় বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে পানিতে নেমে ব্যানার হাতে নিয়ে প্রতিবাদ করেছেন নিউ টাউন ব্লক এ সমাজ কল্যাণ পরিষদের নেতারা। এতে সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুর রহমানের প্রতিনিধি এসআই আহসান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে সূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মোঃ কামাল হোসেন। সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজের ইংলিশ ভার্সনের ইনচার্জ নজরুল ইসলাম। নিউ টাউন ব্লক এ সমাজ কল্যাণ পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর ফারুক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামাল হোসেন, ৫ নং রোড নিউ টাউন
সোসাইটির সভাপতি মুহিবুল্লাহ রিয়াজ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রতিনিধি আকরাম হোসেন, মাওলানা মুজাহিদুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান, মোহাম্মদ গোলাম আযম, এনায়েত হোসেন তালুকদার, ডাক্তার ইউসুফ কামাল রাজীব সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

আজ শনিবার দুপুর ১১ টায় সড়কের সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন মহিলা কলেজ এলাকায় পানিতে নেমে এই প্রতিবাদ জানান সংগঠনের নেতারা। এতে অংশ নেন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।এদিন সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটির একতা টাওয়ার পয়েন্ট এখনো পানিতে তলিয়ে আছে।

নেতারা বলেন, সড়কের জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ আশপাশের বহুতল ভবনের সুয়ারেজ সংযোগ রাস্তার উপরে প্রদান, অবৈধ দখল ও নির্মাণ এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনা। এ সমস্যা সমাধানে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, সড়ক ও জনপথ বিভাগকে সমন্বয় করে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

নিউটাউন ব্লক এ সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মোঃ ইয়াসিন হাওলাদার বলেন,‘আমাদের নিউটাউন এলাকায় হাজার হাজার মানুষের বসবাস। আমরা এই এলাকা জলাবদ্ধতামুক্ত দেখতে চাই। বছরের পর বছর জলাবদ্ধতা থাকে এই সড়কে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার এই সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় পড়ায় সিটি কর্পোরেশন ও সড়ক বিভাগ একে অপরের উপর দোষ চাপায়। আমরা চাই উভয় বিভাগের সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান হোক।
প্রধান বক্তা,বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসের সূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মোঃ কামাল হোসেন বলেন, আমরা অতি দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।
ডেমরা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে অফিসার ইনচার্জ এর প্রতিনিধি মোঃ আহসান বলেন, সমস্যাটি যেহেতু এই এলাকার মানুষের তাই সমাধানে তাদেরকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা ডেমরা থানার পক্ষ থেকে যতটুকু করা দরকার ইনশাআল্লাহ করবো।

পটিয়ায় অতিথি পাখির কিচির-মিচির শব্দে মুখরিত হাতিয়াঘোনা ডোবা

অনলাইন ডেস্কঃ

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের হাতিয়াঘোনা (হেক্কার) ডোবা এলাকা। প্রতিদিন পাখির কিচির-মিচির শব্দে ঘুম ভাঙে এখানকার মানুষের। হাজার হাজার পাখি সারাক্ষণ মুখরিত করে রেখেছে ডোবা এলাকা। এলাকাজুড়ে অতিথি পাখির আগমন ঘটে শীত মৌসুমে। প্রতিদিন পাখি দেখতে ডোবা এলাকায় ভিড় করেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

জানা যায়, পৃথিবীতে ১০ হাজারেরও বেশি প্রজাতির পাখি রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় দুই হাজার প্রজাতির পাখি পরিযায়ী বা অতিথি পাখি। এরা নিজ দেশের তীব্র শীত থেকে বাঁচতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আসা-যাওয়া করে থাকে। সাইবেরিয়া, ইউরোপ, এশিয়া, হিমালয় থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি নভেম্বর থেকে জানুয়ারিতে আমাদের দেশে আসে। শীতটা শেষ হলে আবার তারা পাড়ি জমায় নিজ দেশে। যেসব অতিথি পাখি শীতের সময় আমাদের দেশে আসে, তাদের মধ্যে রয়েছে- লালবুবা, বক, পানকৌড়ি, শামুককনা, গাঙ, কবুতর, থাম, পাইজ, জলপিপি, পেরিহাঁস, পাতিবাটান, পাতিকুট, গিরিয়া, পাতারি প্রভৃতি।

সরেজমিনে দেখা যায়, কচুয়াই ইউনিয়নের ফকিরপাড়া রোড ৯নং ওয়ার্ড দিয়ে পাহাড়ের পাশে মেজর শহীদ ছবুরের নামে সরকারি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে। স্কুলের পাশ দিয়ে পাহাড়ী এলাকায় গড়ে উঠেছে ছোট বড় বেশ শতাধিক মৎস্য প্রজেক্ট। সেই সাথে পাহাড়ী অঞ্চলের আশেপাশে কয়েক হাজার একর জমিতে নানান প্রজাতির সবজি ও ধানের চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে স্থানীয় জনসাধারণ। সেখানে হাতিয়াঘোনা (হেক্কার) ডোবায় মৎস্য প্রজেক্টে শান্ত জলের বুকে কচুরিপানার সবুজ গালিচার মাঝে ঝাঁক বেঁধে ডানা মেলছে অতিথি পাখির দল। উড়ে চলা পাখির কিচির-মিচিরে মুখরিত চারপাশ।

স্থানীয়রা জানান, কচুয়াই ইউনিয়নের পাহাড়ী এলাকা যেন অপরুপ সৌন্দর্য্যে সমারোহ। এখানে সরকারিভাবে হাতিয়াঘোন (হেক্কার) ডোবার আশপাশের এলাকা নিয়ে একটি বিনোদন স্পট গড়ে তোলার দাবি জানান তারা।

স্থানীয় ডোবার মৎস উৎপাদনকারী আবু তৈয়ব জানান, কচুয়াই ইউনিয়নে ৯নং ওয়ার্ড হাতিয়াঘোন (হেক্কার) ডোবায় ৫০ কানি জায়গা মৎস্য উৎপাদন করছি। সে সাথে আশেপাশে আমার ছোট বড় আরো ১০টি মৎস্য প্রজেক্ট রয়েছে। প্রতিবছর শীতের মৌসুম এলেই পাখিগুলো যে কোথা থেকে আসে তা জানি না। তবে প্রচুর পাখি আসে এই গ্রামের হেক্কার ডোবায়। সন্ধ্যায় রক্তিম সূর্য দেখতে খুব ভালো লাগে। আমি মনে করি সরকারের পক্ষ থেকে পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল সৃষ্টিতে পদক্ষেপ নেওয়া হলে আগামীতে এই এলাকায় পাখিদের আরো বেশি আগমন ঘটবে। সেই সঙ্গে এলাকাটি বিনোদন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।

পটিয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আতিকুল মামুন বলেন, পটিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের খাল-বিল ও পাহাড়ী অঞ্চলের জলাশয়ে অসংখ্য অতিথি পাখি আগমন করে। পাখি প্রকৃতির অলংকার। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য পাখির বিচরণক্ষেত্র যাতে কোনভাবে ঝুঁকিপূর্ণ না হয় এ বিষয়ে আমরা সজাগ আছি। পাখি শিকার অনেকটাই বন্ধ। এখন পর্যন্ত পাখি শিকারের কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। সর্বস্তরের মানুষকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

এ ব্যাপারে কচুয়াই ইউপি চেয়ারম্যান এসএম ইনজামুল হক জসিম জানান, কচুয়াই ইউনিয়নের পাহাড়ী অঞ্চলে গড়ে উঠেছে অসংখ্য মৎস প্রজেক্ট। সেখানে ছোট বড় এই মৎস্য প্রজেক্টে শীতের মৌসুমে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখির আগমন ঘটে। অতিথি পাখির কিচির-মিচির ডাকে এলাকা যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য মুখরতি হয়ে উঠে।

সূত্রঃ আলোকিত বাংলাদেশ

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম